সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

নারায়ণগঞ্জ শহরের টানবাজার এলাকায় সোমবার দিবাগত রাতে উৎপল রায় (৬২) নামে এক এনজিও কর্মকর্তাকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা টানবাজার সাহাপাড়ায় শংকর সাহার মালিকানাধীন ৭তলা ভবনের ফ্ল্যাটে তাকে গলা কেটে হত্যা করে।

নিহত উৎপল রায় আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা সেভ দা চিলড্রেন’র প্রকল্প পরিচালক ছিলেন। তার ২ ছেলের একজন দেশের বাইরে থাকেন। আরেকজন পেশায় চিকিৎসক।

পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বন্দর এলাকার এক নারী এখানে কাজ করেন। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে ওই নারী বাসায় ঢোকেন। পরে সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে বের হন। রাত সাড়ে ৯টায় ছেলে উজ্জ্বল রায় বাসায় এসে দেখেন ভেতর থেকে লক করা। পরে লক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন তার বাবা রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছে।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাসির আহমদ বলেন, কারা কেন এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সেইসঙ্গে এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এনজে

.

উৎস: SunBD 24

এছাড়াও পড়ুন:

সিইপিজেডের শ্রমিক উৎপল তঞ্চঙ্গ্যার মৃত্যু নিয়ে যা জানা গেল

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) এক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় একটি কারখানার সুপারভাইজারকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া এ ঘটনায় চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা)। তাঁদের তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট এলাকায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজে (বিআইটিআইডি) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান উৎপল তঞ্চঙ্গ্যা (২৩)। তিনি সিইপিজেডের মেসার্স এলসিবি ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড কারখানায় ফিনিশিং হেলপার পদে কর্মরত ছিলেন।

কারখানার মানবসম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপক দৌলত হোসেন এবং উৎপলের সহকর্মী জিসান তঞ্চঙ্গ্যা ও সুজন চাকমার বরাত দিয়ে সিইপিজেড কর্তৃপক্ষ জানায়, গত রোববার বেলা ১১টার দিকে উৎপল তঞ্চঙ্গ্যা অসুস্থ বোধ করেন এবং তিনি সুপারভাইজারের কাছে অসুস্থতার বিষয়টি জানান। পরে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরলে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে উৎপলের মৃত্যুর বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্ট ছড়িয়ে পড়ে। এসব পোস্টে দাবি করা হয়, শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি তিনবার ছুটির আবেদন করেছিলেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাঁর আবেদন গ্রহণ করেনি। চাকরি হারানোর ভয়ে তিনি বাধ্য হয়ে অসুস্থ শরীর নিয়েই কাজে যোগ দেন। উৎপলের মৃত্যুর জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষের অমানবিক আচরণই সরাসরি দায়ী।

এ বিষয়ে সিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মো. আবদুস সোবহান বলেন, এই মর্মান্তিক ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট সুপারভাইজারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বেপজা কর্তৃপক্ষ একটি চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটি আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে। সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিইপিজেডের শ্রমিক উৎপল তঞ্চঙ্গ্যার মৃত্যু নিয়ে যা জানা গেল