হবিগঞ্জে ডাকাতির মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া এক আসামি চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় দায়িত্বরত দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতাল থেকে ওই আসামি পালিয়ে যায়।

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার দেউন্দি এলাকায় ডাকাতদের হামলায় মহসিন মিয়া নামের এক ব্যবসায়ী প্রাণ হারান। এ ঘটনায় ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে শায়েস্তাগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তাজুল ইসলাম বাদী একটি মামলা করেন।

এ মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশ জেলার মাধবপুর উপজেলার সুন্দরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, মাধবপুর উপজেলার বাখরনগর গ্রামের জমির আলীর ছেলে ফয়সাল মিয়া (৩২), মানিকপুর গ্রামের শাহ আলম মিয়ার ছেলে রুবেল আহমদ (২৬), সুন্দরপুর গ্রামের আছদ্দর আলীর ছেলে জয়নাল মিয়া (৪২), একই গ্রামের দুবাই মিয়ার ছেলে জালাল মিয়া ওরফে স্প্রিং জালাল (৩২) ও চুনারুঘাট উপজেলার উলুকান্দি গ্রামের ইদ্রিছ আলীর ছেলে রুহুল আমিন (২৪)।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে গুরুতর আহত জালালকে ওইদিন (বৃহস্পতিবার) রাতে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জালাল বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে। এ সময় পুলিশ তাঁর হাতকড়া খুলে দেয়। এর পর থেকে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তিনি পুলিশ সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। পুলিশ সম্ভাব্য নানা স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁকে খুঁজে পায়নি।

এ ঘটনায় আজ দুপুর ১টায় হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য ইফতেখারুল হক ও বিজয় কুমার নামের দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।

হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) এ এন এম সাজেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পলাতক এ আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি দায়িত্বে অবহেলায় দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প ল শ সদস য এ ঘটন য় উপজ ল র বরখ স ত

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ