বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‍“তরুণ প্রজন্ম এখন অনেক বেশি প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং অনেক বেশি তারা জানে। এই জানার কোনো শেষ নাই। এ কারণে তরুণ প্রজন্মকে পড়ালেখার ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।”

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার একটি অভিজাত রিসোর্টে ঢাকা কলেজের রিইউনিয়ন অনুষ্ঠানে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। 

ঢাকা কলেজ নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমি ঢাকা কলেজে পড়ালেখা করেছি। ১৯৬৩-৬৫ ব্যাচের পড়াকালীন ঢাকা কলেজের অনেক বন্ধুদের আজকে এখানে পেয়েছি। তখনকার সময় আর এখনকার সময়ের অনেক পার্থক্য। চিন্তা, ভাবনা, প্রযুক্তি এবং জেনারেশনের বিরাট পার্থক্য।”

আরো পড়ুন:

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ‘অনেকটা বেটার’: ফখরুল

বিএনপি মনে করে, চলতি বছরেই জাতীয় নির্বাচন ‘অত্যন্ত জরুরি’ 

তিনি বলেন, “ঢাকা কলেজের ছাত্র হিসেবে আমি গর্বিত। সেই কলেজ থেকে অনেক কিছু শিখেছি, দেখেছি। ঢাকা কলেজ থেকেই ছাত্র রাজনীতির ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে ছাত্র জীবনে। সব মিলিয়ে ঢাকা কলেজের জীবন আনন্দময় ছিল।”

অনুষ্ঠানে ঢাকা কলেজের সাবেক ভিপি ও রিইউনিয়ন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মীর সরফত আলী সপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর প্রমুখ।

ঢাকা/রতন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম র জ ফখর ল ইসল ম আলমগ র ব এনপ কল জ র ফখর ল

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস

রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।

‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।

এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।

বর্ষার ফুলের উৎসব

বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!

রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।

এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ