দারুণ ছন্দে থাকা চট্টগ্রাম কিংসকে ১২১ রানে আটকে দিয়েছে ফরচুন বরিশাল। দলটির স্থানীয় পেসার রিপন মন্ডল ও পাকিস্তানি পেস অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফ দারুণ বোলিং করে আটকে দিয়েছে চট্টগ্রামকে। ৮ উইকেটের মধ্যে সমান তিনটি করে ৬ উইকেট এই দুই পেসারই নিয়েছেন।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২১ রানে পাকিস্তানি ওপেনার উসমান খান ফিরে যান। ১৩ বলে ১৯ রান করেন তিনি। দলের ২৯ রানে সাজঘরে ফিরলেও মাত্র ১ রান যোগ করেন ওপোনার পারভেজ ইমন। তার আগে ৮ রান করে ফিরে যান গ্রাহাম ক্লার্ক।
ওই ধাক্কা আর সামলাতে পারেনি চট্টগ্রাম। অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে ৩৪ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন। তিনি দুটি চারের সঙ্গে একটি ছক্কার শট খেলেন। আটে নেমে স্পিনার আরাফাত সানি ৩৪ বলে ২৭ রান যোগ করলে একশ’ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম।
ফাহিম আশরাফের স্লো মিডিয়াম বল খেলতেই পারেনি চট্টগ্রামের ব্যাটার। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন। রিপন মন্ডল ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। স্পিনার তানভির ৪ ওভারে দেন মাত্র ১৪ রান। তুলে নেন ২ উইকেট।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
ফতুল্লার লামাপাড়ায় মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, কোর্স সমাপনী সনদ প্রদান, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থতার বর্ষপূর্তি ও খেলাধূলার আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।
মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রয়াস বিগত ২২ বছর যাবত নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা করে যাচ্ছে।
সব ধরনের আইন ও বিধি-বিধান মেনে সেবার মানোন্নয়ন প্রয়াসের বর্তমান লক্ষ্য। শুধু চিকিৎসা সেবা প্রদান নয়, বরং মানসম্পন্ন টেকসই সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসা পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রম কেন্দ্রটি পরিচালনা করে থাকে।
জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রয়াসে চিকিৎসা কোর্স সম্পন্নকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান, প্রাক্তন সদস্যদের মনিটরিং, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থ থাকার স্বীকৃতি ও জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহণ প্রয়াসের টেকসই চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ।
তিনি আরো বলেন, আমরাই প্রথম নারায়ণগঞ্জে ৪০ বেডে লাইসেন্স প্রাপ্ত মাদকাসক্ত চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রয়াসের প্রতিষ্ঠা ২০০৩ সালে হলেও আমরা লাইসেন্স পেয়েছি ২০০৬ সালে। গত ২০২১ সাল থেকে আমরা প্রতিবছর সরকারি অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসছি।
এসময় তিনি অভিভাবক প্রতিনিধি ও প্রাক্তন সদস্যদের প্রয়াসের সামগ্রিক কার্যক্রমে সংযুক্ত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, অফিসার এডমিন সাজ্জাদ হোসেন, প্রোগ্রাম অফিসার শেখ ফরিদ উদ্দিন ও মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, শওকত হোসেন, লিটন, আমজাদ, বাবুসহ রিকোভারীবৃন্দ।