দক্ষিণ-পশ্চিম মালিতে সোনার খনিতে নারী ও তিন শিশুসহ ১৩ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। শনিবার ন্যাশনাল ইউনিয়ন অফ গোল্ড কাউন্টারস অ্যান্ড রিফাইনারিজ (ইউসিআরওএম) এ তথ্য জানিয়েছে।

ইউসিআরওএম-এর মহাসচিব তাউলে কামারা রয়টার্সকে টেলিফোনে জানিয়েছেন, মালির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় কৌলিকোরো অঞ্চলের কাঙ্গাবা সার্কেলের ডাঙ্গা গ্রামের কাছে একটি খোলা সোনার খনিতে এই ঘটনাটি ঘটেছে।

খনির সুড়ঙ্গে নারী ও শিশুরা মাটি খুঁড়ে অবশিষ্ট সোনার কণা খুঁজছিল। ওই সময় একটি জলাধারের স্লুইস গেট ভেঙে সুড়ঙ্গে পড়ে যায়।

তাউলে কামারা বলেছেন, “এটা গুরুতর। অনেক নারী ছিলেন। গতকাল থেকে আমরা সারাদিন পানি অপসারণ করে মৃতদেহগুলো খুঁজতে শুরু করেছি।”

পশ্চিম আফ্রিকার বেশিরভাগ অংশে খনিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করা সাধারণ বিষয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ধাতুর ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং ক্রমবর্ধমান দামের কারণে এটি আরো লাভজনক হয়ে উঠেছে। খনি শ্রমিকরা প্রায়ই অনিয়ন্ত্রিত খনন পদ্ধতি ব্যবহার করায় মারাত্মক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

ফতুল্লার লামাপাড়ায় মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, কোর্স সমাপনী সনদ প্রদান, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থতার বর্ষপূর্তি ও খেলাধূলার আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।

মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রয়াস বিগত ২২ বছর যাবত নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা করে যাচ্ছে।

সব ধরনের আইন ও বিধি-বিধান মেনে সেবার মানোন্নয়ন প্রয়াসের বর্তমান লক্ষ্য। শুধু চিকিৎসা সেবা প্রদান নয়, বরং মানসম্পন্ন টেকসই সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসা পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রম কেন্দ্রটি পরিচালনা করে থাকে।

জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রয়াসে চিকিৎসা কোর্স সম্পন্নকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান, প্রাক্তন সদস্যদের মনিটরিং, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থ থাকার স্বীকৃতি ও জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহণ প্রয়াসের টেকসই চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ।

তিনি আরো বলেন, আমরাই প্রথম নারায়ণগঞ্জে ৪০ বেডে লাইসেন্স প্রাপ্ত মাদকাসক্ত চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রয়াসের প্রতিষ্ঠা ২০০৩ সালে হলেও আমরা লাইসেন্স পেয়েছি ২০০৬ সালে। গত ২০২১ সাল থেকে আমরা প্রতিবছর সরকারি অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসছি।

এসময় তিনি অভিভাবক প্রতিনিধি ও প্রাক্তন সদস্যদের প্রয়াসের সামগ্রিক কার্যক্রমে সংযুক্ত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, অফিসার এডমিন সাজ্জাদ হোসেন, প্রোগ্রাম অফিসার শেখ ফরিদ উদ্দিন ও মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, শওকত হোসেন, লিটন, আমজাদ, বাবুসহ  রিকোভারীবৃন্দ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ