যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে ১০৪ জন অবৈধ অভিবাসীকে। গতকাল বুধবার তাদের নিয়ে অমৃতসর বিমান বন্দরে নামে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সি-১৭ বিমান। 

নির্বাসিত ভারতীয় নাগরিকরা অভিযোগ করেছেন, তাদের পুরো যাত্রা জুড়ে হাতকড়া ও পায়ে শিকল পরিয়ে সামরিক বিমানে ফেরত পাঠানো হয়েছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে নির্বাসিত ভারতীয়দের তালিকায় রয়েছেন যশপাল সিং। ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেন, “অমৃতসর বিমানবন্দরে অবতরণের পরে শিকল খুলে ফেলা হয়েছিল।” 

যশপাল পাঞ্জাবের গুরুদাসপুরের বাসিন্দা। তার কথায়, “আমরা ভেবেছিলাম আমাদের অন্য কোনো ডিটেনশন ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তারপর একজন পুলিশ কর্মকর্তা আমাদের জানান যে, আমাদের ভারতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমাদের হাতকড়া পরানো হয়েছিল এবং আমাদের পায়ে শিকল বাঁধা ছিল। অমৃতসর বিমানবন্দরে নামার পরে শিকল, হাতকড়া খোলা হয়।”

গত ২৪ জানুয়ারি মেক্সিকো সীমান্তে মার্কিন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন যশপাল। তার দাবি, একজন ট্রাভেল এজেন্ট তাঁকে বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করেছেন।
যশপাল আরো বলেন, তাকে ১১ দিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে আটক রাখা হয়েছিল এবং তারপর তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে কঠোর অভিবাসন নীতি জারি করেছেন। অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত করে তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে নির্বাসিত ১০৪ জন অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীর প্রথম ব্যাচে ৩৩ জন হরিয়ানার, ৩৩ জন গুজরাটের, ৩০ জন পাঞ্জাবের, তিনজন মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশের এবং দুজন চণ্ডীগড়ের। নির্বাসিতদের মধ্যে ১৯ জন নারী এবং ১৩ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক রয়েছেন, তাদের মধ্যে চার বছরের একটি ছেলে এবং পাঁচ ও সাত বছরের দুটি মেয়ে রয়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে ওয়াশিংটন সফরে যাওয়ার মাত্র কয়েকদিন আগে অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের ঘটনা ঘটল।

সূত্রের বরাতে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, মার্কিন কর্মকর্তারা ভারতে ফেরত পাঠানোর জন্য ১৮ হাজার অবৈধ ভারতীয়ের একটি তালিকা প্রস্তুত করেছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর ছ ন আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতি মেয়ে

ফরিদপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহ্মুদা বেগমের মেয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা।গত মঙ্গলবার এনসিপির সদস্যসচিব আক্তার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ওই চিঠিতে ফরিদপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক করা হয়েছে মো. আব্দিুর রহমানকে এবং সংগঠক করা হয়েছে মো. রাকিব হোসেনকে।
 
এছাড়া ফরিদপুর অঞ্চলের পাঁচটি জেলা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী জেলার দু’জন করে ব্যক্তিকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।  

ফরিদপুর জেলার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে যে দু’জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের একজন হলেন সৈয়দা নীলিমা দোলা। তিনি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহ্মুদা বেগমের মেয়ে এবং জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ নাসিরের ভাগনি। দোলার বাবা সৈয়দ গোলাম দস্তগীর পেশায় ব্যবসায়ী।

সৈয়দা নীলিমা ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগীত বিভাগে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি কিছুদিন একটি মোবাইল ফোন কোম্পানিতে চাকরি করেন। বর্তমানে ‘সিনে কার্টেল’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী।
 
এ বিষয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা বলেন, ‘আমার পরিবারের সদস্যদের আওয়ামী রাজনীতি করা সংক্রান্ত কিছু পোস্ট আপনাদের সামনে আসতে পারে। আমি নিজে এর একটা ব্যাখ্যা রাজপথের সহযোদ্ধাদের দিয়ে রাখতে চাই। আমি ১০ বছর ধরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন করছি। নো মেট্রো অন ডিইউ মুভমেন্ট, রামপাল বিরোধী আন্দোলন, ডিএসএ বাতিলের আন্দোলন, সুফিয়া কামাল হলকে ছাত্রলীগ মুক্ত করাসহ অন্যান্য সকল আন্দোলনে আমি পরিচিত মুখ। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমার লেখালেখিও পুরনো। ২০১২ সালে পরিবার ছাড়ার পর রাজপথই আমার আসল পরিবার। জুলাইয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অন্যতম মামলা তাহির জামান প্রিয় হত্যা মামলার একজন প্রত্যক্ষদর্শী আমি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরাসরি ছাত্রলীগ করে অনেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। আমি কখনও ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না, তাই আমার নাগরিক কমিটির সদস্য হতে বাধা কোথায়? এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জেনে-বুঝে এবং আমি ‘লিটমাস’ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরই আমাকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে।’ 

আওয়ামী লীগ নেত্রীর মেয়ে দায়িত্ব পেয়েছেন জেলার এনসিপি কমিটি গঠনে-এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব সোহেল রানা বলেন, ‘তার (সৈয়দা নীলিমা) পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড আওয়ামী লীগ। আমরা দেখেছি, গত জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে তার মামা গোলাম নাসির কিভাবে আমাদের ওপর নির্বিচার গুলি ছুড়েছিল। তার মায়ের কর্মকাণ্ডও আমাদের অজানা নয়।’ 

সৈয়দা নীলিমা দোলার সঙ্গে আমাদের পরিচয় পর্যন্ত নেই মন্তব্য করে সোহেল রানা বলেন, ‘আসলে দায়িত্ব দেওয়ার আগে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে নেওয়া হলে ভাল হতো। যাচাই-বাছাই করা হলে এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নবীজির (সা.) অদ্ভুত দোয়া
  • অর্থ আত্মসাত: খুলনায় নারী ব্যাংক কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
  • বগুড়ায় সারজিসের উপস্থিতিতে মারামারির ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ৪ নেতা হাসপাতালে
  • অমিতাভের চিরকুট কিংবা ফ্যাশন নিয়ে রাধিকার ১০ প্রশ্নের জবাব, ১০ ছবি
  • মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস
  • একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা
  • বড় বন্দরে ভারী কাজ করেও চলে না সংসার 
  • নাটোরে ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল একজনের
  • ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতির মেয়ে
  • ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতি মেয়ে