সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, কোনো সংস্কৃতি অন্য সংস্কৃতির চেয়ে শ্রেষ্ঠ নয়। এটি কেবল ভিন্নতা।

সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত ইসলামি বিশ্বের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থার (আইসেস্কো) ৫৪টি সদস্যদেশের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রীদের সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। আজ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

উপদেষ্টা সংস্থাটির সক্রিয় থাকার ওপর জোর দেন। তিনি মনে করেন, এর ফলে সদস্যদেশগুলোর সংস্কৃতিকে বিশ্বের সামনে সর্বোত্তমভাবে উপস্থাপন করা যাবে।

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী আরও বলেন, সদস্যদেশগুলোর মধ্যে আরও কার্যকর ও সম্পৃক্ত সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রয়োজন, যা প্রতিটি সদস্যরাষ্ট্রে একটি গতিশীল, সৃজনশীল অর্থনীতি ও সংস্কৃতি-শিল্প গঠনে সহায়তা করবে।

বক্তব্যের শুরুতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে বাস্তবে রূপ দেওয়া বীর বাংলাদেশিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান উপদেষ্টা ফারুকী।

সৌদি যুবরাজ বদর বিন আবদুল্লাহ বিন ফারহান আল সৌদের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। এরপর ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) মহাসচিব হুসেইন ইব্রাহিম তাহা, জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মিগুয়েল অ্যাঞ্জেল মোরান্তিনোসসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন। সম্মেলনটি ১৩ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।

বাংলাদেশ ইউনেসকো জাতীয় কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ওআইসির সদস্যভুক্ত দেশগুলো নিয়ে ১৯৭৯ সালের ৩ মে আইসেস্কো প্রতিষ্ঠিত হয়। এর সদর দপ্তর মরক্কোর রাবাতে। ৫৪ সদস্যভুক্ত আইসেস্কো, ইসলামি বিশ্বের সর্ববৃহৎ সংস্থা, যা শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করে। বাংলাদেশ ১৯৮২ সালে আইসেস্কোর সদস্যপদ লাভ করে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আইস স ক

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় ফুটপাত দখল করে দোকানের পসরা, কোটি টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগ

বগুড়া শহরের সার্কিট হাউস-কালীবাড়ি মোড় সড়কে সারি সারি ভ্যানে হরেক খাবারের পসরা। পিৎজা, বার্গার, স্যান্ডউইচ, চিকেন শর্মা, মিটবক্স—সবই মিলছে রাস্তার পাশের এসব দোকানে। ক্রেতারা মূলত কিশোর ও তরুণ-তরুণী।

দোকানগুলোতে নেই কোনো আলাদা শেফ। বিক্রেতারাই নিজের হাতে খাবার তৈরি করছেন, পরিবেশনও করছেন। কারও হাতে গ্লাভস নেই, শরীরে নেই অ্যাপ্রোন। বিকেল গড়াতেই এসব ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকানে ভিড় জমছে। কোর্ট হাউস স্ট্রিটের পাশেই আছে ‘পিজ অ্যান্ড বার্গ’, ‘পদ্মা ফুডস’ ও ‘হিলিয়াম রেস্টুরেন্ট’-এর মতো নামীদামি খাবারের দোকান। একসময় সন্ধ্যায় এসব প্রতিষ্ঠানে ক্রেতার ঢল নামত। এখন সে ভিড় চলে গেছে রাস্তার পাশে বসা দোকানগুলোর দিকে।

পদ্মা ফুডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জলেশ্বরীতলা ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমদাদ আহমেদ বলেন, ‘অভিজাত এ এলাকায় একটি খাবারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। অন্তত ১৪টি প্রতিষ্ঠান থেকে সনদ নিতে হয়। এসব নবায়নে প্রতিবছর মোটা অঙ্কের টাকা গুনতে হয়। ভবন ভাড়া, দামি শেফ ও কর্মচারীর বেতন—সব মিলিয়ে খরচ বিপুল। অথচ রাস্তার পাশে ভ্যানে বসা দোকানে বিনিয়োগ মাত্র ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। কোনো সনদ নেই, দোকানভাড়া নেই, কর্মচারীও নেই। শুধু দামে সস্তা বলে ক্রেতারা ঝুঁকছেন ওদিকে। সড়ক দখল করে দোকান বসায় যানজটও বাড়ছে। অভিযোগ করেও প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো প্রতিকার মিলছে না।

বগুড়া হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এসএম দেলোয়ার হোসেন বলেন, জলেশ্বরীতলা অভিজাত এলাকা। এখানে দোকান দিতে বিপুল বিনিয়োগ লাগে। নামীদামি দোকানে একটি পিৎজার দাম ৫০০ টাকা হলে ভ্রাম্যমাণ দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকলেও ক্রেতারা সস্তা পেয়ে সেখান থেকেই কিনছেন। এতে অভিজাত রেস্টুরেন্টগুলো লোকসানে পড়ছে। এর সঙ্গে তিনি যুক্ত করেন, ‘আমরা স্ট্রিট ফুড ব্যবসার বিরোধী নই। তবে সেটা অভিজাত এলাকা থেকে সরিয়ে পৌর পার্ক, অ্যাডওয়ার্ড পার্কসংলগ্ন সড়ক কিংবা সরকারি আজিজুল হক কলেজের পাশের এলাকায় নিতে প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি।’

সড়কজুড়ে দোকান, ভোগান্তিতে শহরবাসী

সম্প্রতি দেখা যায়, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে সড়কের এক পাশে ২০-২৫টি ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকান বসেছে। অন্য পাশে ফলের দোকান। বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আদালত প্রাঙ্গণের সামনে যানজট লেগেই থাকে।

এ ছাড়া পৌরসভা লেন, জেলা খানা মোড়, বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বাকী সড়ক, মহিলা ক্লাব মোড়, শহীদ আবদুল জব্বার সড়ক, সাতমাথা-সার্কিট হাউস সড়কসহ শহরের নানা সড়কেই বসছে ফুচকা, চটপটি, জুস, ফাস্ট ফুড ও ফলের দোকান।

সাতমাথায় প্রতিদিন বসছে অর্ধশতাধিক দোকান। জিলা স্কুলের সামনে চটপটি ও কাবাবের দোকানগুলোর চেয়ার বসানো হয়েছে ফুটপাত দখল করে। কবি নজরুল ইসলাম সড়ক, থানা মোড়, বড়গোলা, দত্তবাড়ি, কালিতলা—সবখানেই দুই পাশে দোকান।

রাস্তা দখল করে দোকান বসানোয় বেশির ভাগ সময় যানজটে থাকে শহরে। সম্প্রতি তোলা

সম্পর্কিত নিবন্ধ