শেরপুরের শ্রীবরদীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এক পথচারী নিহত হয়েছেন। শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে শ্রীবরদী পৌরসভার কলেজ রোড এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম আব্দুল জুব্বার (৬৭)। তিনি পৌর এলাকার চককাউরিয়া এলাকার মৃত ইদু শেখের ছেলে। শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার জাহিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘‘পার্শ্ববর্তী জেলা জামালপুর থেকে পাঁচ বন্ধু দুই মোটরসাইকেলে করে শেরপুরে গারো পাহাড়ে ঘুরতে আসেন। ফেরার পথে একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারী আব্দুল জুব্বারকে ধাক্কা দেয়। এতে আহত হন তিনি। স্থানীয়রা আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। সেই সঙ্গে মোটরসাইকেলের চালককেও আটক করা হয়েছে।’’

আরো পড়ুন:

কোটালীপাড়ায় টানা বর্ষণে সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত, চলাচলে দুর্ভোগ

সেতুর রেলিং ভেঙে খালে বাস, আহত ২৫

ঢাকা/তারিকুল/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত শ র বরদ

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫

বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়ন বিএনপি সম্মেলনে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন ৫ জন। গুরুতর আহত দুজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। 

জানা গেছে, ভুতেরদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শনিবার বিকেলে কেদারপুর ইউনিয়ন বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির বিরোধীপক্ষে থাকা নেতাকর্মীদের এতে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সম্মেলন চলাকালে তারা পাল্টা প্রতিবাদ মিছিল বের করলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সম্মেলন সভার কাছে দলের আরেকপক্ষ মিছিল করছিল। তখন সম্মেলনকারীরা হামলা করলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান মিল্টন, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান ও ছাত্রদলের সদস্যসচিব ইয়াসিন আরাফাতসহ ৫ জন আহত হন।

মিল্টন জানান, সম্মেলনে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তারপরও তারা মাদ্রাসার কাছে জমায়েত হন। একপর্যায়ে একদল বিএনপি কর্মী তাদের ওপর হামলা চালায়। তিনি বলেন, সম্মেলন মূলত পাতানো।

উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধে অবস্থানকারীদের শীর্ষ নেতা সাবেক সভাপতি ইসরাত হোসেন কচি জানান, আহ্বায়ক কমিটি তাদের মতো করে ইউনিয়ন সম্মেলন ও কমিটি গঠন করছে। এতে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। শনিবার বিকেলে কেদারপুরে প্রতিবাদ করায় হামলা করা হয়েছে। 

উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব অহিদুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, ‘আমরা যখন সম্মেলনে গিয়েছি তখন কিছু দেখিনি। তবে থানার ওসি বলেছেন, কোথাও কোনো গণ্ডগোল হয়েছে। হামলায় আহতদের খোঁজ নেব।’ 

বাবুগঞ্জ থানার ওসি জহিরুল আলম বলেন, ‘কেদারপুর ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনে দু’পক্ষের উত্তেজনার খবর শুনেছি। মারামারি হয়েছে কিনা জানি না। কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ