উত্তরাধিকার সামনে এগিয়ে নিতে পুত্র রাম চরণের কাছে নাতি (ছেলে) চেয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন ভারতের দক্ষিণী সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা চিরঞ্জীবী। ‘ব্রহ্মা আনন্দম’ সিনেমার মুক্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এমন মন্তব্য করেন চিরঞ্জীবী। তারপর থেকে জোর চর্চা চলছে।

রাম চরণকে উদ্দেশ্য করে চিরঞ্জীবী বলেন, “আমি যখন বাড়িতে থাকি, তখন মনে হয় না নাতনিরা আমাকে ঘিরে রেখেছে। বরং অনুভব করি, আমি একটি মহিলা হোস্টেলের ওয়ার্ডেন। আমার চারপাশ নারীরা ঘিরে রাখে। রাম চরণের কাছে চাওয়া, এবার যেন একটি পুত্রসন্তান হয়। যাতে করে আমাদের উত্তরাধিকার সামনে এগিয়ে নিতে পারে। কিন্তু তার মেয়ে তার চোখের মণি। আমি ভয় পাচ্ছি, যদি আবার তার কন্যাসন্তান হয়।”

মেগাস্টার চিরঞ্জীবীর লিঙ্গবৈষম্যমূলক বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়। কন্যাসন্তান নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করায় নাখোশ নেটিজেনরা। রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও হতবাক হয়েছেন চিরঞ্জীবীর মন্তব্যে।  

আরো পড়ুন:

কত টাকা আয় করল নাগা-সাই পল্লবীর সিনেমা?

রাজনীতির টানে রুপালি জগতকে বিদায়, শেষ সিনেমায় সঙ্গী শ্রুতি

কংগ্রেসের সংসদ সদস্য জেবি মাথার বলেন, “এটা খুবই দুঃখজনক। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। শুধু পুত্র সন্তানই বংশের উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। ছেলে ও মেয়ে দু’জনেই আমাদের সম্পদ। আমরা দুজনের জন্যই গর্বিত।”

২০১১ সালের ১১ ডিসেম্বর বাগদান সারেন রাম চরণ ও উপাসনা। ২০১২ সালের ১৪ জুন বিয়ে করেন তারা। বিয়ের ১১ বছর পর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ২০ জুন কন্যাসন্তানের বাবা-মা হন এই দম্পতি।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস

আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়

সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।

সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।

সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।

সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।

সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।

সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।

সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।    

সম্পর্কিত নিবন্ধ