চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে জোর পররাষ্ট্র উপদেষ্টার
Published: 23rd, January 2025 GMT
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ন্যায়সঙ্গত প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে বাণিজ্য ব্যবধান কমানো এবং আঞ্চলিক সংযোগ বৃদ্ধির গুরুত্ব আরোপ করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সাংহাইয়ে এক বক্তৃতায় তিনি এ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
সাংহাই ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (এসআইআইএস)-এ এক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন চীন সফররত পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো.
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির জন্য আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ভাগাভাগি-শীর্ষক এ সেমিনারে নিরাপদ ও উন্নত বিশ্বের জন্য বাংলাদেশ ও চীনের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়েছে। অনুষ্ঠানটি (এসআইআইএস) প্রেসিডেন্ট ড. চেন ডংজিয়াও’র স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হয়; যিনি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ঐতিহাসিক এবং বিকশিত অংশীদারত্বের কথা তুলে ধরেন।
তিনি চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে একাডেমিক ও গবেষণা সহযোগিতা বৃদ্ধিতে এবং বৈশ্বিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে এগিয়ে নিতে দুই দেশের ভূমিকার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মূল বক্তব্যে উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন টেকসই উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার ভিত্তি হিসেবে অর্থনৈতিক সহযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর জোর দিয়ে বিশ্ব শান্তির জন্য একটি দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে গভীর ঐতিহাসিক সম্পর্কের দিক তুলে ধরেন, যেটি প্রাচীনকাল থেকে শুরু হয়েছে এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভস (বিআরআই)-সহ বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি গতিশীল অংশীদারত্বে সম্পর্কের বিবর্তন হয়েছে।
উপদেষ্টা বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে চীনের উন্নয়ন সহায়তা এবং বিনিয়োগের রূপান্তরমূলক ভূমিকার ওপর জোর দেন যা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। তিনি ন্যায়সঙ্গত প্রবৃদ্ধির জন্য বাণিজ্যিক দূরত্ব কমানো এবং আঞ্চলিক সংযোগ বৃদ্ধির গুরুত্বের প্রতিও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের অগ্রণী ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির মত বাংলাদেশের সফল সামাজিক উদ্যোগগুলো তুলে ধরেন, যা গ্রামীণ নারীদের ক্ষমতায়ন করেছে।
রোহিঙ্গা সংকটের কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য রাখাইন রাজ্যে অনুকূল পরিবেশ তৈরির ওপর জোর দেন। এ সংকট সমাধানে বাংলাদেশ ও চীন উভয়েরই অতীব গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থ রয়েছে। এ সংকট সমাধানে আমাদের অবশ্যই আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে কূটনীতিক, সরকারি কর্মকর্তা, তরুণ গবেষক, মিডিয়া প্রতিনিধি, বিশেষজ্ঞ এবং সাংহাই পররাষ্ট্র বিষয়ক অফিসের কর্মকর্তারা যোগ দেন। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাজমুল ইসলামও বক্তব্য রাখেন।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পরর ষ ট র উপদ ষ ট র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
সে আমার সমালোচক, সেই সবচেয়ে বড় ভরসা: বাঁধন
সবসময় একমাত্র মেয়ে মিশেল আমানি সায়রাকে আগলে রাখেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। তবে কোরবানি ঈদে ছবি মুক্তি পাওয়ায় হলে হলে ছুটে বেড়াতে হয়েছে। নিজের ব্যস্ততার কারণে মেয়েকে সময় দিতে পারেননি বলে নিজেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
আজ সামাজিক মাধ্যমে মেয়ের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। ওই পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘আমার শক্তির উৎস। আজ তার (মিশেল আমানি সায়রা) দিন। ঈদের পর থেকে এত ব্যস্ত ছিলাম যে তার সঙ্গে ঠিকভাবে সময় কাটানো হয়নি। অথচ সে পুরো সময়টা আমার হাত ধরে ছিল।’
তিনি লিখেছেন, “আমার মনে আছে, ঈদের দিন সিনেমা দেখে বাসায় ফিরে মনটা ভেঙে গিয়েছিল। হলে খুব কম লোক ছিল। তা দেখে আমি চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। তখন সে বলেছিল, ‘মা, আজ ঈদের দিন। সবাই ব্যস্ত। বিশ্বাস করো সিনেমা দেখতে লোক আসবেই।’ আমার সঙ্গে সিনেমাটি দেখার পর সে বলেছিলে, এটা তোমার সেরা কাজগুলোর একটি।”
সবশেষে বাঁধন লিখেছেন, ‘সে আমার সমালোচক। আবার সেই সবচেয়ে বড় ভরসাও। ব্যস্ততা শেষে আজ আমরা একসঙ্গে সময় কাটাতে পেরেছি। দুপুরের খাবার, কেনাকাটা, সিনেমা-সবই ছিল শুধু তার জন্য। আজকের দিনটি তার জন্য যে প্রতিটি পদক্ষেপে শক্তি হয়ে পাশে থেকেছে।’
বলে রাখা ভালো, গতবছর একমাত্র কন্যাসন্তান মিশেল আমানি সায়রার পূর্ণ অভিভাবকত্ব পেয়েছেন বাঁধন।
প্রসঙ্গত, এবারের কোরবানি ঈদে মুক্তি পেয়েছে বাঁধন অভিনীত ‘এশা মার্ডার’। ছবিটি নির্মাণ করেছেন সানি সানোয়ার। এতে আজমেরী হক বাঁধন ছাড়াও অভিনয় করেছেন, পূজা, মিশা সওদাগর, শহিদুজ্জামান সেলিম, সুমিত সেনগুপ্ত, শতাব্দী ওয়াদুদ, শরীফ সিরাজ, নিবির আদনান নাহিদ প্রমুখ।