আজ পহেলা ফাল্গুন। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। সেইসঙ্গে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। দিনটি সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় এবং শনিবার পবিত্র শবে বরাতের ছুটি হওয়ায় কুয়াকাটায় ভিড় জমিয়েছেন হাজারো পর্যটক। 

গত বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই সৈকতে পর্যটকের আগমন ঘটতে থাকে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রকৃতিতে শীতের তীব্রতা কমতে শুরু করেছে। বসন্তের হিমেল পরশে পর্যটকদের আনন্দ-উম্মাদনায় সৈকতজুড়ে বিরাজ করছে এক উৎসব মুখর পরিবেশ। অনেকে প্রিয়জন, পরিবার নিয়ে সমুদ্রে নামছেন।  ঢেউয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সাঁতার কাটছেন। অনেকে সৈকতে দাঁড়িয়ে প্রিয়জনের সঙ্গে সেলফি তুলছেন। অনেকে আবার প্রিয়জনের হাত ধরে ঘুরে দেখছেন সৈকতের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত। অনেকে সৈকতের বেঞ্চিতে বসে উপভোগ করছেন তীরে আছড়ে পড়া ছোট বড় ঢেউ। 

এদিকে লেম্বুর চর, ঝাউবন, গঙ্গামতির লেক, কাউয়ার চর, মিশ্রিপাড়া, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, রাখাইন তাঁতপল্লী, শুঁটকী পল্লী, ফিশ ফ্রাইপল্লী ও আলীপুর-মহিপুর মৎস্যবন্দরেও রয়েছে পর্যটকদের উপস্থিতি। কুয়াকাটার অধিকাংশ হোটেল মোটেলেও ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বিক্রি বেড়েছে পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। 

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে আসা পর্যটক নবদম্পত্তি ফরিদ হোসেন-ইয়াসমিন বলেন, ‘‘আমাদের তিন মাস আগে বিয়ে হয়েছে। তাই পহেলা ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে কুয়াকাটা বেড়াতে এসেছি। সৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে আমরা মুগ্ধ! তবে হোটেল ভাড়াটা একটু বেশি মনে হয়েছে।’’

ঢাকার মিরপুর-১১ থেকে আসা পর্যটক সোলায়মান হোসেন বলেন, ‘‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও বসন্ত উপলক্ষে আমরা ৫ বন্ধু কয়াকাটা এসেছি। সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে সাঁতার কাটা এক অন্যরকম অনুভূতি যেটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। সমুদ্রের ঢেউ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের মুগ্ধ করেছে!’’

পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণে ট্যুরিষ্ট পুলিশ, থানা পুলিশ ও নৌ-পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। মহিপুর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমাদের একটা টিম সব সময়ই কুয়াকাটায় অবস্থান করে। আজ বিশেষ দিন উপলক্ষে আমাদের পেট্রোল টিম কুয়াকাটা সৈকতের বিভিন্ন স্থানে টহল দিচ্ছে। যে কোন ধরনের ঘটনা এড়াতে ট্যুরিষ্ট পুলিশের পাশাপাশি আমরা তৎপর রয়েছি।’’

ইমরান//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র স কত র

এছাড়াও পড়ুন:

গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাবি শিবিরের ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা।

বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন শাখা সভাপতি এসএম ফরহাদ।

আগামী ৫, ৬ ও ৭ আগস্ট এই কর্মসূচিগুলো অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজনে থাকছে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, বিপ্লবী নাটক, গান, কবিতা, আলোচনা সভা ও বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী। কর্মসূচির সূচনা হবে ৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) ভোর ৫টায় প্রতীকী সাইকেল র‌্যালির মাধ্যমে, যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে গণভবন পর্যন্ত যাবে।

আরো পড়ুন:

মেয়াদোত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপকে চলছে বেরোবি

তাহলে তো স্পন্সর নিয়ে প্রোগ্রাম করলেই চাঁদাবাজি: সালাউদ্দিন

সকাল ৯টায় টিএসসিতে থাকবে সাধারণ নাস্তার আয়োজন। এর পরপরই প্রদর্শিত হবে ‘জুলাই বিপ্লব’ ভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র। একইসঙ্গে বিপ্লবী গান ও কবিতা পরিবেশিত হবে । সকাল ১০টা থেকে শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের মুখে অভ্যুত্থানের অভিজ্ঞতা শোনার আয়োজন থাকবে।

দুপুর ২টায় একটি মাইম পরিবেশনা ও নাটক মঞ্চস্থ হবে। এরপর বিকেল সাড়ে ৩টা ও সাড়ে ৫টায় পরপর আরো দুটি নাটক প্রদর্শিত হবে। সন্ধ্যা ৬টায় ব্যতিক্রমী আয়োজন ‘প্ল্যানচ্যাট বিতর্ক’ অনুষ্ঠিত হবে। এটি একটি প্রতীকী বিতর্ক, যেখানে গণআন্দোলনে নিহতদের উত্তরাধিকার ও আত্মিক উপস্থিতিকে ঘিরে আলাপ-প্রতিআলাপের একটি রূপক পরিসর গড়ে উঠবে ।

৬ আগস্ট দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির শুরুতেই থাকবে রাজনৈতিক ও দার্শনিক আলোচনা সভা। সকাল ১০টার দিকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও ফ্যাসিবাদ পলায়নের ১ বছর: প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিকেল ৩টার দিকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী ছাত্ররাজনীতি ও ডাকসু নির্বাচন’ বিষয়ে আলোচনা হবে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ‘নয়া রাজনৈতিক বন্দোবস্তে ইসলাম প্রসঙ্গ’ শীর্ষক মতবিনিময়ের মাধ্যমে পর্দা নামবে দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির।

কর্মসূচির তৃতীয় দিন ৭ আগস্ট দিনব্যাপী চলবে বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন। সেখানে ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ ও গণআন্দোলন সংশ্লিষ্ট নানা দলিল, ছবি ও ভিডিও উপস্থাপন করা হবে।

সার্বিক বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রশিবির সভাপতি এসএম ফরহাদ বলেন, “২০২৪ সালের জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া গণজাগরণ ও ছাত্র প্রতিরোধ ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অনন্য মাইলফলক। সেই ঘটনার স্মরণে এবং তা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের পথরেখা নির্ধারণের প্রয়াসে ঢাবির টিএসসি প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাবি শাখা আয়োজন করতে যাচ্ছে তিন দিনব্যাপী ‘আমরাই ৩৬ জুলাই: আমরা থামবো না’ শীর্ষক অনুষ্ঠান।”

তিনি বলেন, “এ আয়োজন হবে শিল্প, সংস্কৃতি, স্মৃতি ও রাজনৈতিক ভাবনার এক সংমিশ্রণ। জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের অভিজ্ঞতা আমাদের অনুপ্রেরণা। আর সংস্কৃতির মাধ্যমে আমরা সেই প্রতিরোধ চেতনাকে নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফতুল্লায় যুবদল নেতা শাহিনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া  
  • শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জেলা আইনজীবী ফোরামের পদযাত্রা
  • রাবি উপাচার্যের চেয়ার টেনে পদ্মায় ফেলার আহ্বান ছাত্রদল সভাপতির
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা
  • গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাবি শিবিরের ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচি
  • কাপ্তাই হ্রদে পানি বেড়ে ডুবে গেছে রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু