নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের সামনে পার্কিং করা কভার্ডভ্যানে হামলা চালিয়েছে এক দল ছিনতাইকারী। এ সময় এলোপাথারী কুপিয়ে কভার্ডভ্যান চালক মোস্তফার কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।

তখন গাড়ির হেলপারের ডাক চিৎকার আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে চালককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় এবং ধাওয়া করে জুয়েল নামে এক ছিনতাইকারীকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করেন।

শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় ফতুল্লার সস্তাপুর এলাকায় অবস্থিত জেলা কারাগারের সামনে এঘটনা ঘটে। ছিনতাইকারীর হামলায় আহত মোস্তফা মিয়া (৩৫) নোয়াখালি জেলার বশিরহাট থানার কোম্পানীগঞ্জ চরলাই গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।

আটক ছিনতাইকারী জুয়েল আহমেদ (৩৫) নারায়ণগঞ্জ সদরের বাবুরাইল এলাকার শাহীন মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া আলী হোসেনের ছেলে।

আহত চালক মোস্তফা মিয়া জানান, চট্রগ্রামে গার্মেন্টসের মাল নেয়ার জন্য নারায়ণগঞ্জ কারাগারের সামনে গাড়ি পার্কিং করে অপেক্ষা করছিলেন। এসময় রাত সাড়ে ১১টা বাজে অন্ধকারে সংখ্যা বলতে পারবোনা তবে এক দল ছিনতাইকারী গাড়ির চারপাশ ঘিরে ফেলে।

একজন ছুরি হাতে গাড়ি থেকে আমাকে টেনে হেচড়ে নিচে নামায়। তখন ভয়ে মানিব্যাগ ভর্তি টাকা ও মোবাইল তাদের দিয়ে দেই। তারপরও তারা আমার পিছনের দিকে পিঠ থেকে কমর পর্যন্ত এলোপাথারী কোপায়।

এসময় আমার গাড়ির হেলপার আব্দুল ডাক চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আমাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এরপর ধাওয়া করে একজনকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করেন।

পথচারীরা জানান, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে কয়েকটি গ্রুপ ছিনতাইয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সাইনবোর্ড থেকে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটারের মধ্যে মোটর সাইকেল, প্রাইভেটকার ও ইজিবাইকে ছিনতাই করে থাকে।

প্রতিরাতে ধারালো ছুরি হাতে পথচারীদের সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয়া হচ্ছে। এবিষয়ে মামলা মোকদ্দমা হয়রানী মনে করে থানায় অভিযোগ করেন না। পথচারীদের দাবী লিংক রোডে কয়েকটি চেকপোষ্ট ও পুলিশের টহলের ব্যবস্থা করা হলে ছিনতাইকারীদের উপদ্রপ কমে যেতো।

এবিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, একজন ছিনতাইকারী গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে অন্য ছিনতাইকারীর নাম পরিচয় জেনে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ছ নত ই ন র য়ণগঞ জ ছ নত ই

এছাড়াও পড়ুন:

 শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের স্বাধীনতা চান নাই : টিপু 

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেছেন, ১৯৭১ সালে শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের স্বাধীনতা চান নাই। উনি চেয়েছিল পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে কিন্তু সেদিন বাংলাদেশের জনগণ ও শহীদ জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে সাড়ে সাত কোটি বাঙালি নিজেদের রক্ত দিয়ে যুদ্ধ করে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে  ঠিকই স্বাধীনতা করেছিল।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেল ৪টায় সোনাকান্দা হেভেন কমিউনিটি সেন্টারে বন্দর ২০নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রাথমিক সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য ফরম বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর আমরা কি দেখলাম শেখ মুজিবুর স্বাধীনতার চেতনাকে লুন্ঠিত করলেন তার ছাত্রলীগ যুবলী বাহিনী দিয়ে ব্যাংক ডাকাতি শুরু করালেন। মা-বোনের ইজ্জত লুন্ঠিত শুরু করলেন। শুরু করলেন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি।

যার ফলে দেশে দুর্ভিক্ষ চালু হলো। শেখ মুজিবর বলল আমি সাড়ে সাত কোটি কম্বল আনলাম চিৎকার করে বলেছে এই গাজি গোলাম মোস্তফা প্রশ্ন করলেন আমার কম্বল কোথায়। শেখ মুজিবুর রহমান সেদিন বলে ছিলেন বিশ্বের সবাই পেল স্বর্ণের খনি আর আমি পেলাম চোরের খনি। 

তিনি আরও বলেন, আর অপরদিকে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন ১৯৭৫ সালে ৭ই নভেম্বর সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে সকল জনতা মিলে তার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করলেন। ক্ষমতা নিয়ে উনি কি করলেন সর্বপ্রথম সংসদে বিসমিল্লাহির রহমানের রাহিম সংযোজন করলেন।

বহুদলীয় রাজনীতি চালু করলেন। উনি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দিলেন বাক স্বাধীনতা তৈরি করলেন। যার ফলে সকল সংবাদ কর্মীরা স্বাধীন সংবাদপত্র পেয়ে আমাদের পক্ষে-বিপক্ষে সবকিছু লিখতে পারেন।

বন্দর ২০নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে  ও সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন প্রধানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড.আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেনশাহ আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, বন্দর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানা।

এছাড়াও অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি আমির হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আহম্মদ, ২০নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসারুল হক রাহাত, বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোশারফ হোসেন মশুসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে যা বললেন বিএনপি  নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাধীন
  • সন্ত্রাসমুক্ত ও শান্তিময় দেশ গড়তে ইসলামী শক্তির বিকল্প নাই : মাসুম বিল্লাহ
  • না’গঞ্জ জেলা ও মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের বিশেষ সাধারণ সভা 
  • বিজয় মিছিলকে সফল করতে মহানগর বিএনপির ব্যাপক প্রস্তুতি 
  • শ্রীমতী ময়ূরী মন্ডলের আশু রোগমুক্তি কামনায় পূজা পরিষদের বিশেষ প্রার্থনা 
  • সাম্প্রদায়িক কোন উস্কানিতে পা দিবেন না : টিপু
  • সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া
  • মাইলস্টোন স্কুলে হতাহতদের স্মরণে দোয়া মাহফিল ও মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
  •  শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের স্বাধীনতা চান নাই : টিপু