ডাকাতির ভাগে পাওয়া স্বর্ণ বিক্রি, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যানসহ দুজন গ্রেপ্তার
Published: 7th, February 2025 GMT
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মৃণাল কান্তি ধরকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরের হাজারী গলিতে অবস্থিত তাঁর মালিকানাধীন স্বর্ণের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর দোকান থেকে লুট করা ৮ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। একই দিন ডাকাতির অভিযোগে গ্রেপ্তার মনির হোসেন নামের এক ব্যক্তির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ হাজারী গলির স্বর্ণের দোকানটিতে অভিযান চালায়।
পুলিশ জানায়, গত ৩০ জানুয়ারি আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের দক্ষিণ বন্দর এলাকায় মো.
এদিকে ডাকাতির ঘটনায় কর্ণফুলী থানা–পুলিশের একটি দল বৃহস্পতিবার রাতে আনোয়ারা উপজেলার চাতরী চৌমুহনী এলাকায় অভিযান চালিয়ে আনোয়ারা সদরের বিলপুর এলাকার মো. মনিরকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁর স্বীকারোক্তি মতে, নগরের হাজারী গলির মডার্ন ফেন্সি জুয়েলার্সে অভিযান চালিয়ে আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মৃণাল কান্তি ধরকে (৬৫) আটক করে। পুলিশ তাঁর হেফাজত থেকে ২ ভরি ওজনের একটি সোনার হার, ১ ভরি ওজনের দুটি ব্রেসলেট, ৪ ভরি ওজনের ১০টি চেইন ও ১ ভরি ওজনের চারটি দুলসহ ৮ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করে।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ বলেন, ‘মনির ডাকাতির ৮ ভরি স্বর্ণ মৃণাল ধরের দোকানে বিক্রি করেন। আমরা এসব স্বর্ণ উদ্ধার করেছি। অন্যান্য অলংকার ও উদ্ধারের চেষ্টা করছি।’
ওসি আরও বলেন, দুজনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আদালতে মনির হোসেন ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের
নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে।
আরো পড়ুন:
জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল
সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”
মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।”
ঢাকা/শরিফুল/রফিক