পিএসএল ড্রাফটে ছিলেন বাংলাদেশের ৩৯ জন ক্রিকেটার। এর মধ্যে সাকিব-তাসকিন-মুস্তাফিজরা দল না পেলেও রিশাদ হোসেন, নাহিদ রানা ও লিটন দাস দল পেয়েছেন। রিশাদকে নিয়েছে লাহোর কালার্ন্দাস। বিগ ব্যাশে দল পেয়েও খেলতে না পারা রিশাদ জানিয়েছেন, ডাক পাবেন এমন আশা আগে থেকেই তার ছিল। 

বিপিএলে ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলছেন রিশাদ হোসেন। চট্টগ্রাম পর্বে আছে দল। সেখানে অনুশীলন শেষে সংবাদ মাধ্যম দেশের তরুণ এই লেগ স্পিনার জানান, বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল তাকে পিএসএলে দল পাওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন। 

রিশাদ বলেন, ‘আমি কিছু নিয়ে বেশি আশা করি না। আইপিএল, বিগব্যাশ বা পিএসএল এসব নিয়ে ভাবছি না। বিপিএলে আছি, এটা শেষ করার পর দেখব। পিএসএলে দল পাওয়ার পর এজেন্ট বলছিলেন, চান্স পেয়েছি। আমিও আগে থেকে আশা করেছিলাম চান্স আছে।’ 

রিশাদ জানান, পিএসএলে দল পাওয়া এবারের তিন ক্রিকেটার ভালো করলে সামনে ১২-১৫ জনের জন্য সুযোগ তৈরি হতে পারে। এবারের বিপিএলে ভালো করায় পরের বছর অনেকের সুযোগ আসবে বলেও জানান তিনি। এছাড়া তামিম প্রসঙ্গে বলেন, ‘উনি বলছিলেন- ভালো ফ্র্যাঞ্চাইজি (লাহোর), খেলে মজা পাওয়া যাবে।’ 

তারকাসমৃদ্ধ দল গড়েছিল ফরচুন বরিশাল। কিন্তু শাহিন আফ্রিদি, কাইল মায়ার্সরা চলে গেছেন। রিশাদের মতে, কে আছেন, কে গেছেন তা ভেবে লাভ নেই, ‘আগে কী হয়েছে তা চিন্তা না করে ম্যাচ বাই ম্যাচ চিন্তা করছি। চট্টগ্রাম পর্বের তিন ম্যাচ জিতে ঢাকা পর্বে ফেরার চেষ্টা করবো। বোলার হিসেবে সন্তুষ্ট হওয়া উচিত না। ৫ উইকেট পেলেও না। দলকে ১ ওভার বোলিং করেও বাঁচানো গেলে আমার জন্য ভালো। আমরা যে ১১ জন খেলবো সেরাটা দিতে হবে।’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

আগামী বছরে কি আবার আইপিএল-পিএসএল সংঘাত

ক্রিকেটকে বাণিজ্যিকীকরণ করে ফেলার পর বিশ্বজুড়ে এখন এত ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগ হয় যে একটির সঙ্গে আরেকটি সূচি সাংঘর্ষিক হয়েই যায়।

কয়েক বছর ধরে বিপিএলের সময়ে হয়ে আসছে আরও চার টুর্নামেন্ট—অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগ, নিউজিল্যান্ডের সুপার স্ম্যাশ, দক্ষিণ আফ্রিকার এসএ২০ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইএলটি২০।

তবে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও দামি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আইপিএলের জন্য সাধারণত এমন সময় বরাদ্দ থাকে, যে সময়ে অন্য লিগ থাকে না। কিন্তু আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির কারণে এ বছর এই অলিখিত নিয়মের ব্যতয় ঘটেছে।

গত ফেব্রুয়ারি–মার্চে আরব আমিরাতকে নিয়ে হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করেছে পাকিস্তান। দেশটির শীর্ষ টি–টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা পাকিস্তান সুপার লিগও (পিএসএল) ফেব্রুয়ারি–মার্চে হয়ে থাকে। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস ট্রফির কারণে পিএসএল এবার পিছিয়ে নেওয়া হয় এপ্রিল–মে মাসে, আইপিএলের সময়ে।

আগামী বছর টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ফেব্রুয়ারি–মার্চে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আগামী বছরে কি আবার আইপিএল-পিএসএল সংঘাত