অমর একুশে বইমেলায় ভারতে নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের বই বিক্রি ঘিরে হট্টগোলের পরিপ্রেক্ষিতে ‘তৌহিদী জনতা’র উদ্দেশ্যে শেষ অনুরোধ জানিয়ে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, এখন থেকে দলবদ্ধ বিশৃঙ্খলা বা ‘মব’ সৃষ্টি করা হলে তাদের  শক্ত হাতে দমন করা হবে।

সোমবার (১০ ফেব্রয়ারি) তসলিমা নাসরিনের বই বিক্রি করা নিয় তৌহিদী জনতার নামে একদল ব্যক্তি ‘সব্যসাচী প্রকাশনীর’ স্টলে গিয়ে হট্টগোল সৃষ্টি করে, স্টলের লোকজনের ওপর মারমুখী হয়ে ওঠে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে ‘তৌহিদী জনতা’ নামে যারা এই কাজ করেছেন, তাদের কড়া ভাষায় সকর্ত করে দিয়েছেন সরকার পতন আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা মাহফুজ আলম।

ঘটনাটি নিয়ে শোরগোল শুরু হলে মাহফুজ তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, “কথিত আন্দোলন আর মবের মহড়া আমরা এখন থেকে শক্ত হাতে মোকাবেলা করব। রাষ্ট্রকে অকার্যকর এবং ব্যর্থ প্রমাণের চেষ্টা করা হলে একবিন্দু ছাড় দেওয়া হবে না।”

আরো পড়ুন:

তসলিমা নাসরীনের বই নিয়ে বইমেলায় হট্টগোল

বইমেলায় নতুন গল্পগ্রন্থ ‘উলটো বুড়িগঙ্গা’

‘তৌহিদী জনতার’ উদ্দেশে মাহফুজ বলেন, “অভ্যুত্থানের পক্ষে হলে মব করা বন্ধ করেন, আর যদি মব করেন, তাইলে আপনাদেরও ডেভিল (শয়তান) হিসেবে ট্রিট (গণ্য) করা হবে।”

বইমেলার ঘটনার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে উপদেষ্টা লিখেছেন, “আজকের ঘটনার পর আর কোনো অনুরোধ করা হবে না।”

“জুলুম করা থেকে বিরত থাকেন, নইলে আপনাদের উপর জুলুম অবধারিত হবে।  লা তাযলিমুনা ওলা তুযলামুনা- যুলুম করবেন না, যুলুমের শিকার ও হবেন না। এটাই আপনাদের কাছে শেষ অনুরোধ।”

এর আগেও মাজার ভাঙাসহ বিভিন্ন ঘটনায় ’মব’ বা বিশৃঙ্খল ঘটনার প্রতিবাদ করে এবং হুঁশিয়ারি করে পোস্ট দিয়েছেন মাহফুজ আলম। 

ঢাকা/হাসান/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বইম ল বইম ল য়

এছাড়াও পড়ুন:

নোয়াখালীতে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাকে আশ্রয় দেওয়ায় তাঁতী দলের নেতা বহিষ্কার

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলাউদ্দিনকে নিজ বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের এক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কৃত মোহাম্মদ সৈকত উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়ন তাঁতী দলের সভাপতি ছিলেন। আজ শুক্রবার বিকেলে জেলা তাঁতী দলের সদস্যসচিব মোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে জেলা তাঁতী দলের আহ্বায়ক ইকবাল করিম সোহেল ও সদস্যসচিব মোরশেদ আলমের যৌথ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বহিষ্কারের আদেশ দেওয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মোহাম্মদ সৈকতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি মূল্যায়নে ব্যর্থ হওয়ায় হাতিয়া উপজেলা তাঁতী দলের দক্ষিণ কমিটিকে সতর্ক করা হয়েছে।

দলীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের জোড়খালী গ্রামে সৈকতের বাড়ি থেকে সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে হাতিয়া থানা–পুলিশ। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ১০টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। আলাউদ্দিন ও মোহাম্মদ সৈকত সম্পর্কে ফুফা–ভাগনে।

এ বিষয়ে মোহাম্মদ সৈকত প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে অনেকগুলো পরিবার থাকে। আমি ব্যবসার কাজে দিনের বেশির ভাগ সময় বাইরে থাকি। আলাউদ্দিন কখন বাড়িতে এসেছেন, তা আমার জানা নেই। আমাদের ঘর থেকে তাঁর শ্বশুরদের ঘর অনেক দূরে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাকে জড়ানো হয়েছে।’

নোয়াখালী জেলা তাঁতী দলের সদস্যসচিব মোরশেদ আলম বলেন, আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাকে আত্মগোপনে থাকার সুযোগ করে দেওয়ায় মোহাম্মদ সৈকতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের তাঁতী দল কমিটিকেও সতর্ক করা হয়েছে।

আরও পড়ুনহাতিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে পালিয়ে থাকা সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার৩১ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ