রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।

তালিকায় সহ-সভাপতিসহ (ভিপি) সাতজনের নাম বাতিল করা হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) প্রার্থিতা ফেরতের জন্য আবেদন করা যাবে।

আরো পড়ুন:

রাকসু নির্বাচন: শিবিরের সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটে সুজন চন্দ্র

২৫ ঘণ্টা পর তালা খুললেন আরবি বিভাগের শিক্ষার্থীরা

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টায় রাকসু কোষাধ্যক্ষ কার্যালয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম।

প্রাথমিকভাবে যে সাতজন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে, তারা হলেন: সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী সাগর আহমেদ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী আশিকুর রহমান, পরিবেশ ও সমাজকল্যাণ সহকারী সম্পাদক শাহীন আলম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সহকারী সম্পাদক রিচার্স চাকমা, কার্যনির্বাহী সদস্য সুজন চন্দ্র।  সিনেট সদস্য পদে মারুফ হোসেন জেমস ও  মো.

ওমর ফারুক সাফীন আজমীরের প্রাথমিক প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে।

রাকসু নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদের (রাসকু) ২৩টি পদের বিপরীতে ২৬০ জন, সিনেটে পাঁচজন ছাত্র প্রতিনিধি পদে ৬২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। মোট ৩২২ জন প্রার্থীর মধ্যে সাতজন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করায় এখন মোট প্রার্থী এসে দাঁড়িয়েছে ৩১৫ জনে।

অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম বলেন, “আমাদের মোট প্রার্থী ছিলেন ৩২২ জন, যার মধ্যে আমরা বিভিন্ন কারণে সাতজনের প্রার্থিতা বাতিল করেছি। বিভিন্ন কারণে তাদের প্রার্থীরা বাতিল করা হয়েছে, অনেকের ব্যাংক রশিদ নেই, সাক্ষর নেই, ছবি নেই, অনেকের ডোপ টেস্ট রিপোর্ট নেই। তবে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) তারা আবেদন করতে পারবেন প্রার্থিতা ফেরানোর জন্য। আমরা সেটা দেখব, যদি গ্রহণযোগ্য হয়; তাহলে আমরা বিবেচনা করে দেখব; আর গ্রহণযোগ্য না হলে তা বাতিল করা হবে।” 

ঢাকা/ফাহিম/রাসেল 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জন প র র থ ব ত ল কর স তজন

এছাড়াও পড়ুন:

অন্তর্বর্তী সরকার না চাইলে ‘মব সন্ত্রাসের’ ঘটনাগুলো ঘটতে পারত না: বাম গণতান্ত্রিক জোট

গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশে যে ‘মব’ সন্ত্রাসের শুরু হয়েছিল, সেটা এখনো চলছে এবং নগ্ন রূপ নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা। অন্তর্বর্তী সরকার না চাইলে এমন ঘটনাগুলো ঘটতে পারত না বলেও মন্তব্য করেছেন তাঁরা। জোটের নেতারা বলেছেন, মব নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ভাব এমন যে খারাপ কিছু তো করছে না।

আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা এ কথা বলেন। মব সন্ত্রাস ও মাজার-খানকায় হামলা বন্ধসহ সুষ্ঠু-গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করে যথাসময়ে নির্বাচনের দাবিতে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে বাম জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পর যে মব শুরু হয়েছিল, সেই মব এখনো দূর হয়নি। বরং নগ্ন রূপ নিয়েছে।...তাহলে ইউনূস সাহেব (প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস) তখন কী করলেন?’

সরকার না চাইলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে না মন্তব্য করে রুহিন হোসেন বলেন, মব নিয়ে সরকারের উপদেষ্টারা আকারে-ইঙ্গিতে যা বলেন, তাতে ভাবটা এ রকম যে খারাপ কিছু করছে না। অন্তর্বর্তী সরকার এসব ঘটনার দায় এড়াতে পারবে না।

দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংস্কারের নামে শ্রমিক–কৃষক–মেহনতি মানুষের স্বার্থ রক্ষা করছেন না, কিন্তু সংবিধানের চার মূলনীতি পরিবর্তন করতে চান। অবিলম্বে নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত প্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।

‘মব’ সন্ত্রাস ও মাজার-খানকায় হামলা বন্ধসহ সুষ্ঠু-গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করে যথাসময়ে নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতা–কর্মীরা। আজ সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সংগীতশিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বাতিলের দাবি গ্রহণযোগ্য নয়: আসক
  • রাকসু নির্বাচন: ৬ দফা দাবিতে ছাত্রদলের স্মারকলিপি
  • অন্তর্বর্তী সরকার না চাইলে ‘মব সন্ত্রাসের’ ঘটনাগুলো ঘটতে পারত না: বাম গণতান্ত্রিক জোট