বরিশালের বাকেরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার পাদ্রিশিবপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে রঘুনাথপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- পাদ্রিশিবপুর গ্রামের আবুল হাওলাদারের ছেলে সরোয়ার হাওলাদার (২২) ও ছোট রঘুনাথপুর গ্রামের চান্দু শিকদারের ছেলে ফিরোজ শিকদার (২৮)। সম্পর্কে তারা মামা-ভাগ্নে।

আরো পড়ুন:

র‌্যাব দেখে পুকুরে ঝাঁপ, মাদক কারবারির মৃত্যু

বান্দরবান পুলিশ লাইনে কর্মরত কনস্টেবলের মৃত্যু

বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ((ওসি) মো.

আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘‘পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ না থাকায় মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সোমবার সকালে দুজনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।’’

স্থানীয় সূত্র জানায়, পাদ্রিশিবপুর গ্রামের বাসিন্দা আনিস হাওলাদার (৮০) বার্ধক্যজনিত কারণে রবিবার সকালে নিজ বাড়িতে মারা যান। ওই দিন বাদ আসর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

মৃত আনিস হাওলাদারের নাতি সরোয়ার দাদার লাশ কবর দেওয়ার পর স্টিলের খাটিয়াটি মামা ফিরোজ শিকদারকে নিয়ে সরাতে যান। এ সময় কবরের ওপর টিউবলাইটের সঙ্গে সংযোগ দেওয়া লিকেজ থাকা বিদ্যুতের তারে স্টিলের খাটিয়া লেগে দুই জন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।

স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা/পলাশ/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর আরও এক মামলায় ৩ বছর কারাদণ্ড

প্রতারণার আরও একটি মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তাঁর স্ত্রী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। তাঁদের পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এ নিয়ে প্রতারণার পৃথক পাঁচটি মামলায় রাসেল ও শামীমা নাসরিনের ১২ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হলো।

এর আগে সর্বশেষ গত ১৪ এপ্রিল প্রতারণার একটি মামলায় রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।

আজ যে মামলায় রাসেল দম্পতির সাজা হয়েছে, সেই মামলায় প্রতারণার মাধ্যমে ২৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন আবুল কালাম আজাদ নামের একজন গ্রাহক।

৬ এপ্রিল ঢাকার সিএমএম আদালত প্রতারণার আরেকটি মামলায় এই দম্পতিকে তিন বছর কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া গত ২৯ জানুয়ারি প্রতারণার অভিযোগে করা আরেকটি মামলায় তাঁদের দুই বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।

গত বছরের ২ জুন চেক প্রত্যাখ্যানের মামলায় রাসেল ও তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন চট্টগ্রামের আদালত।

২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুজন জামিনে মুক্ত হন।

আরও পড়ুনইভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর আরও ৩ বছর কারাদণ্ড১৩ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ