বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় রাকিব আহমেদকে আহ্বায়ক ও সিরাজুল ইসলামকে সদস্য সচিব করে ৭৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ সোহেল স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে আগামি ৬ মাসের জন্য এ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

কমিটিতে মুখ্য সংগঠক মো.

শাহেদ হোসেন, মুখপাত্র মো. মাইনুল ইসলাম, সহ-মুখপাত্র মো.জাহিদুল ইসলাম ও শারমিলা জামান সেঁজুতি দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া এ কমিটিতে ১৫ জনকে যুগ্ম-আহ্বায়ক, ১৪ জনকে যুগ্ম-সদস্য সচিব, আটজনকে সংগঠক ও ৩২ জনকে সদস্য করা হয়েছে।

আহ্বায়ক রাকিব আহমেদ বলেন, “আমাদের প্রথম কাজ হবে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। এছাড়া বিগত দিনে যারা লেজুড়বৃত্তিক ও নোংরা রাজনীতি করত, সেই অপসংস্কৃতি দূর করতে হবে।”

তিনি বলেন, “যারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও আন্দোলনে বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত করেছে, তাদের উপযুক্ত বিচার ও শাস্তি যাতে হয় সেজন্য আমরা কাজ করে যাব।”

ঢাকা/সাইফুল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ