পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কনটেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজ্জামান কাফির বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় জড়িতদের বিচার, ক্ষতিপূরণ ও নিরাপত্তার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর আবেদন করা হয়েছে।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে কাফি নিজে এই আবেদন করেন। সেই সঙ্গে কলাপাড়ায় থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেছেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বরাবর আবেদনে কাফি উল্লেখ করেছেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং ধানমন্ডি ৩২-এ গুমের আস্তানা ধ্বংসে জনগণের সঙ্গে সামনের সাড়িতে থাকায় পরিকল্পিতভাবে তার বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে দোষীদের আইনের আওতায় আনা এবং পুড়ে যাওয়া ঘর পুনর্গঠনের কাজ শুরু করা না হলে তিনি একাই রাজপথে দাঁড়াবেন। প্রয়োজনে বিপ্লবী সরকারের ডাক দেওয়া হবে বলেও আবেদনে উল্লেখ করেছেন তিনি।

কলাপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘‘কাফির ঘর পোড়ানোর ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।’’

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল ইসলাম বলেন, ‘‘কাফির আবেদন পেয়ে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’

এর আগে, বুধবার দুপুরে নিজের পোড়া বাড়ির সামনে সংবাদ সম্মেলনে জড়িতদের বিচার, ক্ষতিপূরণ ও নিরাপত্তার দাবি করেন নুরুজ্জামান কাফি। এ সময় তাকে বিমর্ষ মনে হচ্ছিল।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার গভীর রাতে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের রজপাড়া গ্রামে কনটেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজ্জামান কাফির বাড়িতে আগুন দেয় দুর্বত্তরা। অগ্নিকাণ্ডে বাড়িটির বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গেছে। তবে, এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।

ঢাকা/ইমরান/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কল প ড় বর বর

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির প্রার্থীর তালিকায় নেই তারকারা

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে কয়েকজন জনপ্রিয় তারকার মনোনয়ন পাওয়ার গুঞ্জন থাকলেও শেষ পর্যন্ত প্রার্থী তালিকায় তাদের নাম নেই।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭ আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন:

শাহরুখের অজানা এই সাত তথ্য জানেন?

মালয়েশিয়ায় পরীমণির দশ দিন

তবে আলোচনায় থাকা কোনো তারকা প্রার্থী চূড়ান্ত তালিকায় আসেননি। সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন (নীলফামারী–৪), মনির খান (ঝিনাইদহ–৩) ও রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা (সিরাজগঞ্জ–১) মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।

তাদের মধ্যে বেবী নাজনীন ও মনির খানের আসনে যথাক্রমে আবদুল গফুর সরকার ও মেহেদী হাসান মনোনয়ন পেয়েছেন। কনকচাঁপার আসনের প্রার্থী এখনো ঘোষণা হয়নি।

২০১৮ সালের নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ–১ আসন থেকেই বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন কনকচাঁপা। তখন আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। এবারের নির্বাচনে আবারো লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে জানা যায়।

মনির খান ও কনকচাঁপা দুজনই বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাসাসের কেন্দ্রীয় নেতা। এছাড়া দলটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও চলচ্চিত্র অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বলের নামও আলোচনায় ছিল।

উজ্জ্বল বলেন, “দল যদি মনে করে আমার প্রার্থী হওয়া দরকার, আমি প্রস্তুত।”

বিএনপির এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে আপাতত স্পষ্ট—বিনোদন অঙ্গনের জনপ্রিয় মুখগুলো এবারো দলীয় প্রার্থী তালিকার বাইরে থাকছেন।

ঢাকা/রাহাত/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ