এবারের স্বাধীনতা দিবসে বিভিন্ন কারাগারে থাকা ১৭ কয়েদিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বন্দিদের মধ্যে সবাই ইতোমধ্যে সাজার মেয়াদের অর্ধেক শেষ করেছেন এবং তারা প্রায় সবাই গুরুতর অসুস্থ। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকরা তাদের মুক্তির সুপারিশ করেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়। 

মন্ত্রণালয়ের কারাগার উইং জানিয়েছে, স্বাধীনতা দিবসে চলতে-ফিরতে অক্ষম ও কারাগারে সদাচরণ করা মোট ১৭ জনকে দেশের সাতটি কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ ও কারা অধিদপ্তর এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমান বুধবার বলেন, স্বাধীনতা দিবসে লঘুদণ্ডে দণ্ডিত এবং অক্ষম কারাবন্দিদের মুক্তি দেওয়া হয়। কয়েদিরা হলেন– বরিশাল কারাগারের আনিসুর রহমান, কুমিল্লা  কারাগারের অলি মিয়া ও মমতাজ উদ্দিন, রাজবাড়ী কারাগারের মেহেদী হাসান, সিলেট কারাগারের মহিব উল্যাহ, খোরশিদ আলী, শাহীনুর আলম শাহীন, সুফি মিয়া, হবিব আলী, তেরা মিয়া ওরফে মুহিবুর, আনর আলী, শফিক মিয়া, বাদশা মিয়া ও কামাল আহমেদ, পাবনা জেলা কারাগারের আবুল কালাম, চট্টগ্রাম কারাগারের কবির হোসেন ও বগুড়া কারাগারের রফিকুল ইসলাম।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

তেহরানের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ

ইরানের রাজধানী তেহরানের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ইরানের সংবাদ সংস্থা ফার্সের বরাতে আল-জাজিরা জানিয়েছে, তেহরানের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি সামরিক ঘাঁটিতে ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে। এ ছাড়া তেহরানের পূর্বাঞ্চলেও বিস্ফোরণের খবর প্রকাশ করেছে ইরানি গণমাধ্যম।

এর আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তেহরানের কিছু অংশে হামলার হুমকি দিয়েছিল। এরপরই এসব বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) তেহরানের একটি বিস্তৃত এলাকার মানুষকে ‘অবিলম্বে এলাকা ছেড়ে যেতে’ সতর্ক করে।

বিবিসি জানায়, আইডিএফের মুখপাত্র আভিচাই আদরায়ি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স–এ দেওয়া পোস্টে বলেন, ‘আগামী ঘণ্টাগুলোতে আমরা তেহরানের এই এলাকায় অভিযান চালাব—যেমন আগের দিনগুলোতেও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে।’

তিনি জানান, ইরানের সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে এই অভিযান চালানো হবে।

পোস্টের সঙ্গে একটি মানচিত্র যুক্ত করে ইসরায়েল জানায়, তেহরানের তৃতীয় জেলায় বসবাসকারীদের এলাকা ছাড়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সতর্কবার্তায় আরও বলা হয়, ‘আপনার এই এলাকায় অবস্থান আপনার জীবনের জন্য হুমকি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ