সব ফেডারেল অনুদান ও ঋণ স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস এ নির্দেশ দিয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্তের ফলে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি, আবাসন সহায়তা, দুর্যোগ ত্রাণ এবং ফেডারেল অর্থায়নের ওপর নির্ভরশীল অন্যান্য উদ্যোগকে ব্যাহত করতে পারে।

সোমবার এক স্মারকে ফেডারেল বাজেট তত্ত্বাবধানকারী অফিস অফ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বাজেটের ভারপ্রাপ্ত প্রধান জানিয়েছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের অনুদান এবং ঋণ পর্যালোচনা করার সময় অর্থ স্থগিত রাখা হবে যাতে নিশ্চিত করা যায় যে সেগুলো প্রেসিডেন্টের অগ্রাধিকারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। 

ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ম্যাথিউ ভেথ জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্টের এজেন্ডার সাথে সাংঘর্ষিক নীতিমালার জন্য ফেডারেল সম্পদের ব্যবহার ‘করদাতাদের অর্থের অপচয়, যা আমরা যাদের সেবা করি তাদের দৈনন্দিন জীবনের উন্নতি করে না।”

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, এই স্থগিতাদের মধ্যে ‘বিদেশি সহায়তার জন্য’ এবং ‘বেসরকারি সংস্থাগুলোর’ জন্য নির্ধারিত যেকোনো অর্থ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

হোয়াইট হাউস অবশ্য জানিয়েছে, এই স্থগিতাদেশ সামাজিক নিরাপত্তা বা মেডিকেয়ার পেমেন্ট বা ‘ব্যক্তিদের সরাসরি প্রদত্ত সহায়তার’ ওপর প্রভাব ফেলবে না। 

তবে এতে সম্ভবত দরিদ্রদের জন্য খাদ্য সহায়তা এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য অর্থ প্রদানের পরিমাণ কমবে। অবশ্য প্রবীণ এবং নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি প্রভাবিত হবে কিনা তা স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার

যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।

জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে। 

এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”

ঢাকা/রিটন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ