দুই হালি ডালিম ও এক হালি মাল্টা ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি
Published: 22nd, January 2025 GMT
মৌলভীবাজারের রাজনগরে দুই হালি ডালিম ও এক হালি মাল্টা দাম ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের জামেয়া ইসলামিয়া মরিছা মাদরাসায় আয়োজিত বার্ষিক মাহফিলে দান করা ডালিম ও মাল্টা নিলামে বিক্রি হয়।
স্থানীয়রা জানান, জামেয়া ইসলামিয়া মরিছা মাদরাসার বার্ষিক মাহফিলে দান করা দুই হালি ডালিম ও এক হালি মাল্টা বক্তা মুফতি মুশাহিদ ক্বাসেমী নিলামে তোলেন। নিলামে সর্বোচ্চ দাম হাঁকিয়ে ৫০ হাজার টাকা তা কিনে নেন সংযুক্ত আরব আমিরাতপ্রবাসী মাওলানা শরিফ আক্তার হুসাইন।
জামেয়া ইসলামিয়া মরিছা মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা ফখরুল ইসলাম শাহীন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মাদরাসার বার্ষিক মাহফিলে শুভাকাঙ্ক্ষীরা এ ফলগুলো দান করেন। পরে ফলগুলো নিলামে তোলা হলে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। মূলত ফল কিনে মাদরাসার সহযোগিতা করা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কমল ৫০ হ জ র ট ক ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
হাওরে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে সাদা শাপলা
হাওরের বুক চিরে চলে গেছে পিচঢালা আঁকাবাঁকা রাস্তা। দুই ধারে থৈ থৈ স্বচ্ছ পানি। তাতে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে সবুজ গোল পাতার ওপর নয়নাভিরাম সাদা শাপলা।
প্রকৃতিতে শরৎ এসেছে। তবে, হাওরে এখনো বর্ষার আমেজ। অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে এখনো পানিতে টইটুম্বুর হাওর। পথে যেতে যেতে দেখা মেলে শিল্পীর আঁকা ছবির মতো দৃশ্য।
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার রাজনগর-বালাগঞ্জ সড়কের পাশে কাউয়াদিঘি হাওরে পানির কমতি নেই। পানির ওপরে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে সাদা শাপলা। স্বচ্ছ জলে ভাসছে হংস-মিথুন। এ যেন অপরূপ ছবির ক্যানভাস, রূপসী বাংলার শাশ্বত চিত্র।
এমন দৃশ্য দেখে হয়ত কেউ মনের অজান্তেই গুনগুনিয়ে গাইছেন, ‘যখন তোর ঐ গায়ের ধারে/ঘুঘু ডাকা নিঝুম কোনো দুপুরে/ হংস-মিথুন ভেসে বেড়ায়/শাপলা ফোটা টলটলে ঐ পুকুরে’।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কাউয়াদিঘি হাওরের সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করে। বিশেষ করে, সাদা শাপলা সবার মন কাড়ে। দূর-দূরান্ত মানুষ ছুটে আসেন প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
সম্প্রতি হাওরপাড়ে দেখা হয় বেড়াতে আসা ফাহিম ও সুমন নামের দুই কিশোরের সঙ্গে। তারা বলে, অবসর পেলে একটু প্রশান্তির জন্য কাউয়াদিঘি হাওরপাড়ে আসি। প্রকৃতির রূপ দেখে মন ভরে যায়।
হাওর পাড়ের বাসিন্দা বেতাহুঞ্জা মৌজার গেদন মিয়া বলেন, এবার দেরিতে বৃষ্টি হওয়ায় শরৎকালেও বর্ষার ভাব আছে। হাওরের পেট ভরে আছে বর্ষার জলে। এখনো সাদা শাপলা (স্থানীয় নাম ভেট বা হালুক ) ভালোভাবে ফোটেনি। ভালোভাবে ফুটলে আরো সুন্দর লাগবে।
হাওরের ভুরভুরি বিলের ধারে গেলে দেখা হয় প্রকৃতিপ্রেমী আবু বকরের সঙ্গে। তিনি বলেন, সাদা শাপলা হাওরের শোভা বাড়িয়েছে। স্বচ্ছ জলের মাঝে হংস-মিথুন ভেসে বেড়াচ্ছে। এ যেন কোনো শিল্পীর রঙ-তুলির আঁচড়। সাদা শাপলার জৌলুস প্রকৃতিকে আরো মনোহর করে তোলে।
কৃষি সম্প্রসারণ অভিদপ্তরের রাজনগর উপজেলা কার্যালয়ের কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল্লা আল আমিন বলেন, শাপলা সপুষ্পক পরিবারের জলজ উদ্ভিদ। সাদা শাপলা বাংলাদেশের জাতীয় ফুল। এই ফুল আমাদের দেশের হাওর, বিল ও দিঘিতে বেশি ফোটে।
ঢাকা/রফিক