জিডি অনুসন্ধান বিষয়ক প্রশিক্ষণার্থী পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, থানায় জিডি করার এক ঘণ্টার মধ্যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রাথমিক তদন্ত করতে হবে। জিডি তদন্তের ক্ষেত্রে কোনও প্রকার বিলম্ব করা যাবে না।

সোমবার ডিএমপির প্ল্যানিং, রিসার্চ অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগ (পিআর অ্যান্ড এইচআরডি) আয়োজিত ‘জিডি অনুসন্ধান’ বিষয়ক প্রশিক্ষণের ৩য় ব্যাচের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রশিক্ষণ সমাপনী অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, নগরবাসী থানায় জিডি করার পর তাদের প্রত্যাশিত সেবা যেন দ্রুত পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। জিডি করার এক ঘণ্টার মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাথমিক তদন্ত করে প্রতিবেদন ওসির কাছে জমা দিতে হবে। ওসি পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। পেশাদারিত্ব বজায় রেখে জনগণের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিয়ে আস্থা অর্জন করতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো.

নজরুল ইসলাম, যুগ্ম-কমিশনার (ট্রেনিং) মুহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান; উপ-কমিশনার (সদরদপ্তর ও প্রশাসন) শাহ মো. আব্দুর রউফ, পিআর অ্যান্ড এইচআরডি উপ-কমিশনার মোহাম্মদ মাসুদ রানা।

ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী দায়িত্বগ্রহণ করার পর ঢাকার থানায় কোনও অভিযোগ বা জিডি হলে পুলিশকে দ্রুততম সময়ে প্রাথমিক অনুসন্ধানের জন্য নির্দেশ দেন। এরপর ৫০ জন করে চারটি পর্বে ২০০ জন পুলিশ সদস্যকে জিডি অনুসন্ধান বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্যোগ নেয় পিআর অ্যান্ড এইচআরডি বিভাগ।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মাইক্রোসফটের বদলে গুগলের সার্ভার ব্যবহার করবে চ্যাটজিপিটি, কেন

চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের অন্যতম বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে মাইক্রোসফট। আর তাই চ্যাটজিপিটি চালুর পর থেকেই মাইক্রোসফটের সার্ভার ব্যবহার করে আসছে ওপেনএআই। তবে এবার মাইক্রোসফটের ওপর নির্ভরতা কিছুটা কমাতে চাইছে প্রতিষ্ঠানটি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তির দৌড়ে গুগল ও ওপেনএআই দীর্ঘদিন ধরে প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও চ্যাটজিপিটির কার্যক্রম পরিচালনায় গুগলের ক্লাউড অবকাঠামো ও সার্ভার ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে ওপেনএআই।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চ্যাটজিপিটির মতো জেনারেটিভ এআই মডেল পরিচালনার জন্য গত মাসে গুগলের সঙ্গে চুক্তি করেছে ওপেনএআই। চুক্তির আওতায় গুগল তাদের ডেটা সেন্টার ও ক্লাউড সেবায় ‘অতিরিক্ত কম্পিউটিং সক্ষমতা’ দেবে ওপেনএআইকে। যদিও দুই প্রতিষ্ঠান এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, এই চুক্তি ভবিষ্যতের এআই উন্নয়ন ও নির্ভরযোগ্য সেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

চ্যাটজিপিটি মূলত মাইক্রোসফটের অ্যাজুর ক্লাউড অবকাঠামোর ওপর নির্ভর করে পরিচালনা করা হয়। তাই ওপেনএআই এত দিন অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সার্ভার ব্যবহার করতে পারেনি। গত জানুয়ারি মাসে এই একচেটিয়া চুক্তির সীমাবদ্ধতা শেষ হওয়ার পর ওপেনএআই নতুন অংশীদার খুঁজতে শুরু করে। তবে চ্যাটজিপিটি পুরোপুরি গুগলের সার্ভার ব্যবহার করবে, না মাইক্রোসফট ও গুগলের সার্ভার যৌথভাবে ব্যবহার করবে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি।

সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে চ্যাটজিপিটি বড় ধরনের প্রযুক্তিগত বিভ্রাটের মুখে পড়েছে। আর তাই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট অবকাঠামোর ওপর পুরোপুরি নির্ভর না করে একাধিক ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করলে চ্যাটজিপিটির কার্যক্রম চালু রাখা অনেক সহজ হবে। এতে যেকোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটি বা সিস্টেম সমস্যার ক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগও মিলবে।

সূত্র: অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ

সম্পর্কিত নিবন্ধ