এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) প্রথা অনুযায়ী এশিয়া কাপের পরিকল্পনা করছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়। বড় কোনো আয়োজনের আগে আয়োজকরা সূচি, ভেন্যু ও সময় একই দিনে, একই সময়ে ঘোষণা করেন।

এবারের এশিয়া কাপ নিয়ে এসিসি ভিন্ন পথেই হাঁটছে। শুরুতে তারা ভেন্যু ও টুর্নামেন্টের তারিখ ঘোষণা করে। সেটা নিয়েও বিতর্ক আছে। এসিসির চেয়ারম‌্যান মহসিন নাকভি ব‌্যক্তিগত এক্স অ‌্যাকাউন্ট থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাম আয়োজক হিসেবে ঘোষণা করেন। লম্বা সময় পর এসিসি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয়।

সপ্তাহখানেক পর রবিবার ঘোষণা করা হলো প্রতিযোগিতার ভেন্যু ও সময়। টুর্নামেন্ট নিয়ে জল্পনা-কল্পনা বাড়ানোর জন‌্যই এমন কিছু করছে কি না এসিসি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

আগেই জানা গেছে, বাংলাদেশ পড়েছে গ্রুপ ‘বি’তে। যেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও হংকংকে। বাংলাদেশের সবগুলো ম‌্যাচ হবে আবুধাবিতে। আবুধাবি বাদে ম‌্যাচ হবে দুবাইয়ে। একটি ছাড়া সব ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়। ৯ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ম্যাচগুলো হবে।

১১ সেপ্টেম্বর হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আসর শুরু করবে বাংলাদেশ। ১৩ সেপ্টেম্বর পরের ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ লড়বে ১৬ সেপ্টেম্বর।

দুবাইয়ে ভারত ও পাকিস্তানের ম‌্যাচ হবে ১৪ সেপ্টেম্বর। এ গ্রুপের অন‌্য দুই দল ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। টুর্নামেন্টে কেবল ১৫ সেপ্টেম্বর দুই ম্যাচ মাঠে গড়াবে। আবুধাবিতে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানের ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায়। দুবাইয়ে রাত ৮টায় হংকংয়ের মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা।

দুবাইয়ে হবে প্রতিযোগিতার দুই সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম‌্যাচ। দুটি সেমিফাইনাল হবে ২৫ ও ২৬ সেপ্টেম্বর। ফাইনাল হবে ২৮ সেপ্টেম্বর। সব মিলিয়ে দুবাইয়ে ম‌্যাচ হবে ১১টি। আবুধাবিতে ৮টি।

আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এবারের আসর হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে।

ঢাকা/ইয়াসিন/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স প ট ম বর ফ ইন ল য চ হব

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।

ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।

আরো পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।

যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।

লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।

বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ