বিরামপুরে অনুমোদন ছাড়াই চলছে ২ স্বাস্থ্যকেন্দ্র
Published: 2nd, September 2025 GMT
স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে দিনাজপুরের বিরামপুরে দুটি বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিজেদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্র দুটি হলো- বিরামপুর স্কয়ার হসপিটাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং গ্রামীণ আই এন্ড হেল্থ কেয়ার হাসপাতাল।
বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনা করার জন্য পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা লাইসেন্স, ইনকাম ট্যাক্স সার্টিফিকেট, ফায়ার সার্টিফিকেট, শ্রম অধিদপ্তরের সার্টিফিকেট, পরিবেশ অধিদপ্তরের সার্টিফিকেট ও স্বাস্থ্য বিভাগের লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক। এই দুই প্রতিষ্ঠানে এসব কাগজপত্র নেই।
উপজেলার চন্ডিপুর এলাকায় গড়ে উঠেছে গ্রামীণ আই এন্ড হেল্থ কেয়ার হাসপাতাল। এর ভিতরে এবং বাইরে ঝুলানো রয়েছে চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের ব্যানার। সাইনবোর্ডে লেখা আছে গ্রামীণ আই চশমাঘর। সেখানে সপ্তায় একদিন সেখানে চক্ষু চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমোদন নেই, নেই অন্যান্য দপ্তরের ছাড়পত্র।
পৌর শহরের পল্লবী এলাকায় অবস্থান বিরামপুর স্কয়ার হসপিটাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারটির। সেখানেও নেই স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমোদন পত্র। এছাড়াও নেই কোন দপ্তরের ছাড়পত্র। তারা কেবল আবেদনের কপিটি দেয়ালে ঝুলিয়ে রেখেছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমোদন আছে কিনা জানতে চাইলে, গ্রামীণ আই এন্ড হেল্থ কেয়ার হাসপাতালের পরিচালক আরিফ বলেন, “অনলাইনে আবেদন করা হয়েছে। অনুমতি পেতে সময় লাগবে।”
একই প্রশ্নে বিরামপুর স্কয়ার হসপিটাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজার মোফাচ্ছের হোসেন বলেন, “আমাদের হাসপাতাল এখনও চালু করা হয়নি। শুধু ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু করা হয়েছে। লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা হয়েছে।”
বিরামপুর উপজেলার বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সভাপতি ডা.
বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমান বলেন, “গ্রামীণ আই এন্ড হেল্থ কেয়ার হাসপাতাল এবং বিরামপুর স্কয়ার হসপিটাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, এই দুইটি প্রতিষ্ঠানে সমস্যা রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হবে।”
এ বিষয়ে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন বলেন, “গত জুলাই মাসে বিরামপুরে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে জরিমানাসহ সতর্কতা করা হয়েছিলো। যেসব প্রতিষ্ঠানগুলো এখনও অনুমোদন নেয়নি, ঐসব প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করা হবে।”
ঢাকা/মোসলেম/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব সরক র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে রেকর্ডসংখ্যক আগাম ভোট, তরুণেরা কেন আগাম ভোট দিচ্ছেন
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক নগরের মেয়র নির্বাচন সামনে রেখে ৭ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ আগাম ভোট দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বাদে অন্য কোনো নির্বাচনে নিউইয়র্কে এটাই সর্বোচ্চ আগাম ভোট পড়ার ঘটনা। আগামীকাল ৪ নভেম্বর নিউইয়র্ক নগরে মেয়র পদে ভোট গ্রহণ হতে যাচ্ছে।
গতকাল রোববার ছিল আগাম ভোট দেওয়ার শেষ দিন। এদিন প্রায় ১ লাখ ৫১ হাজার মানুষ আগাম ভোট দিয়েছেন। নগরের নির্বাচন কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, আগাম ভোট গ্রহণ শুরুর পর থেকে এটি এক দিনে সর্বোচ্চ ভোট পড়ার ঘটনা। তা ছাড়া এদিন ৩৫ বছরের কম বয়সী ভোটারদের উপস্থিতিও বেশি ছিল। এর মধ্য দিয়ে আগাম ভোট দেওয়া ভোটারদের গড় বয়সও কমে এসেছে। গড় বয়স ৫০ বছরে নেমে এসেছে।
আগের সপ্তাহের প্রথম দিকে কম বয়সী ভোটারের উপস্থিতি কম ছিল। ওই সপ্তাহের রোববার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৩৫ বছরের কম বয়সী প্রায় ৮০ হাজার নিউইয়র্কবাসী ভোট দিয়েছিলেন। তবে গত শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত এই সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ৩৫ বছরের কম বয়সী ১ লাখের বেশি ভোটার ভোট দিয়েছেন, যার মধ্যে শুধু গতকাল রোববারই এ বয়সী ভোটারের সংখ্যা ছিল ৪৫ হাজারের বেশি।
আরও পড়ুনমামদানিকে বারাক ওবামার ফোন, করলেন নির্বাচনী প্রচারের প্রশংসা০২ নভেম্বর ২০২৫নিউইয়র্কে চলতি বছর মেয়র নির্বাচনে আগাম ভোটের সংখ্যা ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত মেয়র নির্বাচনের তুলনায় চারগুণের বেশি। এই নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি তাঁর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যান্ড্রু কুমো ও কার্টিস স্লিওয়ার চেয়ে এগিয়ে আছেন।
নিউইয়র্কে চলতি বছর মেয়র নির্বাচনে আগাম ভোটের সংখ্যা ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত মেয়র নির্বাচনের তুলনায় চারগুণের বেশি। এই নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি তাঁর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যান্ড্রু কুমো ও কার্টিস স্লিওয়ার চেয়ে এগিয়ে আছেন।নিউইয়র্কে সর্বপ্রথম মেয়র নির্বাচনে আগাম ভোট দেওয়ার সুযোগ তৈরি হয় ২০২১ সালে। ওই নির্বাচনে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষ আগাম ভোট দিয়েছিলেন। তবে ওই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখা যায়নি। ওই নির্বাচনে এরিক অ্যাডামস তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্লিওয়াকে দ্বিগুণের বেশি ভোটে হারিয়েছিলেন।
অবশ্য চলতি বছর নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে আগাম ভোট দেওয়া মানুষের সংখ্যা গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগাম ভোটকে ছাড়াতে পারেনি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ১০ লাখ মানুষ আগাম ভোট দিয়েছিলেন। তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তুলনায় মেয়র নির্বাচনে আগাম ভোট দেওয়া মানুষের বয়স তুলনামূলক কম। এটা অবাক করা বিষয়। কারণ, সাধারণত যারা আগাম ভোট দেন তাঁদের গড় বয়স মোট নিবন্ধিতদের গড় বয়সের তুলনায় বেশি হয়ে থাকে।
আরও পড়ুনব্যালটে মামদানি, অদৃশ্য ‘প্রার্থী’ ট্রাম্প১ ঘণ্টা আগেচলতি বছরের মেয়র নির্বাচনে আগাম ভোটের সংখ্যা ২০২২ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনের তুলনায়ও অনেক বেশি। ওই সময় নিউইয়র্কে প্রায় ৪ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ আগাম ভোট দিয়েছিলেন। সে সময় আগাম ভোট দেওয়া ভোটারের অধিকাংশের বয়স ছিল ৫৫ বছরের বেশি।
চলতি বছরের মেয়র নির্বাচনে আগাম ভোটের সংখ্যা ২০২২ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনের তুলনায়ও অনেক বেশি। ওই সময় নিউইয়র্কে প্রায় ৪ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ আগাম ভোট দিয়েছিলেন। সে সময় আগাম ভোট দেওয়া ভোটারদের অধিকাংশের বয়স ছিল ৫৫ বছরের বেশি।গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আগাম ভোট দেওয়া মানুষের গড় বয়স ছিল ৫১ বছর। তবে এবার মেয়র নির্বাচনে আগাম ভোটারদের গড় বয়স আরও কমে ৫০ বছরে নেমেছে।