Samakal:
2025-11-03@08:52:04 GMT

ভুগতে পারেন নানা রোগে

Published: 20th, January 2025 GMT

ভুগতে পারেন নানা রোগে

ঘন ঘন ভুলে যাচ্ছেন? ডিমেনশিয়ার উপসর্গ মনে হলেও আদতে ভিটামিনের ঘাটতি নয় তো? ভিটামিন বি১২ শরীরের অতি প্রয়োজনীয় একটি পুষ্টি উপাদান। মানবদেহ সরাসরি এই ভিটামিন উৎপাদন করতে না পারায় এর ঘাটতি দেখা যায়।
মানবদেহের একটি অতি প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান ভিটামিন বি১২। রক্তের গঠন ও স্নায়ুতন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করার জন্য এই ভিটামিনের প্রয়োজন হয়।  মানবদেহ এই ভিটামিন সরাসরি উৎপাদন করতে পারে না। এর জন্য আমাদের শরীরকে নির্ভর করতে হয় যথাযথ খাবার ও ফুড সাপ্লিমেন্টের ওপর। বিশেষ করে নিরামিশাষীদের মধ্যে এ ভিটামিনের ঘাটতি দেখা যায়। কারণ, এটি ‘প্লান্টবেসড ভিটামিন’ নয়। ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি বুঝতে অনেক সময় দেরি হয়ে যায়। কারণ, এর উপসর্গগুলো অনেকটা ডিমেনশিয়ার উপসর্গের মতো।
lকোনো বিষয়ে সংশয় তৈরি হচ্ছে? এর কারণ ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি। এই ভিটামিন সারা শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ করা রক্তের কোষগুলোকে সক্রিয় রাখে। এই ভিটামিনের অভাব ঘটলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়। ফলে ঘন ঘন সংশয় দেখা দিতে পারে।
l যখন-তখন মুড অফ হয়ে যাচ্ছে? কারণটা ভিটামিন বি১২-এর অভাব। দীর্ঘদিন একইভাবে চলতে চলতে ডিপ্রেশনও হতে পারে। কারণ, ভিটামিন বি১২ কম থাকলে হোমোসিস্টিনের পরিমাণ বেশি হয়ে যায়। ফলে মস্তিষ্কের কিছু টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
l কোনো কিছুতেই ঠিকঠাক মন বসাতে পারেন না? অথচ আগে এ করম হতো না। তাহলে সম্প্রতিই আপনার শরীরে ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি হয়েছে। শরীরে পুষ্টি উপাদানের অভাব ঘটলেই এই মনোসংযোগের সমস্যা হয়।
lপ্রায়ই কোনো জিনিস ভুলে যাওয়া বা কথা বলতে বলতে খেই হারিয়ে ফেলার মতো ঘটনা ঘটলে আগেই ডিমেনশিয়া ভেবে নেবেন না; এটি ভিটামিন বি১২-এর অভাবেও কিন্তু হতে পারে। 
কী করবেন?
এই ধরনের উপসর্গগুলো হলেই দেরি না করে চিকিৎসককে দেখিয়ে নিন। এ ছাড়া ত্বক ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া, দুর্বল লাগা, আচমকাই শ্বাস নেওয়ার সমস্যা দেখা দিলে বুঝবেন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। রক্ত পরীক্ষা করলেই ধরা পড়বে আপনার ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি আছে কিনা। তখন প্রয়োজনীয় খাবার ও ফুড সাপ্লিমেন্ট নিতে হবে। v

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এই ভ ট ম ন র উপসর গ

এছাড়াও পড়ুন:

সামুদ্রিক মাছে ভরপুর আড়ত, দাম কেমন

স্তূপ করে রাখা ইলিশে ভরে গেছে ঘাট। চারদিকে মাছের গন্ধ, বরফের ঠান্ডা ধোঁয়া, ক্রেতার হাঁকডাক। কেউ দর কষছেন, কেউ আবার টাটকা ইলিশ দেখে ব্যাগভর্তি করে নিচ্ছেন। গতকাল শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের কর্ণফুলী নদীর তীরে ফিশারিঘাটের নতুন মাছবাজারে গিয়ে দেখা গেল এই ব্যস্ত চিত্র।

নিষেধাজ্ঞার পর বাজার যেন নিজের ছন্দে ফিরেছে। গত ২৫ অক্টোবর সাগরে মাছ ধরার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। এর পর থেকেই একের পর এক ট্রলার ভিড়ছে ঘাটে—কোনো ট্রলারভর্তি লইট্টা, কোনোটা ছুরি, চিংড়ি, ফাইস্যা বা ইলিশে ভরপুর। ভোর থেকেই আড়তগুলোয় শুরু হয় নিলাম, পরে সেই মাছ চলে যায় শহরের বাজারে। এমনকি জেলার গ্রামীণ হাটবাজারেও পৌঁছে যাচ্ছে ট্রাকভর্তি মাছ।

গতকাল দুপুরে গিয়ে দেখা গেল, নদীর ঘাট ঘেঁষে ট্রলার। ঘাটে নামছে বরফঠান্ডা মাছের বাক্স। আড়তের সামনে ইলিশের স্তূপ ঘিরে ক্রেতাদের ভিড়। বিক্রেতারা তখন বরফ ছুড়ে দিচ্ছেন মাছের ওপর। ছোট আকারের ইলিশের দাম ক্রেতাদের কেউ হাঁকছেন ১০ হাজার, কেউ ১২ হাজার টাকা—শেষমেশ দর থামছে ১৬ হাজার টাকায়। ওই দরে বিক্রি হলো ১ মণ ছোট আকারের ইলিশ। এক কেজিতে পড়ছে পাঁচ থেকে ছয়টি করে মাছ।

নিষেধাজ্ঞার সময় মাছ ধরা বন্ধ থাকায় বাজারে সরবরাহে ঘাটতি ছিল। এখন ধীরে ধীরে সব ঠিক হচ্ছে। তবে গত কয়েক দিন সাগরের নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় অনেক জেলে গভীর সমুদ্রে যেতে পারেননি। ফলে বড় ইলিশ আসছে কম।নুর মোহাম্মদ, আড়তদার

মেসার্স হাজি আবদুল গণি ফিশিংয়ের স্বত্বাধিকারী নুর মোহাম্মদ প্রথম আলোকে জানান, নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর থেকেই জেলেরা সমুদ্রে পাড়ি জমিয়েছেন। কিন্তু বড় আকারের ইলিশ এখনো তেমন ধরা পড়ছে না। ছোট ও মাঝারি ইলিশই বাজারে বেশি আসছে।

ব্যস্ত ঘাট, ব্যস্ত আড়ত

ফিশারিঘাটে এখন সকাল থেকেই যেন উৎসবের আমেজ। ট্রলার ঘাটে ভিড়লেই শুরু হয় কর্মচাঞ্চল্য। আড়তগুলোর সামনেই চলছে বাক্সে মাছ ভরানোর কাজ। আড়তদারেরা জানান, চট্টগ্রামের এই ঘাটে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার মাছ বিক্রি হয়। নিষেধাজ্ঞার সময় বাজার একটু স্তিমিত থাকে। অন্য সময় লেগে থাকে ব্যস্ততা।

ছোট ইলিশ কেজিতে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবার কোনো ইলিশ সাড়ে ৩০০ টাকায়ও পাওয়া যাচ্ছে। বড় আকারের যেগুলো, সেগুলোর দাম একটু চড়া; প্রতি কেজি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা।

আড়তদার নুর মোহাম্মদের মতে, নিষেধাজ্ঞার সময় মাছ ধরা বন্ধ থাকায় বাজারে সরবরাহে ঘাটতি ছিল। এখন ধীরে ধীরে সব ঠিক হচ্ছে। তবে গত কয়েক দিন সাগরের নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় অনেক জেলে গভীর সমুদ্রে যেতে পারেননি। ফলে বড় ইলিশ আসছে কম। একই আক্ষেপ করলেন মেসার্স মা মরিয়ম ফিশিংয়ের কর্ণধার ছৈয়দ নুর। তিনি বলেন, বড় আকারের ইলিশ কম আসছে। তবে অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ প্রচুর ধরা পড়ছে। বিক্রিও ভালো।

দরদাম যেমন

ফিশারিঘাটের পাইকার ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ছোট ইলিশ কেজিতে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবার কোনো ইলিশ সাড়ে ৩০০ টাকায়ও পাওয়া যাচ্ছে। বড় আকারের যেগুলো, সেগুলোর দাম একটু চড়া—প্রতি কেজি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা।

মাছের ওপর বরফ ছিটানো হচ্ছে। গতকাল দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম নগরের ফিশারিঘাট নতুন মাছ বাজারে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্রেন ক্যানসারের যে ৭টি লক্ষণ আমরা সাধারণ ভেবে এড়িয়ে যাই
  • চলন্ত অবস্থায় বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করতে সক্ষম সড়ক চালু ফ্রান্সে
  • সবজি দেখলেই ভয় পান? তাহলে আপনারও আছে ল্যাকানোফোবিয়া
  • চট্টগ্রামে বছর শেষে বাড়ছে ডেঙ্গু, কমেছে চিকুনগুনিয়া
  • জ্বালানি খাতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রয়োজন
  • বাজারে আগাম সবজি আসতে দেরি, দাম চড়া
  • যশোরে জিআই পণ্য খেজুর গুড় তৈরির রস সংগ্রহে গাছ প্রস্তুতির উদ্বোধন
  • টমাহক কত দূরে আঘাত হানতে পারে, রাডারে কেন ধরা পড়ে না
  • সামুদ্রিক মাছে ভরপুর আড়ত, দাম কেমন
  • ইউক্রেনকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দিতে পেন্টাগনের সায়, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ট্রাম্প