বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ন্যায়সঙ্গত প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে বাণিজ্য ব্যবধান কমানো এবং আঞ্চলিক সংযোগ বৃদ্ধির গুরুত্ব আরোপ করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সাংহাইয়ে এক বক্তৃতায় তিনি এ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

সাংহাই ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (এসআইআইএস)-এ এক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন চীন সফররত পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো.

তৌহিদ হোসেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির জন্য আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ভাগাভাগি-শীর্ষক এ সেমিনারে নিরাপদ ও উন্নত বিশ্বের জন্য বাংলাদেশ ও চীনের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়েছে। অনুষ্ঠানটি (এসআইআইএস) প্রেসিডেন্ট ড. চেন ডংজিয়াও’র স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হয়; যিনি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ঐতিহাসিক এবং বিকশিত অংশীদারত্বের কথা তুলে ধরেন।

তিনি চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে একাডেমিক ও গবেষণা সহযোগিতা বৃদ্ধিতে এবং বৈশ্বিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে এগিয়ে নিতে দুই দেশের ভূমিকার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মূল বক্তব্যে উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন টেকসই উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার ভিত্তি হিসেবে অর্থনৈতিক সহযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর জোর দিয়ে বিশ্ব শান্তির জন্য একটি দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে গভীর ঐতিহাসিক সম্পর্কের দিক তুলে ধরেন, যেটি প্রাচীনকাল থেকে শুরু হয়েছে এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভস (বিআরআই)-সহ বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি গতিশীল অংশীদারত্বে সম্পর্কের বিবর্তন হয়েছে।

উপদেষ্টা বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে চীনের উন্নয়ন সহায়তা এবং বিনিয়োগের রূপান্তরমূলক ভূমিকার ওপর জোর দেন যা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। তিনি ন্যায়সঙ্গত প্রবৃদ্ধির জন্য বাণিজ্যিক দূরত্ব কমানো এবং আঞ্চলিক সংযোগ বৃদ্ধির গুরুত্বের প্রতিও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের অগ্রণী ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির মত বাংলাদেশের সফল সামাজিক উদ্যোগগুলো তুলে ধরেন, যা গ্রামীণ নারীদের ক্ষমতায়ন করেছে।

রোহিঙ্গা সংকটের কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য রাখাইন রাজ্যে অনুকূল পরিবেশ তৈরির ওপর জোর দেন। এ সংকট সমাধানে বাংলাদেশ ও চীন উভয়েরই অতীব গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থ রয়েছে। এ সংকট সমাধানে আমাদের অবশ্যই আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করতে হবে।

অনুষ্ঠানে কূটনীতিক, সরকারি কর্মকর্তা, তরুণ গবেষক, মিডিয়া প্রতিনিধি, বিশেষজ্ঞ এবং সাংহাই পররাষ্ট্র বিষয়ক অফিসের কর্মকর্তারা যোগ দেন। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাজমুল ইসলামও বক্তব্য রাখেন।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পরর ষ ট র উপদ ষ ট র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

সায়েমের অলরাউন্ড পারফরম‌্যান্সে পাকিস্তানের জয়ে শুরু

জয়ের ধারাবাহিকতায় পাকিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে ঢাকায় শেষ টি-টোয়েন্টি জয়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম‌্যাচ সিরিজের প্রথমটিতেও জয় পেয়েছে তারা।

অলরাউন্ড পারফরম‌্যান্সে পাকিস্তানের জয়ের নায়ক সায়েম আইয়ুব। তার ৩৮ বলে ৫৭ রানের ইনিংসে ভর করে পাকিস্তান লাডারহিলে ৬ উইকেটে ১৭৮ রান করে। জবাব দিতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে ১৬৪ রানের বেশি করতে পারেননি। দারুণ ব‌্যাটিংয়ের পর বোলিংয়ে সায়েম ২০ রানে ২ উইকেট নেন। ১৪ রানের জয়ে সিরিজে ১-০ ব‌্যবধানে এগিয়ে পাকিস্তান।

টস হেরে ব‌্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান শুরুতে শাহিবজাদা ফারহানের উইকেট হারায়। ১২ বলে ১৪ রান করে আউট হন ডানহাতি ব‌্যাটসম‌্যান। তিনে নেমে ফখর সায়েমকে সঙ্গ দেন। দুজন ৮১ রানের জুটি গড়েন। এ সময়ে ফখর ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ বলে ২৮ রান করেন। বাকি রান আসে সায়েমের ব‌্যাটে।  এ সময়ে তিনি তুলে নেন ক‌্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। হোল্ডারের বলে এলবিডব্লিউ হলে থেমে যায় তার ইনিংস।

এরপর হাসান নওয়াজের ১৮ বলে ২৪, সালমান আগার ১০ বলে ১১, ফাহিম আশরাফের ৯ বলে ১৫ রানে পাকিস্তান লড়াকু পুঁজি পায়। শেষ দিকে ১ বল খেলার সুযোগ পান হারিস। ছক্কায় উড়িয়ে পাকিস্তানের শেষটা ভালো করেন তিনি।
বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সেরা ছিলেন শামার জোসেফ। ৩০ রানে নেন ৩ উইকেট।

লক্ষ‌্য তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে ৭২ রান পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর হঠ‌্যাৎ ছন্দপতন। ৫ রান পেতেই ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ওই ধাক্কার পর তারা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। জনসন চার্লস ও জুয়েল অ‌্যান্ড্রু ৩৫ রানের দুটি ইনিংস খেলেন। শেই হোপ (২),  গুদাকেশ মোটি (০), শেফরন রাদারফোর্ড (১১) ও রস্টন চেজ (৫) দ্রুত আউট হন। শেষ দিকে পরাজয়ের ব‌্যবধান কমান হোল্ডার ও জোসেফ। হোল্ডার ১২ বলে ৪ ছক্কায় ৩০ রান করেন। ১২ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২১ রান করেন জোসেফ ।

পাকিস্তানের বোলারদের মধ‌্যে সেরা ছিলেন হাসান নওয়াজ। ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার। সায়েমের ২ উইকেট বাদে ১টি করে উইকেট পেয়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি ও সুফিয়ান মুকিম।
আগামীকাল একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ