এমবাপের ‘প্রথম হ্যাটট্রিকে’ রিয়ালের শীর্ষ স্থান পোক্ত
Published: 26th, January 2025 GMT
কিলিয়ান এমবাপে জন্মভূমি ফ্রান্সের সবচেয়ে বড় ক্লাব পিএস জি ছেড়ে রিয়ালে যোগ দেওয়ার পরে সমালোচনা কম হয়নি। স্বাভাবিকভাবে রেকর্ড ১৫ বারের ‘ইউরোপ চ্যাম্পিয়নদের’ সঙ্গে মানিয়ে নিতে প্রথম দিকে সময় লাগছিল বিশ্বকাপ জয়ী ফুটবলারের। তাতেই ‘সমালোচনার তীরে বিদ্ধ’ হচ্ছিলেন ২৬ বছর বয়সী এই উইঙ্গার। তবে শেষ ৫ ম্যাচে ৮ গোল করে সেই সমালোচনা বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি। আর শনিবার (২৫ জানুয়ারি, ২০২৫) রাতে তো করে বসলেন রিয়ালের জার্সিতে প্রথম হ্যাটট্রিক!
শনিবার এমবাপের হ্যাটট্রিকে লা লিগার ম্যাচে রিয়াল ভায়াদোলিদকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। তাতে কার্লো আনচেলত্তির দল টেবিলের শির্ষ স্থানটি আরও পোক্ত করল। ২১ ম্যাচে রিয়ালের পয়েন্ট ৪৯। সমান ম্যাচে অ্যাথলেটিকোর পয়েন্ট ৪৫। এক ম্যাচ কম খেলে বার্সেলোনা মালিক ৩৯ পয়েন্টের।
আরো পড়ুন:
এমবাপের জোড়া গোলে টেবিলের চূড়ায় রিয়াল
১৫ ম্যাচ পর অ্যাটলেটিকোর হার
ঘরের মাঠ হোস জোরিলা স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথম দিকে অতিথি রিয়ালের রীতিমত পরীক্ষা নিয়েছে ভায়াদোলিদ। তবে ‘সোনার হরিণ’ গোলের দেখা পায়নি স্বাগতিকরা। উল্টো ৩০ মিনিটের মাথায় তাদের জালে প্রথমবার বল জড়িয়ে দেন এমবাপে। জুড বেলিংহ্যামের সঙ্গে বল আদান-প্রদান করতে করতে ডি-বক্সের ভেতর প্রবেশ করে দুর্দান্ত এই গোল করেন তিনি।
এমবাপে দ্বিতীয় গোল করেন ৫৭ মিনিটে। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষে যখন মনে হচ্ছিল আরেকটি ‘জোড়া গোলের’ রাত পার করবেন ফরাসি তারকা ঠিক তখনই প্রতিক্ষের ১৮ গজের মধ্যে ট্যাকেলের শিকার হন জুড বেলিংহ্যাম। সেই সুবাদে দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে (৯১ মিনিটে) পেনাল্টি থেকে লক্ষ্যভেদ করে রিয়ালের জার্সিতে প্রথম হ্যাটট্রিক পূরণ করেন এমবাপে।
ম্যাচ শেষে এমবাপে বলেন, “হ্যাটট্রিকের করে খুশি। তবে জয়ের জন্য আরও বেশি খুশি। আজকের জয়টা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিশেষ কর অ্যাতলেটিকোর ড্রয়ের পরে আমাদের উপর বেশি চাপ ছিল।”
এমবাপের সামনে সুযোগ আছে লা লিগার সর্বোচ্চ স্কোরার হওয়ার। তবে এই ফরাসি তারকা মনে করিয়ে দিলেন, দলের জয়টাই তার কাছে সবার আগে, “আমি সর্বোচ্চ স্কোরার হতে পারলে ভালো, না হলেও ক্ষতি নেই, ক্যারিয়ারে অনেকবারই এটা হয়েছি (ফরাসি লিগ ওয়ানে)। তবে আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো লিগ জয় করা।”
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ল য় ন এমব প প এমব প র প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলে নতুন করে শুরু ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়েছে। একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে ইসরায়েল। বর্তমানে হামলা প্রতিহত করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ।
আজ সোমবার সিএনএনের এক খবরে বলা হয়েছে, তেল আবিব ও জেরুজালেমসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে জরুরি সতর্ক সংকেত (সাইরেন) বাজতে শুরু করেছে। আইডিএফ সতর্ক করে বলেছে, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি অভেদ্য নয়।
সিএনএনের একজন প্রযোজক জেরুজালেমে সাইরেন এবং একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। তার তোলা ভিডিওতে আকাশে বহু ক্ষেপণাস্ত্র ছুটে যেতে দেখা গেছে।
ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড আদোম জানিয়েছে, তাদের দলগুলো আক্রান্ত এলাকার দিকে রওনা দিয়েছে।
সারা দেশের নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্রে ঢুকতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে থাকার আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, বর্তমানে বিমানবাহিনী হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি পাল্টা হামলা চালানোর কাজ করছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট নিউজ জানিয়েছে, মধ্য ইসরায়েলের পেতাহ টিকভা শহরের একটি ভবনে একটি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত হেনেছে। হামলার ফলে ওই স্থানে আগুন ধরে যায়। তবে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে মধ্য ইরানে একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর দাবি, বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি বিমানবাহিনী সফলভাবে মধ্য ইরানে অবস্থিত একাধিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে। আমাদের গোয়েন্দা তথ্য বলছে, এসব স্থাপনা থেকে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছিল।’
তবে ইসরায়েলের এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান এখনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।
এদিকে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় রোববার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৪ জনে পৌঁছেছে।
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক। হামলায় ১ হাজার ২৭০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
এপির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ১৩ জুন ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ওই হামলায় ইরানের নাতাঞ্জ ও ইসফাহান অঞ্চলের পারমাণবিক স্থাপনা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হন। ইরানে বর্তমানে মসজিদ ও মেট্রো স্টেশনগুলোকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।