জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সংশ্লিষ্ট শাখা ছাত্রশিবির এ উৎসবের আয়োজন করে।

জানা গেছে, সকাল ৮টা থেকে জাবি শাখা শিবিরের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদ প্রাঙ্গণে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। প্রকাশনা উৎসবে বিভিন্ন ধরনের ইসলামি ও কর্মমুখী বইয়ের পাশাপাশি উপস্থিত কুইজ ও পুরস্কারের ব্যবস্থা রাখা হয়।

শিবিরের পক্ষ থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের আয়োজন এবারই প্রথম। উৎসবে বিভিন্ন শিক্ষক ও কর্মচারীদেরও বই কিনতে দেখা যায়। পাশাপাশি শিবিরের পরিচিতি, কোরআন শরীফ শিক্ষার্থীদের উপহার হিসেবে বিতরণ করতে দেখা যায়। 

বই কিনতে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাকিব হোসাইন বলেন, “শিবিরের এ প্রকাশনা উৎসবকে আমি আমার জায়গা থেকে ধন্যবাদ জানাব। এখানে বেশকিছু বই আমার ভালো লেগেছে। যেমন- নবীজি (সঃ) এর সিরাত সংকলন, আর-রাহিকুল মাখতুম, এই উপমহাদেশে কিভাবে ইসলামের প্রচার হয়েছে, একটা আদর্শিক দল কিভাবে তার মূল পয়েন্ট থেকে বিচ্যুত হয় ইত্যাদি। সমসাময়িক প্রেক্ষাপটেও কয়েকটি বই ভালো ছিল।”

আয়োজন সম্পর্কে জাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “জাহেলিয়াতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এবং শিক্ষা সংস্কার ও বিকাশের জন্য সংগঠনের ঐতিহ্যের আলোকে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও প্রকাশনা উৎসব করছে। কেন্দ্রের সহায়তায় সারাদেশে প্রকাশনা উৎসব হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় জাবি শাখা ছাত্রশিবির প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন করেছে।”

তিনি বলেন, “শিবির শুধু একটি সংগঠন নয়, এটি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আমরা শিক্ষার্থীদের নৈতিক চরিত্র, মানোন্নয়ন ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে থাকি। ছাত্রশিবির সমৃদ্ধ, মেধাবী, সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরীর জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সেই লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের মেধার পরিধি বৃদ্ধি এবং জ্ঞানের রাজ্যে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য এ প্রকাশনা উৎসব।”

এদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে শাবিপ্রবি শাখা ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী নববর্ষ প্রকাশনা উৎসব শুরু হয়েছে। এতে ছাত্রশিবিরের নিজস্ব প্রকাশনা—ক্যালেন্ডার, স্টিকার, সায়েন্স ফিকশন বই, ইসলামী সাহিত্য, ধর্মীয় বই এবং শিবিরের সিলেবাসভিত্তিক বিভিন্ন বই প্রদর্শিত ও বিক্রি করা হচ্ছে।

ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আল-আমিন বলেন, “ফ্যাসিজম-পরবর্তী সময়ে ছাত্রশিবিরের শিক্ষা, বুদ্ধিভিত্তিক ও ক্যারিয়ারমুখী উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। এতদিনের ট্যাগিং ও মাইনাস ফর্মুলার রাজনীতির কারণে আমরা তাদের সম্পর্কে জানার সুযোগ পাইনি। সব ছাত্র সংগঠন যদি এমন সৃজনশীল কার্যক্রম গ্রহণ করে, তাহলে শিক্ষার্থীরা সংগঠনগুলোর প্রকৃত দিক বুঝতে পারবে। এতে গণতান্ত্রিক চর্চা ও ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।”

শাবিপ্রবি শাখার সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা তুহিন বলেন, “দীর্ঘ ১৫ বছরেরও বেশি সময় পর এমন একটি আয়োজন করতে পেরে আমরা কৃতজ্ঞ। আল্লাহর রহমতে, সারা দেশের মতো শাবিপ্রবিতেও প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন সম্ভব হয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের কাছে আমাদের সৃজনশীল কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে চেয়েছি।”

তিনি বলেন, “উদ্বোধনের পর থেকেই শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পেয়েছি। তারা উৎসবের বই ও সামগ্রী কেনার জন্য স্টলে ভিড় করছেন। এটি আমাদের ভবিষ্যতে আরও ইতিবাচক কার্যক্রমের জন্য অনুপ্রাণিত করবে।”

ঢাকা/আহসান/ইকবাল/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

মেঘ-রোদের লুকোচুরির সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 

মেঘ রোদের লুকোচুরির সকালে শিল্পী সোহানী মজমুদার সেতার বাদনে ‘রাগ আহীর ভৈরব’ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বর্ষাকাল উদযাপনের আয়োজন। রোববার সকাল সোয়া ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলায় বর্ষা উৎসব উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে ‘বর্ষা উৎসব’ অনুষ্ঠিত হয়।

আষাঢ়ের প্রথম দিন এই আয়োজনটি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় সম্পন্ন হয়। গানে, কথনে, আবৃত্তিতে বর্ষা বন্দনা করা হয়। 

আয়োজনে রাগ ভৈরবীর পর বর্ষা কথন পর্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শিল্পী কাজী মিজানুর রহমান। ঘোষণা পাঠ করেন- সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট। আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. নিগার চৌধুরী।

কথনের পর মূল আয়োজনে সঙ্গীত পরিবেশন করেন- ইয়াসমিন মুশতারী, সালাউদ্দিন আহমেদ, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী, অনিমা রায়, শামা রহমান, মকবুল হোসেন, ফেরদৌসী কাকলি, বিমান চন্দ্র বিশ্বাস, শ্রাবনী গুহ রায়সহ আরও অনেকেই।

এছাড়াও আবৃত্তি পরিবেশন করেন নায়লা তারাননুম চৌধুরী কাকলি, আসান উল্লাহ তমালসহ অনেকেই।

দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন ধৃতি নর্তনালয়, নৃত্যাক্ষ, স্পন্দন, বেমুকা ললিতকলা কেন্দ্র, সিনথিয়া একাডেমি অফ আর্টস ও নৃত্যম।

এছাড়া ধরিত্রীকে সবুজ করার লক্ষ্যে প্রতীকীভাবে শিশু-কিশোরদের মাঝে বনজ, ফলদ ও ওষুধি গাছের চারা বিতরণ করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফল উৎসব 
  • কপালে ১৩টি এবং থুতনিতে ৪টি সেলাই করা লাগে
  • দেশের পর এবার বিদেশেও ঈদের সিনেমার মুক্তি
  • বকুলতলায় বৃষ্টির সুর
  • কলকাতায় নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করলেন জয়া
  • ৫ আসামিকে বাদ দিতে হলফনামা, বাদী কৃষক দল নেতাকে শোকজ
  • বর্ষা উৎসবে বন ও পরিবেশ ধ্বংসের প্রতিবাদ, পান্থকুঞ্জ পার্ক রক্ষাসহ কয়েকটি দাবি
  • নাচ-গান-আবৃত্তিতে চারুকলায় বর্ষাবরণ
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরির সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • এবারের বাজেট ট্রাম্প ও আইএমএফএ’র দুই পায়ে দাঁড়ানো: আনু মুহাম্মদ