জুলাই অভ্যুত্থানে আলোচিত ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইউসুফকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে পদায়নের পর থেকেই অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছেন শিক্ষার্থীরা। এবার একই দাবিতে প্রতিবাদী মার্চ করেছেন তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার কলেজের ডিগ্রি শাখার কলা ভবনের সামনে থেকে পরীক্ষা ভবন পর্যন্ত প্রতিবাদী মার্চ কর্মসূচি পালন করা হয়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ঢাকা কলেজে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতাদের খিচুড়ি খাইয়ে আলোচনায় আসেন তৎকালীন অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইউসুফ। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যখন দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হল বন্ধ করা হয়, তিনি (অধ্যক্ষ) ছাত্রলীগ নেতাদের আবাসিক হলে থাকার ব্যবস্থা ও খাবারের ব্যবস্থা করেন। পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ১২ আগস্ট অধ্যক্ষ ইউসুফ ও উপাধ্যক্ষ এ টি এম মইনুল হোসেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন।
ভিক্টোরিয়া কলেজ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান হিসেবে ঢাকা কলেজের আলোচিত অধ্যক্ষ ইউসুফকে পদায়ন করা হয়। এর পর থেকে শিক্ষার্থীরা তাঁকে অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছেন। দেওয়া হয় স্মারকলিপি। বৃহস্পতিবার বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের একটি অনুষ্ঠানে তাঁকে দাওয়াত করেন শিক্ষকরা। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি কলেজের পরীক্ষা ভবনে আসেন। বিষয়টি জানাজানির পর শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করেন এবং কলা ভবন থেকে কলেজের পরীক্ষা ভবন পর্যন্ত প্রতিবাদী মার্চ কর্মসূচি করেন।
বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী হাসান পল্লব বলেন, ‘রক্তের দাগ এখনও শুকায়নি, ছাত্রলীগকে খিচুড়ি খাওয়ানো সেই অধ্যক্ষকে কেন অতিথি করা হলো। আমরা এর বিচার চাই।’
ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ আবুল বাসার ভূঁইয়া জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফকে বাংলা বিভাগের প্রধান করে এ কলেজে পদায়ন করা হয়। পরে বিষয়টি জানতে পেরে শিক্ষার্থীরা তাঁকে অপসারণ করতে লিখিত আবেদন দিয়েছে। তাই আবেদনটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি এখন আর তাঁর হাতে নেই, তা শিক্ষার্থীদের অনুধাবন করতে হবে।
তবে অধ্যাপক ইউসুফ বলেন, এককভাবে ছাত্রলীগকে খিচুড়ি খাওয়ানো ও রাতে হোস্টেলে থাকতে দেওয়ার তথ্য সঠিক নয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কল জ র

এছাড়াও পড়ুন:

এনসিসি ব্যাংকের পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত

বেসরকারি খাতের এনসিসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৫৪৮তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে পর্ষদ সভাটি হয়।

এনসিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নূরুন নেওয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, পরিচালক ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান আমজাদুল ফেরদৌস চৌধুরী, পরিচালক ও প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান তানজিনা আলী, পরিচালক সৈয়দ আসিফ নিজাম উদ্দিন, পরিচালক ও নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান খায়রুল আলম চাকলাদার, পরিচালক মোহাম্মদ সাজ্জাদ উন নেওয়াজ, শামিমা নেওয়াজ, মোরশেদুল আলম চাকলাদার, নাহিদ বানু, স্বতন্ত্র পরিচালক মীর সাজেদ উল বাসার এবং স্বতন্ত্র পরিচালক ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আমিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম শামসুল আরেফিন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম খোরশেদ আলম, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাকির আনাম, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, মো. মনিরুল আলম (কোম্পানি সচিব) ও মো. হাবিবুর রহমান এবং বোর্ড ডিভিশনের এসএভিপি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী সভায় উপস্থিত ছিলেন।

এনসিসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, সভায় ব্যাংকের চলমান ব্যবসায়িক কার্যক্রম ও কৌশলগত পরিকল্পনা–সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।

ব্যাংকটির আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে (জানুয়ারি–সেপ্টেম্বর) ব্যাংকটি মুনাফা করেছে ১৭৩ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে ব্যাংকটির মুনাফা ছিল ২৭৫ কোটি টাকা। সেই হিসাবে চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ব্যাংকটির মুনাফা কমেছে ১০২ কোটি টাকা। সর্বশেষ গত জুলাই–সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ব্যাংকটি মুনাফা করে ৫৮ কোটি টাকা। গত বছরের জুলাই–সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে মুনাফা ২০১ কোটি টাকা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ