জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পরিচালিত গণহত্যার বিচারে ছবি-ভিডিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। শনিবার রাজধানীর পান্থপথে দৃকপাঠ ভবনে বাংলাদেশ প্রটেস্ট আর্কাইভ (বিপিএ) উদ্বোধন উপলক্ষে এক আলোচনায় এ কথা বলেন বক্তারা।

আলোকচিত্রী শহিদুল আলম বলেন, জুলাই-আগস্টে এত বড় একটা অন্যায় আমাদের দেশে হয়ে গেছে, আরেকবার যেন কোনো সরকার কোনোভাবেই এই জিনিস করতে না পারে। এমন করে কেউ যেন পার পেয়ে যেতে না পারে।

বিপিএ কাজ প্রসঙ্গে লেখক ও গবেষক আলতাফ পারভেজ বলেন, এসব কাজের বেলায় সরকার থেকে দূরে থাকার বিষয় আছে। যদি অনেক দূর যেতে হয়, রাষ্ট্র এবং সরকার থেকে দূরে থাকতে হবে।

সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য মুসতাইন জহির বলেন, পুলিশ যাত্রাবাড়ী থানায় দিনের পর দিন গুলি করেছে। জানতে হবে, কোন পুলিশ কর্মকর্তা করেছে। এসব বিস্তারিত যখন আপনি জানতে পারবেন না, আমরা তখন আবার একটা জাতীয় সমস্যার মধ্যে পড়ব।

ফ্যাক্ট চেকার কদরুদ্দিন শিশির বলেন, বিগত স্বৈরাচারী সরকার ছবি-ভিডিও মুছে ফেলতে তৎপর ছিল। যাত্রাবাড়ীর অন্তত ২০ প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলগুলোর কাছাকাছি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডিভাইসের দখল নিয়েছিল এবং ছবি-ভিডিও মুছে দিয়েছিল।

বিপিএর ইনভেস্টিগেটর মিনহাজ আমান বলেন, ২০-৫০ বছর পরও যেন কেউ চাইলে ভিডিওগুলো ব্যবহার করতে পারি, আমরা এ লক্ষ্যে কাজ করছি। বিচারের কাজে সহযোগিতা হবে এটি আমাদের প্রথম চাওয়া।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বিপিএর সহপ্রতিষ্ঠাতা শোয়েব আব্দুল্লাহ তাদের কার্যক্রম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘বিচারের কাজে যুক্ত যারা রয়েছেন, তদন্তসংশ্লিষ্টরা যদি এসব ভিডিও থেকে উপকৃত হন, তাহলে আমাদের এ উদ্যোগ সার্থক হবে। তবে কাজটি দীর্ঘমেয়াদি। ১০ বছর পর এর গুরুত্ব কত, সেটা আমরা জানি। কিন্তু এক-দু’বছর পর কী হবে, তা এই মুহূর্তে বলা মুশকিল।’ 

ভিজ্যুয়াল মাধ্যম ব্যবহার করে মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠন উইটনেসের সিনিয়র কর্মসূচি ব্যবস্থাপক (এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক) অরুল প্রকাশ সিন্নাপ্পান এবং অপর কর্মকর্তা হুয়ে শিন চাও ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। 
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গণহত য সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা থেকে রক্ষা করতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান

ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা ও নিষ্ঠুরতম বর্বরতা থেকে রক্ষা করতে অবিলম্বে পরিপূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। 

আজ বুধবার ফিলিস্তিন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। 

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ইসরায়েল এ পর্যন্ত ৫৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে গণহত্যা অব্যাহত রেখেছে। তিনি ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ী সকলকে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান।

আরো পড়ুন:

ইসরায়েলি মানবাধিকার সংগঠনই বলছে, ‘গাজায় গণহত্যা চলছে’

ফিলিস্তিন সংকট সমাধান: সবার দৃষ্টি জাতিসংঘের বিশ্ব সম্মেলনে

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থন পুর্নব্যক্ত করে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি স্থাপনের একমাত্র পথ হিসেবে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের লক্ষ্যে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। 

গাজা পুনর্গঠনে আরব পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের নেতৃত্বে গাজা পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে প্রস্তত রয়েছে। তিনি গাজায় জাতিসংঘের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম বাধা দেয়ার যেকোনো প্রচেষ্টা সর্বাত্বকভাবে প্রতিরোধ করার আহ্বান জানান।

২০২৩ সালের অক্টোবরের পর হতে গাজায় অব্যাহত ইসরায়েলি আক্রমণের প্রেক্ষাপটে ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি একাত্মতা প্রকাশ এবং একটি স্থায়ী সমাধানের পথ সুগম করতে জাতিসংঘের সদস্যদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করার জন্য ফ্রান্স ও সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী ‘জাতিসংঘ হাইলেভেল ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স ফর দ্য পিসফুল সেটেলমেন্ট অব দ্য কোয়েশ্চেন অব প্যালেস্টাইন অ্যান্ড দ্য ইমপ্লিমেন্টেশন অব দ্য টু-স্টেট সল্যুশন’ শীর্ষক মন্ত্রী পর্যায়ের এই সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

এতে বাংলাদেশসহ ১১৮টি দেশের প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করছে।

ঢাকা/হাসান/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা থেকে রক্ষায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান
  • ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা থেকে রক্ষা করতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান
  • গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬০ হাজার ছাড়াল
  • গণহত্যার বিচারের পর পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দাবি রেজাউল করীমের