আড়াইহাজার   উপজেলা   সাব-রেজিস্ট্রিার মো. সাজ্জাদ হোসেন আন্তরিকতায় ও দক্ষতায়   উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের রাজস্ব আদায় এবং সেবার মান  বেড়েছে। গত বছরে রাজস্ব আদায় হয়েছে   ৪৪   কোটি   ৫৫   লাখ   ৭৩৪ টাকা।

এই বিপুল  পরিমাণ   রাজস্ব বৃদ্ধিতে সংশ্লিষ্ট সবাই স্বস্তি প্রকাশ করেছে। উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস সুত্রে  জানা গেছে, গত বছর ২০২৪ জানুয়ারি   থেকে   ডিসেম্বর   ২০২৪   পর্যন্ত   মোট   রেজিস্ট্রিকৃত দলিলের  সংখ্যা ৯৬৩২ টি, মোট রাজস্ব আদায় হয়েছে  ৪৪ কোটি, ৫৫ লাখ ৭ শত ৩৪ টাকা ।  

জানুয়ারি ২০২৫ সালে মোট দলিল সংখ্যা ৭৭৫ টি, মোট রাজস্ব  আদায় হয়েছে  ৪ কোটি ৮ লক্ষ ,৫২ হাজার ৪শ ৭৪ টাকা । ২০২৫ সালের বছরের শুরুতে জানুয়ারি মাসের বিপুল  পরিমাণ রাজস্ব আদায় দেখেই উপলব্ধি করা যায় এবছরে রাজস্ব আহরণ আরও অনেক বাড়বে। 

অত্র অফিসের অধীনে মৌজা মোট ১৭৮ টি, ইউনিয়ন ১০ টি ও পৌরসভা ২ টি।  স্থায়ী কর্মকর্তা ও কর্মচারী মোট ৬ জন। অফিসার ১ জন, সহকারী ১ জন, মোহরার ২ জন, টি সি মোহরার ১ জন ও   ১ জন অফিস সহায়ক। দৈনিক মজুরী ভিত্তিতে রয়েছে ১ জন উমেদার, ১ জন ঝাড়ুদার ও এবং ১ জন নৈশ প্রহরী।একটি  সুত্র  জানায়,  বিগত  সরকারের  সময়  প্রায় ১২/১৪ টি  মৌজার   জমি কেনা-বেচা বন্ধ করে রাখা হয়েছিল।   

স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাদের মাসোয়ারা দিলে জমি বিক্রি করতে পারতো। অন্যথায় চরম প্রয়োজনে পড়লেও অনেকেই জমি বেচা-কেনা করতে পারতো না। যার কারণে বহু মানুষের   ভোগন্তি পোহাতে  হয়েছে।   ফলে রাষ্ট্রকেও অনেক  রাজস্ব হারাতে হয়েছে। 

বর্তমান সাবরেজিস্ট্রারের দক্ষতার ফলে এই সকল বন্ধ মৌজা চালু হওয়ার কারণে রাজস্ব আদায় বেড়েছে। আড়াইহাজার   উপজেলার   সাব-রেজিস্ট্রার মো: সাজ্জাদ হোসেন জানান, রেজিস্ট্রেশন বিভাগ   এককভাবে বাংলাদেশের   দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাজস্ব আহরণকারী বিভাগ। 

বিগত সময়ে সিন্ডিকেট ও পারিপার্শ্বিক ভয় ভীতির   কারণে জরুরি প্রয়োজন   থাকা সত্ত্বেও অনেকেই   দলিল করতে আসতে পারেনি। এখন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজের প্রয়োজনে জমি বেচা-কেনার জন্য অফিসে আসতে পারছে। যার ফলে রাজস্ব আহরণ এবছর আরও বাড়বে বলে আশা কর যায়।

আড়াইহাজার  উপজেলার   দলিল লেখক সমিতির   সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ   বলেন, বর্তমান   সাব-রেজিস্ট্রার মহোদয়ের আন্তরিক সহযোগিতায় বিগত ফ্যাসিস্ট সময়ের ভোগান্তি আর নেই। ভালো ভাবে চলছে আমাদের অফিস।

নারায়ণগঞ্জের জেলা রেজিস্ট্রার মো.

আব্দুল হাফিজ জানান, অফিসের কাজ কর্মে গতিশীলতা থাকলে দলিল   রেজিস্ট্রি বাড়ে। বতমানে পরিস্থিতিও স্বাভাবিক। আমাদের অফিসাররাও জনবান্ধব। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে জনগণকে উত্তম সেবা দেওয়া।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ র অফ স অফ স র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

২০২৪ সালে মেটার কাছে ৩৭৭১ অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছে সরকার

বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে ২০২৪ সালে ৩ হাজার ৭৭১টি অ্যাকাউন্টের বিষয়ে তথ্য চেয়ে অনুরোধ পেয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তবে বছরের প্রথম ৬ মাসের চেয়ে শেষ ৬ মা‌সে অনুরোধের সংখ্যা কমেছে। একই বছর গুগলের কাছে সরকার ৫ হাজার ৮২৭টি ক‌ন্টে‌ন্ট সরানোর অনুরোধ করেছিল।

প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মেটা (ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ) ও গুগলের (ইউটিউব) স্বচ্ছতা প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। মেটা ও গুগল বছরে দু’বার স্বচ্ছতা প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

সম্প্র‌তি প্রকা‌শিত সর্ব‌শেষ স্বচ্ছতা প্রতিবেদন অনুসা‌রে, ২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের কাছ থেকে তথ্য চাওয়া ও ক‌ন্টে‌ন্ট সরানোর অনুরোধ বেশি ছিল। পরের ছয় মাসে বি‌শেষ ক‌রে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এসব অনুরোধের‌ পরিমাণ ক‌মে আসে। সরকা‌রের নির্দেশনা অনুসারে এসব অনুরোধ জানিয়ে থাকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।  

মেটা বলছে, ২০২৪ সালে ৩ হাজার ৭৭১টি অ্যাকাউন্টের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়। এর ম‌ধ্যে জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ১ হাজার ৫০১টি অনুরোধের মাধ্যমে ২ হাজার ২৮৫টি অ্যাকাউন্টের বিষয়ে তথ্য চেয়েছিল সরকার। এ সময় ৬৮ দশমিক ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে সাড়া দেয় মেটা। প্রথম ছয় মাসে মেটা ২ হাজার ৯৪০টির বেশি ক‌ন্টে‌ন্টে প্রবেশ সীমিত করে দেয়। এর মধ্যে রয়েছে ২ হাজার ৬০০টির বেশি ফেসবুক মন্তব্য, পোস্ট ৩১৭টি, পেজ ও গ্রুপ ১টি এবং প্রোফাইল ৫টি।

সে বছ‌রের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার ৯২৬টি অনুরোধের মাধ্যমে সরকার মেটার কাছে ১ হাজার ৪৮৬টি অ্যাকাউন্টের বিষয়ে তথ্য চেয়েছিল। এর মধ্যে ৬৪ শতাংশ ক্ষেত্রে মেটা তথ্য দিয়েছে। শেষ ছয় মাসে মেটা বাংলাদেশে ১ হাজার ২৮০টির মতো ক‌ন্টে‌ন্টে প্রবেশ সীমিত করে দেয়। এর মধ্যে ফেসবুকে মন্তব্য (কমেন্ট) ১ হাজার ১৪০টি, ১২৩টি পোস্ট, ৮টি প্রোফাইল। 

সাইবার নিরাপত্তা আইনের অধীন বিভিন্ন অপরাধের জন্য স্থানীয় আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিটিআরসি যেসব রিপোর্ট করেছে, মেটা সেসব ক‌ন্টে‌ন্টে প্রবেশ সীমিত করা হয়। এর মধ্যে নিয়ন্ত্রিত পণ্য, ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আক্রমণ, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা উসকে দেওয়া ও আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ। 

এদি‌কে বাংলাদেশ সরকার গুগলের কাছে  এক বছরে ৫ হাজার ৮২৭টি ক‌ন্টেন্ট সরানোর অনুরোধ করেছিল। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৩৩৭টি অনুরোধে ৪ হাজার ৪৭০টি ক‌ন্টে‌ন্ট সরাত‌ে ব‌লে সরকার। জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৫৩টি অনুরোধ জানায় সরকার। এসব অনুরোধের মাধ্যম‌ে  ১ হাজার ৩৫৭টি  ক‌ন্টেন্ট সরাতে বলা হয়। এসব অনুরোধের ৪৫ দশমিক ৮ শতাংশ ক্ষেত্রে গুগল কোনো পদক্ষেপ নেয়নি এবং ৩৭ শতাংশ ক্ষেত্রে যথেষ্ট তথ্য ছিল না। বাকিগুলো সরানো হয়।

সরকারের অনুরোধের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল মানহানি, নিয়ন্ত্রিত পণ্য ও সেবা এবং সরকারের সমালোচনার বিষয়বস্তু।  ইউটিউবের বিষয়বস্তু সরানোর অনুরোধ ছিল বে‌শি।

২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার গুগলক‌ে ২৮টি অনুরোধ জানায়। এর মধ্য ৩০টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। গুগল ১৪ শতাংশ ক্ষেত্রে সাড়া দিয়েছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দেশে ১৪ দিনে এল ১১৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
  • খেলাপি ঋণ ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে
  • সুদ পরিশোধে ব্যয় বাড়ছে
  • সংশোধিত সাইবার অধ্যাদেশও আন্তর্জাতিক মানের হয়নি
  • জার্মানির ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনা মূল্যে পড়াশোনা, জেনে নিন সব তথ্য
  • ২০২৪ সালে মেটার কাছে ৩৭৭১ অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছে সরকার
  • সাগরে ইলিশ মিলছে কম, চড়া দাম আড়তে
  • কয়েক দশকের ছায়াযুদ্ধ থেকে এবার প্রকাশ্য সংঘাতে ইরান-ইসরায়েল
  • তিন চ্যাম্পিয়ন দলসহ যেসব তারকাকে দেখা যাবে না ক্লাব বিশ্বকাপে
  • নিষেধাজ্ঞা চলাকালে নৌবাহিনীর অভিযানে ৯৯ কোটি টাকার মাছ ও জাল জব্দ