খাবারের নতুন পদ বালাচাও, বাড়ছে ব্যবসা
Published: 5th, August 2025 GMT
শুঁটকি দিয়ে তৈরি বালাচাও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। একসময় সীমিত পরিসরে কক্সবাজার অঞ্চলে বালাচাও বানানো হলেও এখন দেশের নানা প্রান্তেই পাওয়া যায়। বাড়ছে এর বাণিজ্যিক উৎপাদন। অনেক তরুণ উদ্যোক্তা স্বল্প বিনিয়োগ করে বালাচাও তৈরি করে বাজারজাত করছেন। স্বাবলম্বীও হচ্ছেন তাঁরা।
বালাচাও মসলাদার ও মুখরোচক খাবার। তাই এই খাবার দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ছোট চিংড়ি শুঁটকি এই খাবারের প্রধান উপাদান।
গত এক দশকে বাংলাদেশে খাবারের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে এই নতুন খাবার। কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও টেকনাফে এটি বেশি তৈরি হয়। সেখান থেকেই এর বড় অংশ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ করা হয়। চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় এর বাজারও বড় হচ্ছে।
থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারে বালাচাও বেশি পাওয়া যায়। মিয়ানমারে একে বলা হয় ‘বালাচাং’, আর থাইল্যান্ডে ‘কুং হেং’ বা শুকনো চিংড়ি।
ছোট চিংড়ি শুঁটকি দিয়ে বর্তমানে দেশে ৭০ শতাংশের বেশি বালাচাও তৈরি হয়। লইট্টা ও ছুরি শুঁটকি দিয়েও বালাচাও হয়।
ব্যবসায়ীরা জানান, মূলত কক্সবাজার, টেকনাফ, কুয়াকাটা, ভোলা থেকে সংগ্রহ করা সামুদ্রিক চিংড়ির পোনা দিয়ে বালাচাও তৈরি হয়। বালাচাও দেখতে অনেকটা চানাচুরের মতো। ভাত, খিচুড়ি, ফ্রাইড রাইস ও সালাদসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির সঙ্গে এই খাবার খাওয়া যায়।
বালাচাও বানায় এমন একটি প্রতিষ্ঠান হলো খাস ফুড। এই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুল মোস্তফা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ভোজনরসিক জাতি। তাই মুখরোচক খাবারের তালিকায় বালাচাও ক্রমশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। বিগত এক বছরে বালাচাওয়ের বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে দ্বিগুণের চেয়ে বেশি।
তিনি জানান, শীত মৌসুমে এর বিক্রি বেড়ে তিন থেকে চার গুণে গিয়ে ঠেকে। তাই অনলাইনেই এর অর্ডার বেশি হয়। প্রায় ৩০টির অধিক অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বালাচাও বিক্রি হয়।
কীভাবে জনপ্রিয় হলো বালাচাওগত এক দশকে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বালাচাও। যদিও কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের মানুষের কাছে বেশ আগে থেকে এর জনপ্রিয়তা আছে। বর্তমানে রাজধানীর বিভিন্ন সুপারশপের পাশাপাশি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এটি বিক্রি হয়। অলিগলির দোকানপাটেও জায়গা করে নিচ্ছে বালাচাও।
একসময় কক্সবাজার ও এর আশপাশের এলাকায় বার্মিজ বাজারে বালাচাও বেশি পাওয়া যেত। সে সময় কক্সবাজারের বার্মিজ মার্কেটে এটি নিয়ে আসতেন কিছু ছোট ব্যবসায়ী। পরে আগত পর্যটক ও স্থানীয় লোকজনের কাছে এর চাহিদা থাকায় প্রসার ঘটে এই খাবারের।
ছোট-বড় ৫০টির বেশি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিক্রি হচ্ছে বালাচাও। রাজধানীর সুপারশপ, কনফেকশনারি এমনকি বড় মুদি দোকানেও দেখা মিলে এই পণ্যের।
বর্তমানে কিছু বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠান বাজারে তাদের তৈরি বালাচাও নিয়ে এসেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মোহাম্মদপুর এলাকায় আগোরার এক কর্মকর্তা জানান, আমরা কয়েক বছর ধরেই এই পণ্য বিক্রি করছি। প্রতি মাসে আমাদের এই শাখা থেকে ৬০ থেকে ৮০ বয়াম বালাচাও বিক্রি হয়। তবে এই পণ্য উচ্চ–মধ্যবিত্তরাই বেশি কেনেন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের এক সুপারশপে বিক্রির জন্য এভাবেই সাজিয়ে রাখা হয়েছে বালাচাও.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এই খ ব র জনপ র য় ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
ইতিহাসের দ্রুততম মানবের এখন সিঁড়ি ভাঙতে দম ফুরিয়ে আসে
হঠাৎ মনে হতে পারে, কথাবার্তায় লোকটা এখন তো বেশ সাদামাটা। তা-ই কি?
মোটেও না। চেনা সেই ক্যারিশমা যে চলে যায়নি, সেটা বোঝা গেল ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে উসাইন বোল্ট যখন সোজা বলে দিলেন, কেন তাঁর রেকর্ড আজও কেউ ভাঙতে পারেননি। মনে হবে, এই তো সেই বোল্ট। আবার একটু ধাক্কাও লাগবে পরের কথাগুলো শুনলে। একসময়ের সুপারম্যান এখন তাহলে এমন আটপৌরে জীবন কাটাচ্ছেন! যে জীবনে নাকি সিঁড়ি ভেঙে ওঠার সময় তাঁর দম ফুরিয়ে আসে! অথচ এই লোকটাই একসময় ১০০ মিটার দৌড়েছেন ৯.৫৮ সেকেন্ডে।
আরও পড়ুনআকাশছোঁয়ার অভিযানে ডুপ্লান্টিসের আবারও বিশ্ব রেকর্ড১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫টেলিগ্রাফের সঙ্গে সাক্ষাৎকারটা বোল্ট দিয়েছেন টোকিওতে। বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ দেখতে গেছেন সেখানে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, ২০১৭ সালে অবসরের পর এই প্রথম অ্যাথলেটিকসের কোনো বড় আসর দেখতে গেলেন আটবারের এই অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন। জাপানি দর্শকেরা অবশ্য তাঁকে দেখে ঠিকই উল্লাসে ফেটে পড়েছে। তবে বোল্ট এখন বদলে গেছেন অনেকটাই। জ্যামাইকায় এখন তাঁর ঘরোয়া জীবনটা আলোয় থাকার সময়ের সেই জীবনের সঙ্গে একেবারেই মেলে না।
অবসর নেওয়ার পর এই প্রথম অ্যাথলেটিকসের কোনো বড় আসরে এলেন বোল্ট। টোকিওতে বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে