নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে একটি ইসলামিক স্কুলে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১৭ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ ও আহত হয়েছে বেশ কয়েকটি শিশু শিক্ষার্থী। 

বিবিসি বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

গত মঙ্গলবার জামফারা প্রদেশের কাওরান নামোদা শহরের ইসলামিক স্কুলটিতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আহত কয়েকজন শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য কাউরান নামোদা শহরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার রাতে পাশের একটি বাড়িতে আগুন লাগে এবং স্কুলটিতে ছড়িয়ে পড়ে। 

খবর পেয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও জরুরি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে ততক্ষণে আগুন ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে ফেলেছিল।  

প্রত্যক্ষদর্শী ইয়াহিয়া মাহি বিবিসি হাউসাকে জানান, স্কুলের অবস্থান এমন জায়গায় ছিল যে আগুন নেভানোর প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হয়েছে।

আগুন লাগার সময় ১০-১৬ বছর বয়সী শিশু শিক্ষার্থীরা ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল। এ কারণে উল্লেখযোগ্য হতাহতের ঘটনা ঘটে।

স্কুলটিতে প্রায় ১০০ জন শিক্ষার্থী ছিল। বিভিন্ন গ্রাম থেকে এখানে পড়তে এসেছিল তারা।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, আগুনের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত করা হচ্ছে।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইসির বক্তব্য একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে

দেশের চলমান সংস্কার এবং নির্বাচন নিয়ে শ্রমিকসহ সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার। তিনি বলেছেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনে সংস্কার নিয়ে বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছি, ইসি কিছু বিষয়ে দ্বিমত জানাচ্ছে; ইসির বক্তব্য একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। তারা একটি বিশেষ দলকে ক্ষমতায় নেওয়ার আয়োজন করছে বলে মনে হচ্ছে।’

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটরে ‘মে দিবসের আহ্বান ও ২৪–এর গণ–অভ্যুত্থানের প্রেরণায়: নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে শ্রমিকের ন্যায্য হিস্যা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথাগুলো বলেন সারোয়ার তুষার। এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে দলের শ্রমিক উইং।

নির্বাচনের আগে ইসি পুনর্গঠন এবং ইসি সংস্কার করতে হবে উল্লেখ করে সারোয়ার তুষার বলেন, সংশয় তৈরি হয়েছে যে এই ইসি আসলে কার ইসি, এই ইসি আসলে কী চায়। এই ইসি দ্বারা আদৌ সুষ্ঠু নির্বাচন করা যাবে কি না, প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। যে আইন, যে বিধান দ্বারা এই ইসি পরিচালিত হয়, এই বিদ্যমান আইন এবং এই বিদ্যমান বিধানে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। ফলে আগামী নির্বাচনের আগেই ইসির সংস্কার করাটা সবচেয়ে জরুরি।

এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, বর্তমান সমাজব্যবস্থায় শ্রমিকদের ‘দাস’ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাঁদের কোনো স্বাধীন সত্তা নেই। তাঁদের ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা কখনো ১২ ঘণ্টা শ্রমের বিনিময়ে যে সামান্য অর্থ দেওয়া হয়, তাতে জীবনধারণ সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি, নাগরিকের মুক্তি, শ্রমিকের মুক্তির জন্য আমাদের সুস্পষ্টভাবে কাজ করতে হবে এবং সেটাই হবে আগামী নতুন বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য মুক্তি এবং নতুন বন্দোবস্ত।’

এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ চলমান সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। সংস্কারের মাধ্যমে শুধু কোনো একক দল যেন সুবিধা না পায়, সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা ইতিহাসের প্রতিটি স্তর বঞ্চিত হয়েছি। ৪৭–পরবর্তী সময়ে বঞ্চিত হয়েছি। ৭১–পরবর্তী সময়ে বঞ্চিত হয়েছি। ৯০–পরবর্তী সময়ে আমরা বঞ্চিত হয়েছি। সর্বশেষ আমরা ২০২৪–এ এসে দাঁড়িয়েছি। আমাদের মাথায় রাখতে হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আমাদের দায় রয়েছে।’

এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, দেশের পোশাক খাতে একটি মালিকবান্ধব ব্যবস্থা দাঁড় করানো হয়েছে। এখানে শ্রমিকদের শোষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে, অচিরেই এ ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। শ্রমিক অঞ্চল থেকে বিপ্লব গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি শ্রমিকদের বিদ্যমান এ অবস্থায় রাখতে চায় না। বাংলাদেশ পুনর্গঠনে এনসিপি শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করবে এবং তাদের পাশে থাকবে।

এনসিপির শ্রমিক উইংয়ের সংগঠক রহমতউল্লা রবিন নিহালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক রিয়াজ মোর্শেদ, দলের শ্রমিক উইংয়ের যুগ্ম সমন্বয়ক শাহ আলম, আল আমিন, সজিব ওয়াফি, আবু আবদুল্লাহ, সদস্য ফয়সাল আহমেদ প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ