ঘন কুয়াশায় ফেরির মার্কিং বাতির আলো অস্পষ্ট হয়ে যাওয়ায় দীর্ঘ নয় ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথের ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়। 

এদিকে দীর্ঘ সময় ধরে ফেরি বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েন উভয় ঘাটে আটকে থাকা যানবাহনের যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সিরিয়াল অনুযায়ী যানবাহন পারাপার শুরু হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের সহ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো.

সালাম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার রাত দেড়টা থেকে ঘন কুয়াশায় দুর্ঘটনা এড়াতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট বন্ধ রাখা হয়। টানা ৯ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর এ নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় উভয়ঘাটে যানবাহন সিরিয়ালে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সিরিয়াল অনুযায়ী যানবাহন পারাপার শুরু হয়েছে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় দ্রুত যানবাহন পারাপার সম্ভব হচ্ছে।”

অন্যদিকে মানিকগঞ্জের আরিচা ও পাবনার কাজিরহাট নৌপথেও দীর্ঘ নয় ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। 

বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক আবু আবদুল্লাহ বলেন, “ঘন কুয়াশায় মাঝরাতে ফেরির মার্কিং বাতির আলো অস্পষ্ট হয়ে আসায় আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। বৃহস্পতিবার রাত দেড়টা থেকে ৯ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সকাল সাড়ে ১০টায় স্বাভাবিক হয়।”

চলতি শীত মৌসুমের শুরু থেকে পদ্মা ও যমুনা নদী অববাহিকায় কুয়াশায় ফেরিসহ নৌযান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী। তিনি বলেন, “পদ্মা নদীর দৌলতদিয়া, পাটুরিয়া ও আরিচা এবং যমুনা নদীর কাজিরহাট নৌপথে সতর্কতার সঙ্গে ফেরিসহ নৌযান চলাচল করতে হচ্ছে।”

ঢাকা/চন্দন/ইমন

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ লতদ য়

এছাড়াও পড়ুন:

ভোলা লঞ্চঘাটে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়ে বৈধ নৌযান–সংকট, ঝুঁকি নিয়ে উত্তাল মেঘনা পাড়ি

ভোলায় চাহিদার তুলনায় বৈধ নৌযানের সংখ্যা কম হওয়ায় ঈদ উদ্‌যাপন শেষে পরিবার-পরিজনকে নিয়ে কর্মস্থলে ফিরতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ইলিশা লঞ্চঘাটের যাত্রীরা। ফলে বাধ্য হয়ে অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে গাদাগাদি করে কিংবা অবৈধ নৌযানে উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিচ্ছেন। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ঈদের সময় এমন ভোগান্তি হলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।

আজ শুক্রবার ভোর থেকে ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা লঞ্চঘাট এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ইলিশা লঞ্চঘাটে গত বুধবার ও গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চাপ বাড়তে শুরু করে। আজ ভোর থেকে যাত্রীদের চাপ আগের তুলনায় আরও বেশি। তাঁদের অভিযোগ, গত ২৫ বছর ধরে এই নৌপথে ঈদ এলেই যাত্রীদের এমন ভোগান্তি দেখা যায়। তবে বিষয়টি নিয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

আরও পড়ুনরাজধানীমুখী মানুষের ভিড়ে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট১ ঘণ্টা আগে

আজ সকালে ইলিশা লঞ্চঘাট–সংলগ্ন মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকা, রাস্তাঘাট, নদী তীরের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ এলাকায় যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। লঞ্চ-সিট্রাকগুলো ঘাটে ভেড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে এসব যানে ওঠার চেষ্টা করছিলেন। দুই-তিন গুণ অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে নৌযানগুলো ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করছে। যাত্রী চাপের কারণে অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে লঞ্চঘাটে অপেক্ষা করছেন। অনেকেই সময় বাঁচাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উঠে পড়েন অবৈধ স্পিডবোট ও স্টিল বডির ট্রলারে। অরক্ষিত এসব নৌযানে করে তাঁরা পাড়ি দিচ্ছেন উত্তাল মেঘনা।

ভোলায় কর্মরত বিআইডব্লিউটিএর নৌনিরাপত্তা বিভাগের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) জসিম উদ্দিন জানান, ঈদ উপলক্ষে বাড়তি নৌযানের অনুমোদন আছে কি না, জানা নেই। এ নৌপথে চারটি সিট্রাক ছাড়াও ‘আবদুস সালাম’ নামের আরেকটি নৌযান চলাচলের অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সেটি ডক-ইয়ার্ডে থেমে আছে।

অনেক যাত্রীই ঝুঁকি এড়াতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ঘাটে লঞ্চ কিংবা ফেরির অপেক্ষা করছেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যমুনা সেতুর যানজট এড়াতে কাজীরহাট-আরিচা নৌপথে যানবাহনের চাপ
  • দ্বিতীয় ট্রিপেই মেঘনায় ডুবল বালুবাহী বাল্কহেড
  • নৌযানের অভাবে নদী তীরে ঢাকামুখী যাত্রীদের অপেক্ষা
  • ভোলা লঞ্চঘাটে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়ে বৈধ নৌযান–সংকট, ঝুঁকি নিয়ে উত্তাল মেঘনা পাড়ি