প্রেম করে বিয়ে, ৫ মাসেই লাশ গৃহবধূ
Published: 20th, January 2025 GMT
রাজধানীর ডেমরা এলাকার একটি বাসা থেকে জান্নাতী আক্তার মুন্নি (১৮) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে ডেমরা সুকুরশি ঢালিবাড়ি এলাকার বাসার নিচতলা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ময়না তদন্তের জন্য সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
বরগুনার আমতলি উপজেলার আবুল বাসার আকন্দের মেয়ে জান্নাতি। বর্তমানে ডেমরা সুকুরশি এলাকায় স্বামী নাজমুল হাওলাদারের সঙ্গে থাকতেন।
হাসপাতালে জান্নাতীর শ্বশুর কামাল হোসেন জানান, ৫ মাস আগে প্রেমের সম্পর্ক করে তার ছেলে নাজমুল জান্নাতীকে বিয়ে করেন। নাজমুল একটি মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করেন। সোমবার সকালে নাজমুল বাসায় কম্পিউটারে কাজ করছিলেন। এ সময় জান্নাতী এসে হঠাৎ করে কম্পিউটার বন্ধ করে দেন। এ বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর নাজমুল কাজে বের হয়ে যান। শ্বশুরও বাইরে চলে যান। কিছুক্ষণ পর বাসায় ফিরে এসে দেখেন, জান্নাতী ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে। পরে নিজেরাই ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নিচে নামিয়ে এরপর পুলিশ খবর দেন তারা।
ডেমরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা জানান, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি পারিবারিক কলোহের জেরে জান্নাতী নামে গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ঢাকা/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পটুয়াখালীতে সৎমা ও দাদিকে গলা কেটে হত্যা
পটুয়াখালীতে কুলসুম বেগম ও মোসা. সাহিদা বেগম নামের দুই নারীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক তরুণের বিরুদ্ধে। আজ শুক্রবার বেলা একটার দিকে সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের চারাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত আল আমিন (২৭) সম্পর্কে নিহত সাহিদা বেগমের সৎছেলে এবং বৃদ্ধা কুলসুম বেগমের নাতি। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত দুই নারীর স্বজন মো. আশ্রাফ খাঁ জানান, আল আমিন দীর্ঘদিন ধরে অস্বাভাবিক চলাফেরা করছেন। এরপর তাঁর পরিবার তাঁকে মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। দুপুরে আল আমিনের বাবা রাজ্জাক খাঁ পাশের একটি মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে গেলে আল আমিন দা দিয়ে গলা কেটে তাঁর সৎমা সাহিদা বেগম ও বৃদ্ধ দাদি কুলসুম বেগমকে হত্যা করেন।
বাহাদুর আলম খাঁ (৫০) নামের এক আত্মীয় বলেন, নিহত সাহিদা সম্পর্কে তাঁর চাচিশাশুড়ি এবং কুলসুম বেগম দাদিশাশুড়ি। দুপুরে বাড়ির সবাই জুমার নামাজ পড়তে গেলে মানসিক ভারসাম্যহীন ছোট ছেলে আল আমিন রান্নার কাজে ব্যবহৃত ধারালো দা দিয়ে প্রথমে সৎমা এবং পরে দাদিকে গলা কেটে হত্যা করেন। তিনি বলেন, আল আমিন মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করে পটুয়াখালী সরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর তিন বছর আগে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতে যান। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসক দেখালেও সুস্থ হননি।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, দুই নারীকে হত্যার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। হত্যাকাণ্ড ঘটানো ব্যক্তি ওই পরিবারের সদস্য। ঘটনার পর মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। জড়িত তরুণ এখন পলাতক। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন কি না, তদন্ত করে দেখা হবে।