বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে লিউ চিয়ান ছাওয়ের সাক্ষাৎ
Published: 21st, January 2025 GMT
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিভাগের মন্ত্রী লিউ চিয়ান ছাও মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বেইজিংয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাত্কালে লিউ বলেন, “চীন ও বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে ভালো বন্ধু, ভাল অংশীদার এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব রয়েছে। চীন বাংলাদেশের জনগণকে তাদের নিজস্ব উন্নয়নের পথ বেছে নিতে সমর্থন করে এবং রাজনৈতিক সংস্কার ও নির্বাচনী এজেন্ডাকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করে। চীন বিশ্বাস করে যে বাংলাদেশ ঐক্য, স্থিতিশীলতা, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের পথে ফিরে আসবে। চীন ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে যৌথ নির্মাণে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য এবং চীন-বাংলাদেশ ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বের অব্যাহত উন্নযনের জন্য বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক। চীনের কমিউনিস্ট পার্টি বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আদান-প্রদান বজায রাখতে, রাষ্ট্র পরিচালনায পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং পারস্পরিক শিক্ষা বৃদ্ধি, রাজনৈতিক পারস্পরিক বিশ্বাসকে গভীর করতে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জনমতের ভিত্তি ক্রমাগত সুসংহত করতে ইচ্ছুক।”
আরো পড়ুন:
ক্লাবের আল্টিমেটাম: জরুরি বোর্ড মিটিং ডেকেছে বিসিবি
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বৈঠক
তৌহিদ হোসেন বলেন, “বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে চীনের সঙ্গে সহযোগিতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলাদেশে অনেক বড় আকারের অবকাঠামো প্রকল্প চীন নির্মিত। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে চীনের দীর্ঘমেয়াদী মূল্যবান সহায়তার জন্য বেইজিংকে ধন্যবাদ জানায় ঢাকা। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি যতই পরিবর্তিত হোক না কেন, বাংলাদেশ-চীন বন্ধুত্বের কোনো পরিবর্তন হয়নি এবং হবেও না। বাংলাদেশ ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ যৌথ নির্মাণে সমর্থন করে এবং সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে এবং অর্থনীতি, বাণিজ্য, অবকাঠামো এবং চিকিত্সা ক্ষেত্রে চীনের সাথে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে ইচ্ছুক। চীনা কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও পরিচালনা করতে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। বাংলাদেশের নতুন সরকার জনগণের ডাকে সাড়া দিতে এবং জনগণের বিশেষ করে তরুণদের উদ্বেগের সমস্যা সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং চীনের সাথে আন্তঃপার্টির বিনিময় ও সহযোগিতা আরও জোরদার করতে ইচ্ছুক।”
ঢাকা/হাসান/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পরর ষ ট র উপদ ষ ট র পরর ষ ট র সহয গ ত
এছাড়াও পড়ুন:
স্বচ্ছতার জন্য ডিএনসিসির প্রকল্পের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে:
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সব প্রকল্পের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) ডিএনসিসির ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত পশ্চিম শেওড়াপাড়া, পশ্চিম কাজীপাড়া ও সেনপাড়া পর্বতা এলাকায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা, ৫ কিলোমিটার নর্দমা ও দেড় কিলোমিটার ফুটপাত নির্মাণকাজের উদ্বোধন ও গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা জানান।
ডিএনসিসির প্রশাসক বলেন, ডিএনসিসির সব প্রকল্পের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। প্রকল্পটি কবে শুরু হবে, কবে শেষ হবে, কতা টাকা বরাদ্দ আছে—এসব তথ্য ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। এছাড়া, রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ হলে নির্মাণ সামগ্রী কী, সেটা জনগণের জানা দরকার। যখন জনগণ জানবে, তখন তারা জবাবদিহি করতে পারবে।
তিনি বলেন, “আমি গত সপ্তাহে কাউকে না জানিয়ে ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে চলমান কাজ পরিদর্শন করতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখলাম, রাস্তাকে ধরে রাখার জন্য যে ওয়াল (বিশেষ দেয়াল) দেওয়া হয়েছে, সেটার পিলার বানানোর কথা ছিল স্টোন দিয়ে; কিন্তু বানিয়ে রেখেছে ব্রিক দিয়ে। এটা বড় দুর্নীতি। স্থানীয় মানুষ যদি না জানে, কী নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হবে, তাহলে দুর্নীতি করাটা সহজ। তথ্যের যত বেশি আদান-প্রদান হবে, তথ্য যত বেশি পাবলিক করা হবে, জনগণ তত বেশি জবাবদিহি করতে পারবে। আমি ঠিকাদারকে জানিয়ে দিয়েছি, সঠিক নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার না করলে বিল দেব না। তারা বলেছে, এটা ঠিক করে দেবে।”
মোহাম্মদ এজাজ বলেন, যার যার এলাকার কাজ তারা বুঝে নেবেন। বুঝে নেওয়ার জন্য যত তথ্য ও সহযোগিতা লাগবে, সেটা আমরা দেব। ডিএনসিসির ওয়েবসাইটে প্রকল্পের সব তথ্য ও ঠিকাদারের ফোন নম্বরসহ দেওয়া থাকবে। স্থানীয় জনগণ স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী কাজ বুঝে নেবেন। আমরা চাই, সকলের অংশগ্রহণে উন্নয়নকাজ সম্পন্ন হবে। এতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।”
তিনি বলেন, “আমরা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতে গিয়ে স্থানীয় সোসাইটি, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সহযোগিতা পাচ্ছি। সবার অংশগ্রহণ বাড়াতে আমি বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের নিয়ে গণশুনানি করছি। প্রতি মাসে ফেসবুক লাইভে দেশে-বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের সাথে যুক্ত হচ্ছি। ডিএনসিসির সবার ঢাকা অ্যাপ আছে, সেটির পাসওয়ার্ড পর্যন্ত আমাদের দিচ্ছে না। আগে যারা ক্ষমতায় ছিলেন, তারা ৪ কোটি টাকা খরচ করে এই অ্যাপ বানিয়েছে। পাসওয়ার্ড না দিলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।”
ডিএনসিসির প্রশাসক বলেন, মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় হকারদের জন্য হাটা যায় না। মানুষের অবাধ চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা যাবে না। ঢাকা শহরে মানুষের চলাচলের অধিকার সবার আগে, সেই অধিকার আমরা বাস্তবায়নের চেষ্টা করব। মিরপুর-১০ এর প্রধান সড়কের যত হকার ও অটোরিকশা আছে, সেগুলো আমরা বন্ধ করে দেব। যারা এ ধরনের ইনফরমাল পেশায় যুক্ত আছেন, তাদের পুনর্বাসনের জন্যও আমরা প্ল্যাটফর্ম করব। তাদের জন্যও বিকল্প ব্যবস্থা আমরা তৈরি করব। এই শহরটা সবার, সবাই একসাথে বসবাস করব; কিন্তু অন্যদের কষ্ট না দিয়ে, অন্যের অধিকার নষ্ট না করে।
বক্তৃতা শেষে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন এবং মোনাজাতে অংশ নেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, অঞ্চল-৪ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহাবুব আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
ঢাকা/এএএম/রফিক