ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে বেপরোয়া গতির ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল ফারহানা ইয়াসমিন শিল্পী (৪৬) নামের এক স্কুল শিক্ষিকার।

বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা সদরের বটতলী এলাকায় এই দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। ওই স্কুল শিক্ষিকা বাঞ্ছারামপুর এস এম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি বাঞ্ছারামপুর উপজেলার খোশকান্দি গ্রামের গ্রামের মৃত মোহাম্মদ শাজাহান আলমের স্ত্রী। নিহত ফারজানা ইয়াসমিন শিল্পী দুই সন্তান রয়েছে। 

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার রাতে ওই শিক্ষিকা তার এক আত্মীয়র সঙ্গে মোটরসাইকেল যোগে উজানচর থেকে বাঞ্ছারামপুর আসার পথে বাঞ্ছারামপুর হোমনা সড়কের পূর্ব বাঞ্ছারামপুরের বটতলী মোড়ে আসলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। এসময় তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর সরকারি এস এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিকুর রহমান বলেন, আমি শুনেছি ফারজানা ইয়াসমিন শিল্পী বাড়ি ফেরার পথে বেপরোয়া গতির ট্রাকের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন। বিষয়টি অত্যন্ত মর্মান্তিক আমাদের বিদ্যালয় তার মতো একজন মেধাবী শিক্ষককে হারিয়ে গভীর শোকাহত। 

এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মোরশেদুল আলম চৌধুরী বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ নেই। মরদেহ নিহতের পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। চালক পলাতক থাকায় ট্রাকের নিরাপত্তার জন্য থানায় এনে ট্রাকটি রাখা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

চিকিৎসার অভাবে শ্রমিক মৃত্যুর অভিযোগ, বন্দরে মহাসড়ক অবরোধ

অসুস্থ শ্রমিককে ছুটি না দেওয়া, চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অবরোধ করেন শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে যানজটের সৃষ্টি হয়। সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহাসড়কের মদনপুর অংশে তারা এ অবরোধ করে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিচারের আশ্বাসে এগারোটায় মহাসড়ক থেকে সরে যায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। 

শ্রমিকরা জানান, 'লারিস ফ্যাশন' নামে একটি রপ্তানিমুখি গার্মেন্টসের নারী শ্রমিক রিনা (৩০) অসুস্থ অবস্থায় ডিউটি করে যাচ্ছিলেন। গতকাল তিনি অসুস্থতা বোধ করলে কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটির আবেদন করেন। তবে কর্তৃপক্ষ তার আবেদনে কোনো সাড়া না দিয়ে কাজ করে যেতে বাধ্য করেন। পরে অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে সহকর্মীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শ্রমিক রিনা কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার দুলালের মেয়ে। অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ এ মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। 

বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ লিয়াকত আলী জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সড়িয়ে দেন। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক ও পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ