একটি দিবস পালন করতে হলেও তো কিছু না কিছু করতে হয়, অথচ আজ এমন একটি দিবস যে দিবস উপলক্ষে আপনার কিছুই করার নেই। আজ কোনো পরিকল্পনা রাখার দরকার নেই| কেন জানেন?— আজ ১৬ জানুয়ারি `নাথিং ডে’ বা ‘কিছু না দিবস’।
এই দিবসের প্রয়োজনীয়তা প্রথম অনুভব করেছিলেন মার্কিন কলামিস্ট হ্যারল্ড কফিন। তিনি ১৯৭২ সালে কিছু না দিবসের প্রবর্তন করেন। আর তার এই আইডিয়া লুফে নেন অনেকেই। দিবসটি মনে করিয়ে দেয়, সব সময় সব কিছু করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। এমনকি দিবসটি উদযাপনে বিশেষ কোনো প্রস্তুতি দরকার পড়ে না।
একান্তভাবে দিনটি কাটাতে পারে। আরাম, আয়েশ করতে পারেন। কেউ যদি প্রশ্ন করে, কী হতে চাও? অনায়াসে বলে দিতে পারেন ‘কিছু না’। কেউ যদি আপনার প্ল্যান জানতে চায় তাকেও বলে দিতে পারেন, কিছু না।
আজ একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কোনো কাজই করার দরকার নেই!— দিনটি মূলত আপনাকে অহেতুক ছুটে চলার গতি কমাতে চায়। অতিরিক্ত প্রত্যাশা থেকে বের করে এনে একটি স্বস্তি দিতে চায়। বছরের একটি দিন না হয় এভাবেই যাক।
সূত্র: ডেইস অব দ্য ইয়ার
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবকে এখনও দেশের সবচেয়ে বড় তারকা মানেন তামিম
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে মুখ খুলেছেন তামিম ইকবাল। সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তারকা খ্যাতি বা ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, এই দুই তারকার দূরত্বের পেছনে অন্য কারণ কাজ করেছে। তবে সেই দূরত্ব ঘোচানোর জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলেও আক্ষেপ করেছেন তিনি।
তামিম বলেন, ‘অনেকে বলে, কে কার চেয়ে সেরা। কার এনডোর্সমেন্ট বেশি। এগুলো কিছুই আমাদের সম্পর্ককে প্রভাবিত করেনি। আমি সব সময় বলেছি, বাংলাদেশের স্পোর্টসে সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব। আমি নিজেই যখন এটা বলি, তখন তারকা খ্যাতি সম্পর্কের অবনতির কারণ হতে পারে না।’
তিনি জানান, বিসিবির পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হলে সাকিব ও তার মধ্যকার দূরত্ব কমত। ‘তারা আলাদাভাবে কথা বলেছেন, কিন্তু দু’জনকে একসঙ্গে বসিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেননি’, বলেন তামিম।
তামিম আরও বলেন, অধিনায়ক থাকার সময় সম্পর্কটা স্বাভাবিক করতে তিনি নিজেই চেষ্টা করেছেন। যদিও সে চেষ্টা তখন সফল হয়নি, ভবিষ্যতে সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা এখনও তিনি দেখেন।
এমনকি নিজের অসুস্থতার সময় সাকিবের সহানুভূতিশীল আচরণের কথাও কৃতজ্ঞচিত্তে স্বীকার করেন তামিম। বলেন, ‘আমার অসুস্থতার সময়ে সাকিব তার ফেসবুকে দোয়ার অনুরোধ করেছিল। তার বাবা-মা হাসপাতালে আমাকে দেখতে গিয়েছেন। আমরা দু’জনই পরিণত। সামনাসামনি হলে এবং নিজেদের মধ্যে কথা হলে সম্পর্ক উন্নত হতে পারে।’
তামিমের এই মন্তব্যেই বোঝা যায়, ব্যক্তিগত বিরোধ থাকলেও তামিম এখনও চান সাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্কটা সুস্থতায় ফিরুক।