নমিতা রানী তার এক আত্মীয়র মৃত্যুর খবর পেয়ে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার করমজা গ্রামে শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। তবে সেই অনুষ্ঠানে তার আর যাওয়া হলো না। ইট বোঝাই ট্রলি কেড়ে নিল তার প্রাণ। এ ঘটনায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার আরও এক যাত্রী মারা গেছেন।  

নিহতরা হলেন, পাবনার আমিনপুর থানার চরকান্দি এলাকার প্রশান্ত কুমার সূত্রধরের স্ত্রী নমিতা রানী (৪৫) ও বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার পাকুরাপাড়া এলাকার মৃত বাদশার ছেলে মামুন হোসেন (৩২)।

মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার পাবনা-বগুড়া মহাসড়কের মহিষাকোলা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত নমিতা রাণীর স্বামী প্রশান্ত কুমার সূত্রধর এবং রাহাত এন্টারপ্রাইজের মালিক ওয়ারেচ চৌধুরি গুরুতর আহত হয়েছেন।

জানা যায়, রাহাত এন্টারপ্রাইজের মালিক ওয়ারেচ চৌধুরী তার বালিবোঝাই একটি ট্রাক আমিনপুর থানার বোয়ালিয়া নামক স্থানে দুর্ঘটনায় কবলিত হলে সেখানে যাচ্ছিলেন তার আরেকটি ট্রাকের চালক মামুন হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে। 

স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি কাশীনাথপুর থেকে যাত্রী নিয়ে বেড়ার দিকে যাচ্ছিল। এ সময় উপজেলার পাবনা-বগুড়া মহাসড়কের মহিষাকোলা নামক স্থানে পৌঁছালে ইট বোঝাই একটি ট্রলি তাকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই নমিতা রানি ও মামুন হোসেন মারা যান। এসময় প্রশান্ত কুমার সূত্রধর এবং ওয়ারেচ চৌধুরি গুরুতর আহত হন। মুমূর্ষ অবস্থায় ওয়ারেচ চৌধুরিকে চিকিৎসার জন্য তার স্বজনরা ঢাকায় নিয়ে গেছেন।

সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান জানান, সিএনজিটি পাবনার কাশিনাথপুর থেকে যাত্রী নিয়ে বেড়ার দিকে যাচ্ছিল। এ সময় তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ইট বোঝাই একটি ট্রলি ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই দুই জন নিহত এবং দুইজন আহত হন। ট্রলিসহ চালক ও তার সহকারী পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন ।

মাধপুর হাইওয়ে থানার এস আই জালাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ উদ্ধার করে নিহতদের আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং সিএনজিটি আমিনপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহতরা চিকিৎসা নিতে বিভিন্ন হাসপাতালে র্ভতি আছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন উপজ ল র স এনজ

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি সুস্পষ্ট কূটনৈতিক সাফল্য

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্কের হার কমায় একে ঐতিহাসিক চুক্তি আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশের শুল্ক আলোচকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, “এটি সুস্পষ্ট এক কূটনৈতিক সাফল্য।”

শুক্রবার (১ আগস্ট) এক অভিনন্দন বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, শুল্ক হার ২০ শতাংশ করা হয়েছে, যা আগে আরোপিত শুল্ক হারের চেয়ে ১৭ শতাংশ কম। এর মাধ্যমে আমাদের আলোচকরা অসাধারণ কৌশলগত দক্ষতা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থরক্ষা ও সেটাকে আরো এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অবিচল প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছেন।

তিনি বলেন, আলোচকরা এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে নিরলসভাবে কাজ করে জটিল আলোচনাকে সফলভাবে এগিয়ে নিয়েছেন। যেখানে শুল্ক, অশুল্ক ও জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। আলোচনার মাধ্যমে অর্জিত এই চুক্তি আমাদের তুলনামূলক সুবিধা সংরক্ষণ করেছে। পাশাপাশি, বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তাবাজারে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি ও আমাদের মূল জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেছে।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ

কোন দেশে কত শুল্ক বসালেন ট্রাম্প

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আরো বলেন, এ অর্জন কেবল বাংলাদেশের বৈশ্বিক অঙ্গনে ক্রমবর্ধমান শক্তিকে তুলে ধরে না; বরং এটি বৃহত্তর সম্ভাবনা, ত্বরান্বিত প্রবৃদ্ধি ও দীর্ঘমেয়াদি সমৃদ্ধির পথ উন্মুক্ত করে।

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে উজ্জ্বল, উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আজকের সাফল্য আমাদের জাতীয় দৃঢ়তা ও আগামী দিনের আরো শক্তিশালী অর্থনীতির সাহসী দৃষ্টিভঙ্গির একটি শক্তিশালী প্রমাণ।

 

তথ্যসূত্র: বাসস

ঢাকা/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ