চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মৃণাল কান্তি ধরকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরের হাজারী গলিতে অবস্থিত তাঁর মালিকানাধীন স্বর্ণের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর দোকান থেকে লুট করা ৮ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। একই দিন ডাকাতির অভিযোগে গ্রেপ্তার মনির হোসেন নামের এক ব্যক্তির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ হাজারী গলির স্বর্ণের দোকানটিতে অভিযান চালায়।

পুলিশ জানায়, গত ৩০ জানুয়ারি আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের দক্ষিণ বন্দর এলাকায় মো.

গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর ঘরে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতেরা ওই সময় আট ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৩ লাখ ২০ হাজার টাকাসহ ২৬ লাখ টাকার মালামাল লুট করে। ওই ঘটনায় একই দিন থানায় মামলা করেন গিয়াস উদ্দিন।

এদিকে ডাকাতির ঘটনায় কর্ণফুলী থানা–পুলিশের একটি দল বৃহস্পতিবার রাতে আনোয়ারা উপজেলার চাতরী চৌমুহনী এলাকায় অভিযান চালিয়ে আনোয়ারা সদরের বিলপুর এলাকার মো. মনিরকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁর স্বীকারোক্তি মতে, নগরের হাজারী গলির মডার্ন ফেন্সি জুয়েলার্সে অভিযান চালিয়ে আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মৃণাল কান্তি ধরকে (৬৫) আটক করে। পুলিশ তাঁর হেফাজত থেকে ২ ভরি ওজনের একটি সোনার হার, ১ ভরি ওজনের দুটি ব্রেসলেট, ৪ ভরি ওজনের ১০টি চেইন ও ১ ভরি ওজনের চারটি দুলসহ ৮ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করে।

কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ বলেন, ‘মনির ডাকাতির ৮ ভরি স্বর্ণ মৃণাল ধরের দোকানে বিক্রি করেন। আমরা এসব স্বর্ণ উদ্ধার করেছি। অন্যান্য অলংকার ও উদ্ধারের চেষ্টা করছি।’

ওসি আরও বলেন, দুজনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আদালতে মনির হোসেন ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ওজন র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ইসির ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠন করার নির্দেশ

বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এমন নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ।

এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফররাজ হোসেন ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে যে অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত করা এবং তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন।

জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদ

বৈঠকে কমিশন সদস্যরা জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’

‘প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে’

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাঁদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তাঁরা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তাঁরা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে তাঁর (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে আলোচনা করেছেন, মতামত দিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যেখানেই গিয়েছি, সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, “আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?” আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে, সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ