দক্ষিণ-পশ্চিম মালিতে সোনার খনিতে নারী ও তিন শিশুসহ ১৩ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। শনিবার ন্যাশনাল ইউনিয়ন অফ গোল্ড কাউন্টারস অ্যান্ড রিফাইনারিজ (ইউসিআরওএম) এ তথ্য জানিয়েছে।

ইউসিআরওএম-এর মহাসচিব তাউলে কামারা রয়টার্সকে টেলিফোনে জানিয়েছেন, মালির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় কৌলিকোরো অঞ্চলের কাঙ্গাবা সার্কেলের ডাঙ্গা গ্রামের কাছে একটি খোলা সোনার খনিতে এই ঘটনাটি ঘটেছে।

খনির সুড়ঙ্গে নারী ও শিশুরা মাটি খুঁড়ে অবশিষ্ট সোনার কণা খুঁজছিল। ওই সময় একটি জলাধারের স্লুইস গেট ভেঙে সুড়ঙ্গে পড়ে যায়।

তাউলে কামারা বলেছেন, “এটা গুরুতর। অনেক নারী ছিলেন। গতকাল থেকে আমরা সারাদিন পানি অপসারণ করে মৃতদেহগুলো খুঁজতে শুরু করেছি।”

পশ্চিম আফ্রিকার বেশিরভাগ অংশে খনিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করা সাধারণ বিষয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ধাতুর ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং ক্রমবর্ধমান দামের কারণে এটি আরো লাভজনক হয়ে উঠেছে। খনি শ্রমিকরা প্রায়ই অনিয়ন্ত্রিত খনন পদ্ধতি ব্যবহার করায় মারাত্মক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশের সঙ্গে ভবিষ্যৎমুখী সম্পর্ক চায় ভারত: প্রণয় ভার্মা

বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে একটি স্থিতিশীল, ইতিবাচক, গঠনমূলক, ভবিষ্যৎমুখী সম্পর্ক চায় ভারত। যেখানে দুই দেশ পারস্পরিকভাবে লাভজনক সম্পর্ক বজায় রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবে। আর দুই দেশের জনগণই হবে অংশীদারত্বের অংশীজন।

গত সোমবার ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে ২০২৫ সালে এনডিসি কোর্সে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

ভারতীয় হাইকমিশনার তাঁর বক্তৃতায় ভারতের পররাষ্ট্রনীতি ও উন্নয়ন কৌশল তুলে ধরেন। বিশেষ করে বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা, বৈশ্বিক শাসনকাঠামোর সংস্কার এবং বৈশ্বিক দক্ষিণের স্বার্থ রক্ষায় ভারতের ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততার পাশাপাশি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই ও দ্রুত জাতীয় উন্নয়নের লক্ষ্যে ভারতের প্রচেষ্টার বিষয়গুলো উল্লেখ করেন।

তিনি ভারতের পররাষ্ট্রনীতির অগ্রাধিকার—‘প্রতিবেশী প্রথমে’, ‘পূর্বমুখী নীতি’, ‘মহাসাগর নীতি’ এবং ভারতের ভারত–প্রশান্ত মহাসাগরীয় রূপকল্পের আওতায় ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন।

প্রণয় ভার্মা বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের পারস্পরিক নির্ভরশীলতা এবং ভৌগোলিক ঘনিষ্ঠতা আরও জোরদার করা উচিত। যাতে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সক্ষমতা ও ভবিষ্যৎ আকাঙ্ক্ষাকে এমন সব সুযোগে পরিণত করবে, যা পারস্পরিকভাবে লাভজনক সহযোগিতা নিশ্চিত করবে।

ভারতীয় হাইকমিশনার আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দুটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতির দেশ হিসেবে ভারত ও বাংলাদেশ বিমসটেক কাঠামোর আওতায় আঞ্চলিক সংহতির গুরুত্বপূর্ণ চালিকা শক্তি। বিমসটেকের সদর দপ্তর ঢাকায় অবস্থিত এবং এটি দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে প্রবৃদ্ধির সুযোগগুলোর বাস্তবায়নে সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাংলাদেশের সঙ্গে ভবিষ্যৎমুখী সম্পর্ক চায় ভারত: প্রণয় ভার্মা