Risingbd:
2025-08-01@04:47:29 GMT

ফেয়েনূর্ড রূপকথা চলছেই

Published: 13th, February 2025 GMT

ফেয়েনূর্ড রূপকথা চলছেই

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে ফেয়েনূর্ড রূপকথা চলছেই। লিগপর্বে বেনফিকার বিপক্ষে জয়, ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে ড্র, স্পার্টার বিপক্ষে জয় ও বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষেও জয় পেয়েছিল নেদারল্যান্ডসের ক্লাবটি। এরপর জায়গা করে নেয় প্লে’অফে। সেখানে তারা পায় উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে দ্বিতীয় সবচেয়ে সফল দল এসি মিলানকে। এবার প্লে’অফের প্রথম লেগে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) দিবাগত রাতে মিলানকেও হারিয়ে দিয়েছে ফেয়েনূর্ড। হারিয়েছে ১-০ গোলে। শেষ ষোলোর পথে একধাপ এগিয়ে রয়েছে।

এদিন ম্যাচের শুরুতেই লিড নেয় ফেয়েনূর্ড। তৃতীয় মিনিটে খাইস্মলের বাড়িয়ে দেওয়া বল পেয়ে ইগোর পেয়াও ডান পায়ে শটে গোল করে এগিয়ে নেন দলকে। বাকি সময় প্রাণান্তকর চেষ্টা করেও এই গোলটি আর শোধ দিতে পারেনি এসি মিলান। অন্যদিকে ফেয়েনূর্ডও পারেনি ব্যবধান বাড়াতে। 

ম্যাচের ৫৩ শতাংশ বলের দখল ছিল মিলানের কাছে। তারা ১২টি কার্যকর আক্রমণ শানিয়েছিল। তার মধ্যে ৬ বার গোলমুখে শট নিয়েছিল। অন্যদিকে ফেয়েনূর্ড ১১টি আক্রমণ শানিয়েছিল। গোলমুখে শট নিয়েছিল ২টি। তার মধ্যে একটি থেকে গোল হয়েছিল। এসি মিলান ৬টি কর্নার পেয়েও কোনো গোল আদায় করতে পারেনি। ফেয়েনূর্ডও পেয়েছিল ৫টি কর্নার।

আরো পড়ুন:

রিজওয়ান-সালমানের জোড়া সেঞ্চুরিতে ফাইনালে পাকিস্তান

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির এবারের আসরে খেলা হচ্ছে না যে তারকাদের

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ