সাতক্ষীরায় বিএনপির ২ পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ১৪৪ ধারা জারি
Published: 27th, January 2025 GMT
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আব্দুল আজিজসহ উভয় পক্ষেরর চারজন আহত হন। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার তারালী মোড়ে ঘটনাটি ঘটে।
এদিকে, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট অনুজা মন্ডল আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপজেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন।
বিএনপি নেতারা জানান, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি পালনে বিএনপির দুই পক্ষ মিছিল ও সমাবেশ শুরু করে সোমবার বিকেল ৪টা থেকে। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ এবাদুল ইসলাম ও সদস্য সচিব ডা.
আরো পড়ুন:
১৪৪ ধারা জারি করায় অন্যস্থানে বিএনপির সমাবেশ
পাবনার সুজানগর
বিএনপির দুই পক্ষের সমাবেশ: ১৪৪ ধারা জারি
এদিকে, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে যান কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মন্ডল, সহকারী কমিশনার অমিত কুমার বিশ্বাস, কালীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) হারুন অর রশিদ মৃধা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। পরে ইউএনও সন্ধ্যা ৬টা থেকে উপজেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি করেন।
ইউএনও অনুজা মন্ডল বলেন, “পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে। উপজেলা সদরে মাইকিং করা হয়েছে। বিষয়টি কালিগঞ্জ থানার ওসিকে মোবাইলে ও পরে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।”
কালিগঞ্জ থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান বলেন, “১৪৪ ধারা জারি হয়েছে বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে দুই পক্ষ এখন শান্ত রয়েছে।”
গত ৭ জানুয়ারি কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ এবাদুল ইসলাম ও সদস্য সচিব ডা. শফিকুল ইসলাম বাবু স্বাক্ষরিত চিঠিতে তারালী ও চাম্পাফুল ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর থেকে ওই কমিটি বিলুপ্তির দাবিতে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে তারালী ও চাম্পাফুল ইউনিয়ন বিএনপির ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগের দোসরকে নিয়ে কমিটি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করতে থাকেন তারা।
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ১৪৪ ধ র স ঘর ষ ব এনপ আহত ন ত কর ম ল ইসল ম উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে প্রবাসী স্বামীর বাড়িতে স্ত্রীর তালা
সিদ্ধিরগঞ্জে জোর পূর্বক সম্পত্তি লিখে নিতে সন্ত্রাসী দিয়ে নিজাম উদ্দিন নামে এক প্রবাসীর ৬ তলা বাড়িতে তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে তার স্ত্রী উম্মে হাবিবা বিন্দুর বিরুদ্ধে। গত বুধবার (১১ জুন) সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল তাঁতখানা এলাকার প্রবাসী নিজাম উদ্দিনের বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় বন্দর থানার গকুলদাসেরবাগ এলাকার আ: বাতেনের মেয়ে ও প্রবাসী নিজাম উদ্দিনের ভাগ্নী মাহমুদা (৪০) বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার এলাকার বাসিন্ধা তার মামী উম্মে হাবিবা বিন্দু (২৬), মামীর বাবা বাবুল (৫০) ও মামীর মা সখি (৪৫) সহ আরো অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামী করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগে মাহমুদা উল্লেখ করেন, গত ৯বছর পূর্বে আমার মামার সাথে উম্মে হাবিবা বিন্দুর বিবাহ হয়। আমার মামার পরিবারে ২টি পুত্র সন্তান আছে। আমার মামা একজন প্রবাসী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসী হওয়ার সুবাদে বিবাদীরা আমার মামার টাকা বিভিন্ন ভাবে অপচয় করিত। গত ৫বছর পূর্বে বিবাদী বাবুল আমার মামার কাছ থেকে জমি ক্রয় ও ব্যবসায়ীক কারণে হাওলাত বাবদ ৩৫ লাখ টাকা নিয়ে যায়।
গত ৩ বছর পূর্বে আমার মামা দেশে এসে তার স্ত্রী বিন্দুর কাছে উক্ত টাকা দাবি করলে তিনি ক্ষীপ্ত হয়ে আমার মামাকে অকথ্য ভাষায় গাল মন্দ করিতে থাকে। এসময় আমার মামা উক্ত বিষয়টি তার শ্বশুর বাবুলকে জানাইলে তারা উক্ত টাকা দিব-দিচ্ছি বলে টালবাহানা করতে থাকে।
এরই উপর ভিত্তি করে গত ২ মাস পূর্বে পুনরায় আমার মামা তার শ্বশুরের কাছে টাকা দাবি করলে তিনি উক্ত টাকা দিবে না মর্মে জানায়। এমনকি আমার মামাকে জানায় আমার মামা যদি সিদ্ধিরগঞ্জের তাঁতখানা এলাকার গোদনাইল মৌজাস্থিত ৬তলা বিশিষ্ট বাড়িটি তার স্ত্রীর নামে লিখিয়া না দেয় তাহলে তাকে বড় ধরণের ক্ষতি সাধন করবে।
অভিযোগে মাহমুদা আরো উল্লেখ করেন, গত বুধবার আমার মামার শ্বশুর ও শ্বাশুড়ী সহ আরো ১০/১২ জন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে গোদনাইল তাঁতখানা এলাকার আমার মামার বাড়ীতে প্রবেশ করে আমার মামার অজ্ঞাতসারে ভাংচুর চালায়।
এসময় উক্ত বাড়ীতে আমার খালা সালেহা (৫০) অবস্থানকালে তারা তাকে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। একপর্যায়ে তারা উক্ত বাড়ী তালা বদ্ধ করে চলে যায়। এসময় তারা আমার খালাকে জানায় আমার মামা যদি উক্ত বাড়ী তার স্ত্রীর নামে লিখিয়া না দেয় তাহলে তারা আমার মামাকে জানে মারিয়া ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযোগের তদন্তকারী সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হাসান আলী জানান, দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ করেছে। তবে বাড়িতে তালা দেয়ার বিষয়ে নিজামের স্ত্রী বিন্দু ও তার শ্বশুর বাবুলকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তারা অস্বীকার করেছে। যেহেতু বিষয়টি পারিবারিক তাই উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।