কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে এক সিএনজি চালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ এনে কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলামসহ ৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন নিহতের মেয়ে।

অন্য চার আসামি হলেন এসআই কামাল হোসেন, এসআই মোস্তফা মিয়া, এএসআই নাহিদ হাসান ও কনস্টেবল আশরাফুল ইসলাম।

নিহত সিএনজি চালক ইয়াসিন মিয়ার (৪০) মেয়ে মরিয়ম আক্তার বাদী হয়ে গত রোববার কিশোরগঞ্জের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন।

বিচারক সুব্রত দাস পিবিআইকে (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) অভিযোগের তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। 

এদিকে কিশোরগঞ্জ পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মো.

মিজানুর রহমানকে জিজ্ঞাসা করলে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত তার কার্যালয়ে এ ধরনের কোনও আদেশের কপি যায়নি বলে জানিয়েছেন।

অভিযোগে জানা যায়, গত ৬ জানুয়ারি রাতে কটিয়াদী থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্য জালালপুর ইউনিয়নের চর জাকালিয়া গ্রামে লিটন মিয়ার বাড়িতে মাদকবিরোধী অভিযান চালান। এসময় বাড়ির অন্যরা পালিয়ে গেলেও ইয়াসিন মিয়াকে পেয়ে পুলিশ তাকে পিটিয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ ওঠে।

ইয়াসিন মিয়ার বাড়ি পার্শ্ববর্তী নরসিংদীর বেলাবো এলাকায়। তিনি ওই গ্রামে বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। ঘটনার সময় তিনি লিটন মিয়ার বাড়িতে আড্ডা দিতে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। তবে পুলিশ বলছে, ইয়াসিন মাদক কারবারি। পুলিশের অভিযানের সময় পালাতে গিয়ে তিনি হৃদরোগে মারা গেছেন।

কটিয়াদী থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, নিহতের মেয়ে মরিয়ম আক্তার এইচএসসি পড়ছেন। তিনিও জেনেছেন, মরিয়ম মামলা করার পর তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পিবিআইকে।

এদিকে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী ইতোমধ্যে ওসি ছাড়া অপর চার পুলিশ সদস্যকে থানা থেকে প্রত্যাহার করেছেন বলে জানিয়েছেন।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় এসআইসহ নিহত ৩

যশোরে বাঁশ বোঝাই ট্রাকে বাসের ধাক্কায় পুলিশের এসআইসহ তিনজন মারা গেছেন।

রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে বাঘারপাড়া উপজেলার জামদিয়া ইউনিয়নের ভাঙ্গুড়া বাজার সংলগ্ন ব্রিজের কাছে যশোর-নড়াইল মহাসড়কে দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।

আরো পড়ুন:

বরিশালে দুই বাসের সংঘর্ষে আহত ৬

বরিশালে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারীর মৃত্যু

নিহতরা হলেন- যশোর সদর উপজেলার বড় ভেকুটিয়া গ্রামের মুজিদ হাওলাদারের ছেলে ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাফর আলী, বসুন্দিয়া আহমেদ আলীর ছেলে আক্তার হোসেন, বাঘারপাড়া উপজেলার ছাতিয়ানতলা এলাকার নিশিকান্ত অঢ্যের ছেলে এসআই নিক্কন অঢ্য।

তুলারামপুর হাইওয়ে পুলিশ জানায়, নড়াইল-যশোর মহাসড়কের ভাঙুড়া বাজার এলাকায় একটি বাঁশ বোঝাই ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। ঢাকা থেকে যশোরগামী ‘নড়াইল এক্সপ্রেসের’ একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান বাসযাত্রী আক্তার হোসেন।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আবু জাফর ও পুলিশ কর্মকর্তা নিক্কন আঢ্যকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান এলাকাবাসী। হাসপাতালে নেওয়ার পর আবু জাফরকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

পুলিশ কর্মকর্তা নিক্কনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে নড়াইল সদর হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। রাত সাড়ে ১২ টার দিকে চিকিৎসক নিক্কনকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ জানায়, এসআই নিক্কন আঢ্য ৩৭ ব্যাচে আউটসাইড ক্যাডেট হিসাবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। তিনি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে লোহাগড়া থানার লাহুড়িয়া তদন্তে কেন্দ্রে যোগ দেন। এর আগে তিনি র‍্যাবে কর্মরত ছিলেন।

তুলারামপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী জানান, স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা জাফর ও আক্তারের মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তার মরদেহ নড়াইল মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ঢাকা/রিটন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাল টাকা বহন: ২ জনের ১৪ বছর কারাদণ্ড
  • যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় এসআইসহ নিহত ৩