অপরাজনীতি করলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে : রেজাউল করিম
Published: 7th, February 2025 GMT
দখলবাজি ও চাঁদাবাজি বন্ধ না করতে পারলে দলের বদনাম হবে। আগামীতে বিএনপি জনগণের কাছে কোন মুখে ভোট চাইতে যাবেন। এগুলো করলে আমাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে।
সোনারগাঁয়ে একটি মহল রাজনীতির নামে টাকা কামানোর ধান্দায় নেমেছেন। রাজনীতি হতে হবে মানুষের কল্যাণে। অপরাজনীতি করলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
যারা অপকর্ম করছেন তাদের আমলনামা দলের সিনিয়র নেতাদের কাছে আছে। আমরাও দিবো। এখনো সময় আছে ভালো হয়ে মানুষের কল্যাণের রাজনীতিতে ফিরে আসুন।
শুক্রবার বিকেলে কোনাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক উঠান বৈঠকে সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক মো.
তিনি আরো বলেন, বিএনপিকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সজাগ দৃষ্টিতে সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করা হবে।
বক্তব্য রাখেন, সোনারগাঁ থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আবু জাফর, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি অধ্যাপক ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মুকুল, সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নুরে ইয়াসমিন নোবেল, যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ মোল্লা, আশরাফ প্রধান, পনির হোসেন প্রমুখ।
পরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাষ্ট্র কাঠামোর ৩১ দফা বাস্তবায়নে ওই এলাকায় লিফলেট বিতরণ করা হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।