টেস্টে ৩৮তম সেঞ্চুরিতে সাঙ্গাকারার রেকর্ড ছুঁলেন রুট
Published: 25th, July 2025 GMT
টেস্ট ক্রিকেটে একের পর এক মাইলফলক ছুঁয়ে চলেছেন ইংল্যান্ডের ব্যাটার জো রুট। ভারতের বিপক্ষে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে তুলে নিয়েছেন নিজের ৩৮তম টেস্ট সেঞ্চুরি। এর মাধ্যমে তিনি শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি কুমার সাঙ্গাকারার পাশে এসে দাঁড়ালেন। এখন তাঁরা দুজনই যৌথভাবে টেস্টে চতুর্থ সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক।
রুট ১৭৮ বলে ১২টি চারে স্পর্শ করেন ক্যারিয়ারের ৩৮তম সেঞ্চুরি। ৩৪ বছর বয়সী এই ডানহাতি ব্যাটার শুধুই শতকেই থেমে থাকেননি—একই ইনিংসে ছাড়িয়ে গেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক ক্যালিস ও ভারতের রাহুল দ্রাবিড়কে। এখন তিনি টেস্ট ইতিহাসে রান সংগ্রহের তালিকায় তৃতীয় স্থানে। তার ঠিক সামনে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি রিকি পন্টিং, যাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার খুব কাছাকাছি এখন রুট।
ভারতের বিপক্ষে এটি ছিল জো রুটের ১২তম সেঞ্চুরি, যা কোনো একক দলের বিপক্ষে কোনো ব্যাটারের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড। ভারতীয় বোলারদের বিপক্ষে তার এই রানের ধারাবাহিকতা সত্যিই ঈর্ষণীয়।
আরো পড়ুন:
টেস্ট ক্রিকেটে রানের পাহাড়ে রুট, হুমকির মুখে শচীনের রেকর্ড
সোধির জাদুতে কিউইদের দুর্দান্ত জয়, পেছনে পড়লেন সাকিব
টেস্টে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি করা পাঁচ ব্যাটসম্যান:
১.
২. জ্যাক ক্যালিস – ৪৫
৩. রিকি পন্টিং – ৪১
৪. জো রুট – ৩৮*
৫. কুমার সাঙ্গাকারা – ৩৮।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক র ক ট র কর ড
এছাড়াও পড়ুন:
দুই সপ্তাহের মধ্যে তেহরানে সুপেয় পানি ফুরিয়ে যেতে পারে
তীব্র খরার কবলে পড়েছে ইরানের রাজধানী তেহরান। সেখানে বাসিন্দাদের সুপেয় পানির প্রধান উৎসটি দুই সপ্তাহের মধ্যে শুকিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আইআরএনএ গতকাল রোববার এ খবর জানিয়েছে।
তেহরানে পানি সরবরাহ কোম্পানির পরিচালক বেহজাদ পারসার বরাত দিয়ে আইআরএনএর খবরে বলা হয়, তেহরানে খাবার পানি সরবরাহের পাঁচটি উৎসের একটি আমির কবির বাঁধ। সেটিতে এখন মাত্র ১ কোটি ৪০ লাখ ঘনমিটার পানি আছে। এটি জলাধারটির মোট ধারণক্ষমতার মাত্র ৮ শতাংশ।
বেহজাদ পারসা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এই পরিমাণ পানি দিয়ে মাত্র দুই সপ্তাহ তেহরানের খাবার পানির চাহিদা মেটানো যাবে।
ইরানি সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, তেহরানে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০ লাখ ঘনমিটার পানির প্রয়োজন পড়ে।কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র খরার মোকাবিলা করছে ইরান। গত মাসে স্থানীয় এক কর্মকর্তা বলেছিলেন, তেহরান প্রদেশে এবার বৃষ্টির যে মাত্রা, তেমনটা গত এক শতাব্দীতে খুব একটা দেখা যায়নি।
এক কোটির বেশি মানুষের নগর তেহরান তুষারাচ্ছন্ন আলবোর্জ পর্বতমালার দক্ষিণ ঢালে অবস্থিত। এই পর্বতমালার সর্বোচ্চ উচ্চতা ৫ হাজার ৬০০ মিটার (১৮ হাজার ৩৭০ ফুট) পর্যন্ত। এই পর্বতমালা থেকে উৎপন্ন নদীগুলো বহু জলাধারে পানির জোগান দেয়।
বেহজাদ পারসা বলেন, এক বছর আগেও আমির কবির বাঁধে ৮ কোটি ৬০ লাখ ঘনমিটার পানি ছিল। কিন্তু তেহরান অঞ্চলে বৃষ্টির পরিমাণ প্রায় শতভাগ হ্রাস পেয়েছে।
তেহরানে পানি সরবরাহ করা বাকি জলাধারগুলোর বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি এই কর্মকর্তা।
ইরানি সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, তেহরানে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০ লাখ ঘনমিটার পানির প্রয়োজন পড়ে।
এক বছর আগেও আমির কবির বাঁধে ৮ কোটি ৬০ লাখ ঘনমিটার পানি ছিল। কিন্তু তেহরান অঞ্চলে বৃষ্টির পরিমাণ প্রায় শতভাগ হ্রাস পেয়েছে।বেহজাদ পারসা, তেহরানে পানি সরবরাহ কোম্পানির পরিচালকপানি সাশ্রয়ের পদক্ষেপ হিসেবে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তেহরানের বেশ কয়েকটি এলাকায় বারবার সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছে বলে জানা গেছে। আর চলতি গ্রীষ্মে ঘন ঘন পানি সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘটনাও ঘটেছে।
জুলাই ও আগস্টে পানি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য দুই দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। ইরানে সে সময় তাপপ্রবাহের মধ্যে প্রতিদিন একাধিকবার লোডশেডিং হয়েছে।
ওই দুই মাসে তেহরানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) ছাড়িয়ে গেছে, কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১২২ ডিগ্রি ফারেনহাইট) ছুঁয়ে গিয়েছিল।
জুলাই ও আগস্ট মাসে তেহরানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৪ ফারেনহাইট) ছাড়িয়ে গেছে, কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১২২ ফারেনহাইট) ছুঁয়ে ছিল।ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘আজ যেভাবে আলোচনা হয়েছে, পানিসংকট পরিস্থিতি তার চেয়েও গুরুতর।’
ইরানজুড়ে পানিসংকট একটি বড় সমস্যা, বিশেষ করে দেশের দক্ষিণের শুষ্ক প্রদেশগুলোতে। ভূগর্ভস্থ সম্পদ ব্যবহারে অব্যবস্থাপনা ও সম্পদের অতিরিক্ত ব্যবহারকে পানি ঘাটতির জন্য দায়ী করা হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে ভূমিকা রাখছে।
আরও পড়ুনপ্রচণ্ড গরমে পানির ঘাটতি বেড়ে যাওয়ায় ইরানিদের কম পানি ব্যবহারের আহ্বান২০ জুলাই ২০২৫