এবারের স্বাধীনতা দিবসে বিভিন্ন কারাগারে থাকা ১৭ কয়েদিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বন্দিদের মধ্যে সবাই ইতোমধ্যে সাজার মেয়াদের অর্ধেক শেষ করেছেন এবং তারা প্রায় সবাই গুরুতর অসুস্থ। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকরা তাদের মুক্তির সুপারিশ করেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়। 

মন্ত্রণালয়ের কারাগার উইং জানিয়েছে, স্বাধীনতা দিবসে চলতে-ফিরতে অক্ষম ও কারাগারে সদাচরণ করা মোট ১৭ জনকে দেশের সাতটি কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ ও কারা অধিদপ্তর এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমান বুধবার বলেন, স্বাধীনতা দিবসে লঘুদণ্ডে দণ্ডিত এবং অক্ষম কারাবন্দিদের মুক্তি দেওয়া হয়। কয়েদিরা হলেন– বরিশাল কারাগারের আনিসুর রহমান, কুমিল্লা  কারাগারের অলি মিয়া ও মমতাজ উদ্দিন, রাজবাড়ী কারাগারের মেহেদী হাসান, সিলেট কারাগারের মহিব উল্যাহ, খোরশিদ আলী, শাহীনুর আলম শাহীন, সুফি মিয়া, হবিব আলী, তেরা মিয়া ওরফে মুহিবুর, আনর আলী, শফিক মিয়া, বাদশা মিয়া ও কামাল আহমেদ, পাবনা জেলা কারাগারের আবুল কালাম, চট্টগ্রাম কারাগারের কবির হোসেন ও বগুড়া কারাগারের রফিকুল ইসলাম।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

ফতুল্লার লামাপাড়ায় মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, কোর্স সমাপনী সনদ প্রদান, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থতার বর্ষপূর্তি ও খেলাধূলার আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।

মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রয়াস বিগত ২২ বছর যাবত নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা করে যাচ্ছে।

সব ধরনের আইন ও বিধি-বিধান মেনে সেবার মানোন্নয়ন প্রয়াসের বর্তমান লক্ষ্য। শুধু চিকিৎসা সেবা প্রদান নয়, বরং মানসম্পন্ন টেকসই সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসা পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রম কেন্দ্রটি পরিচালনা করে থাকে।

জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রয়াসে চিকিৎসা কোর্স সম্পন্নকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান, প্রাক্তন সদস্যদের মনিটরিং, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থ থাকার স্বীকৃতি ও জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহণ প্রয়াসের টেকসই চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ।

তিনি আরো বলেন, আমরাই প্রথম নারায়ণগঞ্জে ৪০ বেডে লাইসেন্স প্রাপ্ত মাদকাসক্ত চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রয়াসের প্রতিষ্ঠা ২০০৩ সালে হলেও আমরা লাইসেন্স পেয়েছি ২০০৬ সালে। গত ২০২১ সাল থেকে আমরা প্রতিবছর সরকারি অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসছি।

এসময় তিনি অভিভাবক প্রতিনিধি ও প্রাক্তন সদস্যদের প্রয়াসের সামগ্রিক কার্যক্রমে সংযুক্ত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, অফিসার এডমিন সাজ্জাদ হোসেন, প্রোগ্রাম অফিসার শেখ ফরিদ উদ্দিন ও মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, শওকত হোসেন, লিটন, আমজাদ, বাবুসহ  রিকোভারীবৃন্দ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ