বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফিয়া শারমিনকে প্রত্যাহারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র ও নাগরিক কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল করে।

বুধবার নিজ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ চার নেতা ইউপি চেয়ারম্যানকে নিয়ে মিটিং করেন ইউএনও। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র ও নাগরিক কমিটি এ কর্মসূচি পালন করছে। এসময় ইউএনও আফিয়া শারমিনকে ফ্যাসিবাদের দোসর আখ্যা দিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দেন ছাত্ররা। ইউএনওকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রত্যাহার করা না হলে উপজেলা ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচি পালনের হুশিয়ারি দেয় আন্দোলনকারী ছাত্র ও নাগরিক কমিটি। ঘটনাস্থলে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কর্মসূচি ঘিরে কঠোর অবস্থানে ছিল নৌ বাহিনী ও পুলিশ। 

এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের চার ইউপি চেয়ারম্যানকে নিয়ে নিজ কার্যালয়ে গোপন মিটিংয়ের অভিযোগে ইউএনও আফিয়া শারমিনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করে পৌর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন। পরে তারা ইউএনওর অপসারণের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়। পৌরসভার সামনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এই ঘোষণা দেন তারা। সমাবেশে বক্তব্য রাখের বিএনপি নেতা এমরান হোসেন, আলাউদ্দিন, খোরশেদ আলম প্রমুখ।

উল্লেখ্য বুধবার সকালে নিজ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের নেতা ও চাঁদপাই, মিঠাখালী, বুড়িরডাঙ্গা ও চিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের নিয়ে ইউএনও আফিয়া শারমিন মিটিং করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ হন বিএনপি নেতাকর্মীরা।  

জানতে চাইলে এ বিষয়ে মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফিয়া শারমিন দাবি করেন, বুধবার সকালে তার কার্যালয়ে সামাজিক বনায়ন বিষয়ক একটি সভা হয়েছে। সেখানে উপজেলার চাঁদপাই ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা তরিকুল ইসলাম, চিলা ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আকবর হোসেন, বুড়িডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান উদয় শংকর বিশ্বাস ও মিঠাখালী ইউপি চেয়ারম্যান উৎপল মণ্ডল ছাড়াও উপজেলা বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নানও উপস্থিত ছিলেন। এখন তার (ইউএনও) বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল হচ্ছে। কেন বিএনপি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র এবং নাগরিক কমিটি এ মিছিল করছেন সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি ইউএনও।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউএনও ব এনপ উপজ ল ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

কুড়িগ্রামে সারের দাবিতে সড়কে কৃষকদের বিক্ষোভ

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় সারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন কৃষকরা। এসময় তারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করেন। 

রবিাবর (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ২টার দিকে উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর সড়ক অবরোধ করেন কৃষকরা। একপর্যায়ে তারা ভূরুঙ্গামারী উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সারোয়ার তৌহিদকে অবরুদ্ধ করেন। বিকেল ৫টার দিকে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপ জন মিত্রের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন কৃষকরা।

আরো পড়ুন:

বাগেরহাটে হরতাল কর্মসূচিতে পরিবর্তন

ফরিদপুরে মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ, ভোগান্তি চরমে

আন্দোলনরত কৃষকরা জানান, তীব্র সার সংকট দেখা দিয়েছে। রোপা আমন ধানে সার দিতে না পেরে ক্ষতির মুখে পড়ছেন তারা। 

ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল হেলাল মাহমুদ জানান, কৃষকরা বিকেল ৫টার দিকে অবরোধ তুলে নিলে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ইউএনও দীপ জন মিত্র জানান, কৃষকরা কেন সার পাচ্ছেন না, সেটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/বাদশাহ/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাবনায় পুলিশ দেখে পালালেন শিকারিরা, উদ্ধার ৪৫টি ঘুঘু অবমুক্ত
  • শেরপুরে বেশি দামে সার বিক্রি: ২ ব্যবসায়ীকে সোয়া লাখ টাকা জরিমানা
  • কুড়িগ্রামে সারের দাবিতে সড়কে কৃষকদের বিক্ষোভ