Risingbd:
2025-05-01@09:01:26 GMT

চেনা ছন্দে নাহিদ

Published: 11th, February 2025 GMT

চেনা ছন্দে নাহিদ

যেই গতি তাকে দিয়েছিল পরিচিতি, সেই গতির সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল তার। টানা ম্যাচ খেলার প্রভাবে ক্লান্ত শরীরে পাওয়া যেত না পুরোনো তেজ। তাতে কমতে থাকে সাফল্যের সূচক।

বিপিএলে শুরুর নাহিদ রানার পারফরম্যান্স আর শেষের পারফরম্যান্সে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। শুরুর ৫ ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের জার্সিতে ৯ উইকেট পেয়েছিলেন। টুর্নামেন্ট শেষ করেছেন ১২ ম্যাচে ১৯ উইকেট নিয়ে। গতি কমে যাওয়ায় আক্রমণের ধারও কমে যেতে থাকে। শরীরী ভাষায় ক্লান্তিভার ফুটে উঠে প্রবলভাবে। যদিও নাহিদ রানার দাবি ছিল, ‘‘শরীর ভালো অনুভব করছি। রংপুর রাইডার্সও আমাকে ভালো সহায়তা করছে। তারা বলেছে, তোমার যখন বিশ্রাম লাগবে আমাদের বলবে। তাদের সঙ্গে আমার কথা চলছে। যখন বিশ্রাম লাগবে, আমি তাদের বলব।’’ 

যদিও ওই বিশ্রামের প্রয়োজন হয়নি তার। টানা খেলার ওপর থাকা নাহিদ টুর্নামেন্ট শেষ করেছেন ওইভাবেই। টানা সাত ম্যাচ খেলার পর এক ম্যাচে বিরতি নিয়েছিলেন। ফিরে এসে খেলেন আবার পাঁচ ম্যাচ। তাতে কমতে থাকে তার বোলিং ধার।

আরো পড়ুন:

সব ধরনের ক্রিকেট থেকে শোহেলি আক্তারকে নিষিদ্ধ ঘোষণা

আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ২০০২: দুইদিনেও হয়নি শিরোপার ফয়সালা

বিপিএলে তার পারফরম্যান্স উঠা-নামা চোখে পড়েছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ ফিল সিমন্সের।  তবে আশার বিষয়, বিপিএল শেষে জাতীয় দলের অনুশীলনে ফিরে পুরোনো ছন্দ ফিরে পেয়েছেন ডানহাতি পেসার। নাহিদকে যেভাবে জাতীয় দলে পেয়েছিলেন সিমন্স সেভাবেই তাকে দেখেছেন সাম্প্রতিক সময়ে।

‘‘হ্যাঁ! (বিপিএলের) শেষ কয়েক ম্যাচে তাকে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা ধীরগতির মনে হয়েছে। এমনকি শেষ দিকে এসে রান আপও তার স্বাভাবিক সময়ের মতো ছিল না। তবে তারা (রংপুর রাইডার্স) আগে বাদ পড়ে যাওয়ায় সে কিছুটা বিশ্রাম পেয়েছে। বিশ্রাম নিয়ে আসায় তাকে গতকাল (রোববার) আবারও ধারালো মনে হয়েছে। গতি ফিরে আসছে এবং ক্যারিবিয়ানে যেমন ছিল, রান আপও তেমন গতিময় ছিল।’’

আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে চার পেসার নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। নাহিদ, মোস্তাফিজ, তাসকিনের সঙ্গে আছেন তানজিম হাসান। চতুষ্টয়ের মধ্যে নাহিদের গতি সবচেয়ে বেশি। যা বৈশ্বিক আসরে বড় প্রভাব রাখতে পারে। সব ঠিকঠাক থাকলে দুবাই ও রাওয়ালপিণ্ডিতে সামনের টুর্নামেন্টে সব ম্যাচেই হয়তো মাঠে দেখা যাবে তাকে। স্বস্তির খবর, পুরোনো নাহিদকেই গতির ঝড় তুলতে দেখা যাবে বৈশ্বিক আসরে।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

তাইজুলকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে অবমূল্যায়িত বোলার’ বললেন তামিম

চট্টগ্রাম টেস্টে আজ প্রথম দিনে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসে ৬০ রানে ৫ উইকেট পেয়েছেনতাইজুল ইসলাম। টেস্টে এ নিয়ে ১৬তমবার ইনিংসে ৫ উইকেট পেলেন  বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার। প্রথম দিনের খেলা শেষে তাইজুলের প্রশংসা করে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দেন তামিম ইকবাল।

আরও পড়ুনতাইজুলের মনে হয় না তারা খেলা বোঝে১ ঘণ্টা আগে

বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের পেজে তাইজুলের একটি ছবি পোস্ট করে লেখা হয়, ‘এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে অবমূল্যায়িত (আন্ডাররেটেড) বোলার। এখন খেলা অন্য বোলারদের পরিসংখ্যান দেখুন, তাহলে আমার কথাটা বুঝতে পারবেন। আরেকবার ৫ উইকেট নিয়ে দারুণ খেলেছ তাইজুল।’

২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে টেস্ট ও ডিসেম্বরে ওয়ানডে অভিষেক তাইজুলের। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক ২০১৯ সালে। ওয়ানডে (২০) ও টি-টোয়েন্টির (২) চেয়ে টেস্ট ম্যাচই (৫২) বেশি খেলেন তাইজুল। চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলতি টেস্টে প্রথম দিনের পারফরম্যান্সসহ মোট ৫৩ টেস্টে এ পর্যন্ত ২২৪ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। তাঁর টেস্ট সংস্করণের পারফরম্যান্সটা যাচাই করে দেখা যায়।

এখনো যাঁরা খেলছেন তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট নাথান লায়নের। অস্ট্রেলিয়ার অফ স্পিনারের টেস্ট অভিষেক ২০১১ সালে। তাইজুলের টেস্ট অভিষেকের সময় থেকে লায়নের পারফরম্যান্স—   ১০৩ টেস্টে ২৯.৪৮ গড়ে ৪৪১ উইকেট। মোট ২৪ বার ৫ উইকেট নিলেও তাইজুলের অভিষেকের পর থেকে ১৯ বার ৫ উইকেট নেন লায়ন। তবে অস্ট্রেলিয়া দল বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি টেস্ট খেলায় লায়ন এ সময়ে তাইজুলের চেয়ে অনেক বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন। বোলিং গড় এবং স্ট্রাইকরেটে লায়ন ও তাইজুলের মাঝে ব্যবধান বেশি না। তাইজুলের বোলিং গড় ৩১.৫৬, স্ট্রাইক রেট ৬১.৯, যেখানে লায়নের স্ট্রাইকরেট ৬১.৬ ও গড় ৩০.১৯।

আরও পড়ুনতাইজুলের ভেলকি, শেষ সেশনে গেল ৭ উইকেট২ ঘণ্টা আগে

ভারতের স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন গত বছর ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়েন। টেস্টে তার অভিষেক ২০১১ সালে। তাইজুলের টেস্ট অভিষেক থেকে এই সংস্করণে ৮৫ ম্যাচে ২২.৮৪ গড়ে ৪৩০ উইকেট নেন অশ্বিন। এ সময়ে ২৮ বার পেয়েছেন ৫ উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার মতো ভারতও বেশি বেশি টেস্ট খেলায় স্বাভাবিকভাবেই এ সময়ে তাইজুলের তুলনায় বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন অশ্বিন।

ভারতের আরেক স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজার ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। তাইজুলের অভিষেকের দুই বছর আগে টেস্টে অভিষেক জাদেজার। তাইজুলের অভিষেকের সময় থেকে এ পর্যন্ত ৬৮ টেস্টে ২৭৮ উইকেট নিয়েছেন জাদেজা। তবে তাঁর চেয়ে এ সময়ে বেশি সংখ্যকবার ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। জাদেজা এ সময়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন ১৩ বার, তাইজুল নিয়েছেন ১৬ বার।

তাইজুল ৫ উইকেট নেওয়ার পর তাঁকে জড়িয়ে ধরেন অধিনায়ক নাজমুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সেয়ানে সেয়ানে টক্করে বার্সা ও ইন্টারের কে কত নম্বর পেলেন
  • সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ
  • মিরাজে দুর্দান্ত জয় বাংলাদেশের
  • আজিজুল হাকিমের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স, কলম্বোয়ও হেসেছে বাংলাদেশ
  • ‘বাজপাখি’ মার্তিনেজের বাজে ফর্ম, আর্জেন্টিনার জন্য কতটা দুশ্চিন্তার
  • সমালোচকরা খেলা বোঝে না!—আক্ষেপ তাইজুলের
  • তাইজুলকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে অবমূল্যায়িত বোলার’ বললেন তামিম
  • বার্সেলোনা ও পিএসজি ছাড়া যে কীর্তি গড়ার সুযোগ নেই এবার আর কারও