যে কাজ করেছি, বাংলাদেশ গর্ব করতে পারে: আমিনুল
Published: 24th, July 2025 GMT
এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের বার্ষিক সাধারণ সভায় যোগ দিচ্ছে সবগুলো দেশ। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুদিন এসিসির সভা অনুষ্ঠিত হবে ঢাকায়। রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
পূর্ণ সদস্যভুক্ত তিন দেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান যোগ দেবে কিনা তা নিয়ে দুঃশ্চিন্তা ছিল। তবে গতকাল রাতে শঙ্কার সব মেঘ কেটে গেছে।
বিসিবি সভাপতি ও এসিসি সভার আয়োজকের প্রধান আমিনুল ইসলাম বুলবুল জানিয়েছেন, সব দেশের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে এসিসি সভা। যারা স্বশরীরে আসতে পারেনি তারা যোগ দেবে অনলাইনে। এখন পর্যন্ত কেবল ভারত ও শ্রীলঙ্কা অনলাইনে সভায় যোগ দেবে। বাকিরা চলে এসেছেন।
গতকাল রাতে এসিসির আনুষ্ঠানিক নৈশভোজ অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পথে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন বিসিবি সভাপতি। তিনি বলেছেন, ‘‘গত দুই দিন ধরে বেশ কিছু পরিকল্পনা করছি। সবার আগে ক্রিকেট। আমাদের সবার মধ্যে যদি কোনো ভুল বোঝাবুঝি থেকে থাকত, যেহেতু বাংলাদেশে এসিসির এজিএমটা হোস্ট করছি, সেই দায়িত্বটা নিয়ে সকলের সাহায্য নিয়ে আমরা সবাইকে রাজি করাতে পেরেছি ক্রিকেটের স্বার্থে।”
“কালকের এসিসির এজিএমে সবাই অংশ নিচ্ছে। যারা আসতে পারছে না, তারা অনলাইনে যোগ দেবে। যারা এরই মধ্যে চলে এসেছে, তিনটা পূর্ণ সদস্য.
বিসিবি একাধিকবার জানিয়েছেন, তারা কেবল এসিসি সভার হোস্ট এবং শুধুমাত্র লজিস্টিক সাপোর্ট দেওয়ার কাজ করছে। তবে বিসিবি যে সভাটি আয়োজন করতে বড় ভূমিকা রেখেছে এবং পূর্ণ সদস্যভুক্ত তিন দেশকে যুক্ত করতে পেরেছে সেই আঁচও দিয়ে রাখলেন, “আমি এখানে বিস্তারিত বলব না। তবে বাংলাদেশ গর্ব করতে পারে। আমি বিস্তারিত বলব না। তবে আমি বাংলাদেশের একজন প্রতিনিধি হিসেবে গর্ব করতে পারি, আমরা যে কাজটা করেছি।”
ঢাকা/ইয়াসিন
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এস স র অন ষ ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
ফুটবলার প্রতিমা এগিয়ে যাচ্ছেন, পাশে আছে কিশোর আলোসহ অনেকে
একটি পরিবারের ওপর নেমে আসা অপ্রত্যাশিত চাপ আর হতাশাকে দূর করেছে একটি সংবাদ। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় প্রতিমা মুন্ডার পড়াশোনা ও খেলাধুলা থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল মাত্র ৪৭ হাজার টাকার জন্য। প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পর মিলেছে সহযোগিতা, পরিশোধ হয়ে গেছে বিকেএসপির বকেয়া।
এতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন প্রতিমার মা সুনিতা মুন্ডা। তাঁদের ওপর থেকে নেমে গেছে বড় ধরনের আর্থিক চাপ।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেএসপি প্রতিমার অভিভাবককে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছিল, তাঁদের মেয়ের বকেয়া বেতন ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা। সেই চিঠিতেই সতর্ক করে বলা হয়, ছয় মাসের বেশি বেতন বকেয়া থাকলে চূড়ান্ত সতর্কীকরণ, আর ১২ মাসের বেশি বকেয়া থাকলে বহিষ্কারের বিধান আছে। অর্থাভাবে যখন অনিশ্চিত হয়ে উঠেছিল প্রতিমার ভবিষ্যৎ, ঠিক সেই সময় ১১ অক্টোবর প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয় তাঁদের পরিবারের সংগ্রামের গল্প।
আরও পড়ুনবকেয়া বেতন চেয়ে বিকেএসপির চিঠি, ফুটবলার প্রতিমার পড়াশোনা বন্ধের পথে ১১ অক্টোবর ২০২৫প্রতিবেদনটি পাঠকের হৃদয়ে নাড়া দেয়। কিশোর আলোর পক্ষ থেকে প্রতিমার বকেয়া পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই দিনই বিকেলে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে প্রথম আলোর সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি প্রতিমা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে নেওয়া হয় এই উদ্যোগ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী সহায়তা করেন আরও ১০ হাজার টাকা। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপা রানী সরকার দেন পাঁচ হাজার টাকা ও একটি ফুটবল।
সহায়তা পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে। মুঠোফোনে প্রতিমা বলেন, ‘এখন আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই। বিকেএসপির পাওনা ৪৬ হাজার ৮৪০ টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি। আমি ভালো আছি, মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা আর অনুশীলন করছি।’
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার প্রতিমা মুন্ডা ও তাঁর মা সুনিতা মুন্ডার হাতে কিশোর আলোর পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিশুসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগরের সৌজন্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়