বগুড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি বাতিলের দাবিতে আল্টিমেটাম
Published: 1st, February 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বগুড়া কমিটিকে পকেট কমিটি আখ্যা দিয়ে তা বিলুপ্তির দাবি জানিয়েছেন জুলাই আগস্ট বিপ্লবে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের একাংশ। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কমিটি বিলুপ্তের আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বগুড়া জেলা স্কুল মাঠে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এই দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে মেহেদী হাসান সাহেদ ও ও শাহ সুলতান সজীব জানান, জুলাই-আগস্টে বগুড়ার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যে শিক্ষার্থীরা জীবন বাজি রেখে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন, তাদের বাদ দিয়ে চাঁদাবাজ, চিহ্নিত রাজনৈতিক নেতা ও বিতর্কিতদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বগুড়া কমিটিতে রাখা হয়েছে। অথচ শত শত বুলেট শরীরে নিয়ে বেঁচে থাকা আহত অনেক আন্দোলনকারীকে এই কমিটিতে রাখা হয়নি। এর মধ্য দিয়ে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা হয়েছে।
তারা আরো জানান, জুলাই বিপ্লবে ১৯ জন শহীদের রক্তের বগুড়ায় তারা আবারো বঞ্চিত হয়েছেন। তারা ছাত্রলীগের মতো সিন্ডিকেট কমিটি চান না। কেন্দ্রীয় সব নেতাদের কাছে তাদের অনুরোধ, তেলবাজ কমিটি বিলুপ্ত করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কলঙ্ক মুক্ত করে পুনরায় বগুড়ার সব ছাত্রদের সমন্বয়ে সার্বজনীন গ্রহণযোগ্য কমিটি দেওয়ার। এ জন্য তারা আগামী ৪৮ ঘণ্টার ভেতরে বর্তমান কমিটি বাতিল করার আহ্বান জানান। তা না হলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা
সংবাদ সম্মেলনে বগুড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম-আহব্বায়ক মুশফিকুর রহমান, শাহরিয়ার সিমান্ত, সংগঠক শাহ সুলতান, তৌকি তাহমিদ, বগুড়া জিলা স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান শাহেদ, আল তুরাগ হুসাইন ও মাহমুদুন্নবী মারুফ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলন থেকে গত ২৯ জানুয়ারি ঘোষিত বগুড়া জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বগুড়া জেলার আহ্বায়ক কমিটিতে স্থান পাওয়া যুগ্ম-আহ্বায়ক সামিউল ইসলাম সৌধ, যুগ্ম-আহ্বায়ক মুশফিকুর রহমান, যুগ্ম-আহ্বায়ক শাহরিয়ার সিমান্ত, সংগঠক শাহ সুলতান নিজ নিজ পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
ঢাকা/এনাম/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।
নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’
আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।