বগুড়ার নন্দীগ্রামে কাথম-কালিগঞ্জ সড়কের থেলকুড় এলাকায় রাস্তায় গাছ ফেলে ট্রাক, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ অন্যান্য যানবাহন থামিয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। 

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সংঘবদ্ধ ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ও মারপিট করে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন, অন্যান্য মালামাল নিয়ে যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১০-১৫ জনের ডাকাতদল সড়কের পাশের গাছ কেটে ব্যারিকেড দেয়। এরপর ওই সড়কে চলাচলকারী ট্রাক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল থামিয়ে লোকজনকে মারধর করে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। গ্রামের লোকজন খবর পেয়ে লাঠি-শোটা নিয়ে ধাওয়া করলে ডাকাত দল পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে সড়ক থেকে কাটা গাছ অপসারণ করলে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারিকুল ইসলাম বলেন, “পার্শ্ববর্তী সিংড়া উপজেলার গ্রাম থেকে ডাকাতরা এখানে আসে বলে জানা গেছে। ডাকাত সনাক্ত করতে কাজ শুরু হয়েছে। তবে কি পরিমাণ মালামাল খোয়া গেছে তা জানা যায়নি।”

ঢাকা/এনাম/ইমন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার

যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।

জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে। 

এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”

ঢাকা/রিটন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ