Risingbd:
2025-11-03@08:06:01 GMT

মহাসড়কে মাছ ছেড়ে প্রতিবাদ 

Published: 6th, September 2025 GMT

মহাসড়কে মাছ ছেড়ে প্রতিবাদ 

বেহাল সড়ক সংস্কারের দাবিতে খুলনা- সাতক্ষীরা মহাসড়কে মাছ ছেড়ে প্রতীকী প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে নিরাপদ সড়ক চাই-এর (নিসচা) খুলনা মহানগর শাখা। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জিরোপয়েন্ট সংলগ্ন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় খুলনা আঞ্চলিক কেন্দ্রের সামনের সড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহানগর নিসচার উপদেষ্টা ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ইংরেজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক মো.

সামিউল হক। নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) খুলনা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মুন্নার সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি শেখ মো. নাসির উদ্দিন। এ সময় প্রধান বক্তা ছিলেন খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার।

বক্তারা বলেন, খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক এখন দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের জন্য অভিশাপে পরিণত হয়েছে। খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক থেকেই প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন ও মানুষ ভয়ংকর সড়ক যাত্রা করছেন। মাত্র পাঁচ বছর আগে ১৫০ কোটি টাকায় নির্মিত মহাসড়ক এখন যেন মরণফাঁদ। তৎকালীন প্রভাবশালী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘মোজাহার এন্টারপ্রাইজ’ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পটি ২০২০ সালের জুনে শেষ করে। এ মহাসড়কের জিরো পয়েন্ট থেকে চুকনগর পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটারের কোথাও ভাঙ্গা রাস্তা, কোথাও বড় বড় গর্ত, খানাখন্দ, আবার কোথাও কর্দমাক্ত জলাশয়। প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে, উল্টে যাচ্ছে যানবাহন, ঘটছে প্রাণহানি। অথচ এই ভোগান্তি থেকে পরিত্রাণের কোনো কার্যকর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) চরম উদাসীনতা ও মোজাহার এন্টারপ্রাইজের নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে সড়ক নির্মাণ করায় এ সড়কে তৈরি হয়েছে অবর্ণনীয় জনদুর্ভোগ। দায়সারা সড়ক নির্মাণে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী এখন একটি স্থায়ী সমাধানের জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। তা না হলে অচিরেই সড়ক ভবন ঘেরাও কর্মসূচিসহ আরও কঠোর কর্মসূচি পালনের হুশিয়ারি দেন বক্তারা।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সাসটিভা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শেখ মোস্তাফিজুর রহমান, পরিচালক প্রশাসন এস, এম সাইদুল ইসলাম, এনসিপি খুলনার প্রধান সংগঠক আহম্মদ হামীম রাহাত, আমরা বৃহত্তর খুলনাবাসীর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক সরদার আবু তাহের, দৈনিক প্রবাহের স্টাফ রিপোর্টার মোস্তফা কামাল,  ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হরিণটানা থানার সভাপতি মো. মনজুরুল ইসলাম, লবণচরা থানার সভাপতি মাওলানা নাসিম উদ্দিন, হরিণটনা থানার সহ-সভাপতি বিডিআর (অব:) মো. আল আমিন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রধান ট্রাফিক কন্ট্রোলিং সমন্বয়ক মো. নাঈম মল্লিক প্রমুখ। 

নুরুজ্জামান/শাহেদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ 

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। 

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি। 

লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

ঢাকা/অনিক/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ